বঙ্গনিউজ ডটকমঃ
ভারত ‘এ’ করেছিল ৬ উইকেটে ২৯৭ রান। বৃষ্টি এসেছিল। তাই বাংলাদেশ ‘এ’র জন্য ৪৬ ওভারে ২৯০ রানের টার্গেট বেধে দেয়া হয়। তৃতীয়বার বৃষ্টি নামার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩২ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪১ রান। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের তখন আর জেতার অবস্থা নেই। জেতেও নি তারা। বৃষ্টিতে আর খেলা হয়নি। সিরিজটা জিতে নিয়েছে ভারতীয়রা। বৃষ্টি আইনে ম্যাচটা তারা জিতেছে ৭৫ রানে। হিসেবটা ৩২ ওভারে ২১৭ রানের টার্গেটে।
২৯০ রানের টার্গেটে ছুটে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ ‘এ’। তিন ওভারে ৪ রানের মধ্যেই হারিয়ে ফেলে দুই উইকেট। সৌম্য সরকার ১ রান করেছেন। এনামুল হকও ঠিক ১ রানই করেছেন। ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পাওয়া এস আরভিন্দ তুলে নিয়েছেন এনামুলকে। বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটও শিকার করেন তিনি। ৯ রান করে দলের ২৪ রানের সময় বিদায় নেন রনি তালুকদার। অধিনায়ক মুমিনুল হকের সাথে জুটি বাধেন লিটন দাস। আগের দুই ম্যাচের মতো এবারও টপ অর্ডার ভেঙ্গে পড়েছে। লিটন এসেছেন কঠিন সময়ে। যুদ্ধের জন্য তৈরি মনে হচ্ছিল তাকে। রিশি ধাওয়ানকে ছক্কাও মেরে দেন।
ভারত স্পিন আক্রমণ আনে। চায়নাম্যান কুলদিপ যাদব বাংলাদেশের দুই সেট ব্যাটসম্যানকে শিকার বানিয়ে ফেলেন। প্রথমে ফিরে যান লিটন (২১)। এরপর ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন মুমিনুল (৩৭)। ৭৭ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ তখন সত্যিকারের বিপর্যয়ে। শুক্রবারের সেঞ্চুরিয়ান নাসির হোসেন আবারো চাপের পরিস্থিতিতেই ব্যাট করতে আসেন। তার সঙ্গী ছিলেন সাব্বির রহমান। করন শর্মা ১২৫ রানের সময় ভেঙ্গেছেন এই জুটি। ২২ রান করে বিদায় নেন নাসির। এরপর যখন আবার বৃষ্টি নামে তখন সাব্বির দাঁড়িয়ে ৪১ রানে। আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করা হয়। বৃষ্টি আর থামে না। ম্যাচের সমাপ্তী টানা হয়। সিরিজটা জিতে নেয় ভারত ‘এ’। প্রথম ম্যাচ জিতেছিল তারা। দ্বিতীয়টিতে জিতেছিল বাংলাদেশ ‘এ’।
এর আগে সুরেশ রাইনার ১০৪ ও সাঞ্জু স্যামসনের ৯০ রানের ওপর ভর করে বড় সংগ্রহ গড়ে ভারত ‘এ’ দল। ব্যাঙ্গালোরের চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করতে নামে ভারত। আর তৃতীয় ওভারে পেসার শফিউল আঘাত হানেন। মায়ানক আগারওয়ালকে ব্যক্তিগত ৪ রানে তুলে নেন তিনি। কিন্তু এরপর একাধিক জুটি গড়ে তুলেছে ভারতীয় ‘এ’ দল। তাতে হতাশা বেড়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। ওপেনার উন্মুক্ত চাদ ও স্যামসন মিলে ৮২ রানের জুটি গড়েন দ্বিতীয় উইকেটে। চাদ ৪১ রান করে আরাফাত সানির শিকার হয়েছেন। চাদ ও স্যামসানের এই জুটি ভিত দিয়েছে স্বাগতিকদের। সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে তৃতীয় উইকেটে ১১৬ রানের জুটি গড়ে তোলেন স্যামসন ও রাইনা। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলেও এই ম্যাচে রাইনার ব্যাট হেসেছে। আর স্যামসন তো রানে আছেন। ৩৯ ওভার পর্যন্ত এক সাথে ব্যাট করেছেন স্যামসন ও রাইনা। সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন স্যামসন। কিন্তু সেঞ্চুরি থেকে ১০ রান দূরে থাকতে তাকে বোল্ড করে দেন আল আমিন।
স্যামসনের বিদায়ের পর কাদের যাদব ও গুরকিরাত সিং মান বিদায় নিয়েছেন। দুজনই ৪ রান করেছেন। কাদেরকে নাসির তার একমাত্র শিকার বানিয়েছেন। আর গুরকিরাতকে ড্রেসিং রুমে পাঠিয়েছেন শফিউল। শেষ দিকে একটু বেশি আক্রমণ করে খেলেছেন রাইনা ও রিশি ধাওয়ান। রাইনা দুই বল বাকি থাকতে আউট হয়েছেন রুবেলের বলে। তার আগে ৯৪ বলে ৯টি চার ও একটি ছক্কায় ১০৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। ১৫ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৬ রান করে অপরাজিত থেকেছেন ধাওয়ান। ১০ ওভারে ৫৬ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন শফিউল। একটি করে উইকেট পেয়েছেন আল আমিন, রুবেল, আরাফাত সানি ও নাসির।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৫:৩৮ ৩০০ বার পঠিত