বঙ্গনিউজ ডটকমঃ স্টিভ ওয়াহ অভয় দিয়েছেন। আগেই বেশি শঙ্কিত না হতে অনুরোধ করেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান শন ক্যারিও। কিন্তু তাতেও যেন গোলাপি বল নিয়ে খেলোয়াড়দের উদ্বেগ কমছে না। এই উদ্বেগের মধ্যেই আজ থেকে শুরু হচ্ছে শেফিল্ড শিল্ডের প্রথম রাউন্ড। যেখানে খেলাগুলো হবে দিবা-রাত্রির এবং গোলাপি বলে। অ্যাডিলেড ওভালে আগামী ২৭ নভেম্বর হতে যাওয়া ইতিহাসের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্টের আগে এই ম্যাচগুলো গোলাপি বলের ‘পারফরম্যান্স’ বুঝতে আরেকটু ভালোভাবে সাহায্য করবে বলেই ভাবা হচ্ছে।
সম্প্রতি গোলাপি বল নিয়ে শঙ্কার কথা খোলাখুলিই বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান অ্যাডাম ভোজেস এবং দুই পেসার পিটার সিডল ও জস হ্যাজলউড। সংশয়বাদীদের তালিকায় যোগ হয়েছে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ক্রিস রজার্স ও ভিক্টোরিয়ান উইকেটকিপার ম্যাথু ওয়েডের নামও। দুজনই অবশ্য ব্যক্তিগত কারণে বেশি অস্বস্তি বোধ করছেন। সর্বশেষ অ্যাশেজের পর টেস্ট থেকে অবসর নিলেও গোলাপি বলে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে রজার্সের। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, যতই আশ্বস্ত করা হোক, এটা নিয়ে অনেক উদ্বেগ থাকছেই। আমার জন্য যেমন এটা আলাদা ব্যাপার, কারণ আমি বর্ণান্ধ। পটভূমির সঙ্গে বলের পার্থক্য বোঝাটা খুব কঠিন মনে হয়েছে আমার।’
রজার্সের মতোই বর্ণান্ধ অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়েডও। অবসর নিয়ে ফেলায় রজার্সকে এখন আর গোলাপি বলে খেলা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে না। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১২ টেস্ট ও ৫৩টি ওয়ানডে খেলা ওয়েডের তো সেই দুশ্চিন্তা থাকছেই। মেলবোর্নে আজ শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচেই কুইন্সল্যান্ডে বিপক্ষে খেলবে ওয়েডের দল ভিক্টোরিয়া। সেই ম্যাচ সামনে রেখে গোলাপি বলে অনুশীলনের পর ওয়েডও শুনিয়েছেন তাঁর অভিজ্ঞতা, ‘আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে পরিষ্কারভাবে বলটা দেখতে। লাল বলের মতো পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছিলাম না এটাকে। কিছুটা ঝাপসা মনে হচ্ছিল, যা কখনোই আদর্শ হতে পারে না।’
এই দুজনের মতো বর্ণান্ধ নন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার ডেভিড হাসি। গত শুক্রবার ক্যানবেরার মানুকা ওভালে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী একাদশের দিবা-রাত্রির ম্যাচটিতে গোলাপি বলে খেলেছেন তিনি। সেখানেই ৩৮ বছর বয়সী হাসির চোখে ধরা পড়েছে এই বলের আরও একটি সমস্যা, ‘এটা ৮০ ওভার টেকার মতো বল না। প্রধানমন্ত্রী একাদশের ম্যাচটাতে আমাদের দুবার বল বদলাতে হয়েছে। সুতরাং আমার মনে হয়, দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই এটা নিয়ে ভাবার দরকার আছে।’
আবার উল্টো মতও কিন্তু আছে। কিছুদিন আগে টেস্ট ও ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া ডেভিড ওয়ার্নার যেমন বলের রং নিয়ে এত ভাবনা মাথায়ই আনছেন না, ‘কী বল দিয়ে খেলা হবে, সেটা অপ্রাসঙ্গিক।’ ওয়ার্নারের অবশ্য এখনো গোলাপি বলে খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি। তবে মানসিকভাবে সেই চ্যালেঞ্জটা নিতে তৈরি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার, ‘বলের রং নিয়ে আমাদের কিছু সমস্যা হবেই। দেখুন না, সাদা বলের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই আমাদের কত সময় লেগেছে। ধৈর্য ধরতে হবে, এটাই সহজ কথা।’ সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৪:৪৯ ৩৩৯ বার পঠিত