পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত
রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০১৫



015843306_30300.jpgবঙ্গনিউজ ডটকমঃ যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের অবস্থান ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। পোশাক রপ্তানিতে ভারত যে হারে প্রবৃদ্ধি করছে, বাংলাদেশের সেই হারে হচ্ছে না। গত আগস্ট পর্যন্ত টানা ২০ মাস ধরে এমনটাই চলে আসছে। অবশ্য পোশাক রপ্তানি আয়ে এখনো ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে আছে।
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৬৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়। এ আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময়ে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৪৩ কোটি ডলার। অন্যদিকে ভারত গত জানুয়ারি-আগস্টে রপ্তানি করে ২৬১ কোটি ডলারের পোশাক। ২০১৪ সালের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২৩৯ কোটি ডলার। এ সময়ে দেশটির রপ্তানি বেড়েছে ৯ শতাংশ। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) গত মঙ্গলবার এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
অটেক্সার হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৪০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে ভারত। তখন দেশটির প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আর গত বছর বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৪৮৩ কোটি ডলারের পোশাক। তবে আগের বছরের তুলনায় ২০১৪ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি কমে গিয়েছিল। গত বছর ২ দশমিক ২৯ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসে ইতিবাচক ধারায় ফেরে বাংলাদেশ। প্রথম ছয় মাস শেষে (জানুয়ারি-জুন) এই বাজারে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় সাড়ে ৯ শতাংশ। সাত মাস শেষে সেটি ১ শতাংশ কমে হয় ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ। অবশ্য ছয় মাস শেষে ভারতের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ এবং সাত মাস শেষে তা দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশে।
তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি ফারুক হাসান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘তুলা ও সুতার দিক থেকে ভারত প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। বেশ কিছুদিন ধরেই তুলা ও সুতার দাম কিছুটা কম। ডলারের বিপরীতে টাকা শক্তিশালী হলেও ভারতীয় রুপির বেশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। এতে ভারতের রপ্তানিকারকেরা ক্রয়াদেশ বেশি পাচ্ছেন।’
বিজিএমইএর আরেক সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছির বলেন, ‘রানা প্লাজা ধসের পর কারখানা পরিদর্শন চলাকালে অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ভারতসহ অন্য দেশে ক্রয়াদেশ সরিয়ে নেয়। এখন পোশাক কারখানা পরিদর্শন কার্যক্রমে প্রায় শেষ সংস্কার চলছে। বিশ্ববাজারে ইতিবাচক বার্তা যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘যাঁরা ক্রয়াদেশ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই ফিরতে শুরু করেছেন। স্বাভাবিক হতে একটু সময় তো লাগবেই।’
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বস্ত্র ও পোশাক খাতকে সহায়তা দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। সেখানে বড় বড় পোশাক কারখানার জন্য বিনিয়োগ হচ্ছে। এতে দেশটির সক্ষমতা বাড়লেও বাংলাদেশের মজুরি এখনো কম।’ তিনি বলেন, ‘নতুন বিনিয়োগের কারণে উচ্চমূল্যের পণ্য এবং কম সময়ে যেসব পোশাক তৈরি করতে হবে, সেসব ক্রয়াদেশ ভারতে যাচ্ছে। ফলে উচ্চমূল্যের পণ্য রপ্তানি এবং উঠতি বাজারের যে সুযোগ বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল, এখন তা প্রতিযোগিতায় পড়তে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ৫ হাজার ৬৫৯ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ শতাংশের বেশি

বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৮:১০   ৩০৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থ ও বানিজ্য’র আরও খবর


অর্থনীতি নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ
ইসলামী ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ, সরানো নিয়ে প্রশ্ন
চেক ডিজঅনার মামলার রায় দুই মাসের জন্য স্থগিত
মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসের আড়ালে হুন্ডি, গ্রেপ্তার ৬
১৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৫ কোটি ৯৯ লাখ ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈশ্বিক নানা সংকট সত্ত্বেও বাড়লো মাথাপিছু আয়
বাংলাদেশ গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে : মার্টিন রাইজার
আইএমএফ এর সাথে সমঝোতা : সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে
আইএমএফ এর ঋণ গ্রহণ করা হবে নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তোলার জন্য: বাণিজ্যমন্ত্রী
টবগী-১ কূপে পাওয়া যাবে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

আর্কাইভ