এক ওভারে ৭৭ রানের গল্প

Home Page » এক্সক্লুসিভ » এক ওভারে ৭৭ রানের গল্প
বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫



আনকোরা হাতে বোলিং করে এক ওভারে ৭৭ রান দিয়েছিলেন ভেন্স।বঙ্গনিউজ ডটকমঃ আনকোরা হাতে বোলিং করে এক ওভারে ৭৭ রান দিয়েছিলেন ভেন্স।এক ওভারে সর্বোচ্চ রান কত হতে পারে? ছয় বলে ছয়টা ছক্কা মারলেও ৩৬। ৩৬ যেমন-তেমন, স্বীকৃত ক্রিকেটে এক ওভারে ৭৭ রান হওয়ার ঘটনাও আছে!

১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের শেল ট্রফিতে ক্যান্টারবুরির বিপক্ষে ওয়েলিংটনের বোলার বার্ট ভেন্সের নামটি জড়িয়েছে এই কাণ্ডে। সেদিন ইচ্ছাকৃত ১৭টি ফুলটস বল দিয়েছিলেন। প্রতিটিই ছিল ‘নো বল’! আর সে বলগুলোয় মনের সুখ মিটিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন ক্যান্টারবুরির দুই ব্যাটসম্যান। ভ্যান্সের ‘বৈধ ডেলিভারি’ ছিল মাত্র পাঁচটি। আরেকটি গেল কোথায়? নো বোলের তোড়ে আম্পায়ার আরেকটি বল গুনতেই ভুল গিয়েছিলেন! ভেন্সের ওভারটা ছিল এমন-০৪৪৪৬৬৪৬১৪১০৬৬৬৬৬০০৪০১ (বোল্ড করা বলগুলো ‘নো’ হয়নি)।

শেল ট্রফির শিরোপা জয়ের জন্য শেষ ম্যাচটি জিততেই হতো ওয়েলিংটনকে। ম্যাচের শেষ দিনে ক্যান্টারবুরির সামনে লক্ষ্য দিল ৫৯ ওভারে ২৯১। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া ক্যান্টারবুরির রান ছিল একপর্যায়ে ৮ উইকেটে ১০৮। কিন্তু আটে নামা উইকেটরক্ষক লি জারমন থিতু হয়ে গেলেন উইকেটে। দিনের তখন দুই ওভার বাকি। এ পর্যায়ে ক্যান্টারবুরির দরকার ৯৫ রান আর ওয়েলিংটনের ২ উইকেট।

একটা ফন্দি আঁটলেন ম্যাচ জিততে মরিয়া ওয়েলিংটন অধিনায়ক আরভিন ম্যাকসুইনি। বল হাতে তুলে দিলেন আনকোরা বোলার ভেন্সকে। বুদ্ধি দিলেন, ইচ্ছেমতো ওয়াইড-নো করে রান দিতে। পরিকল্পনা হলো, এক ওভারেই অনেক রান দিয়ে ক্যান্টারবুরিকে জয়ের কাছে নিয়ে যাওয়া। এরপর জয়ের চেষ্টা করতে গিয়ে যদি শেষ দুই উইকেট হারায় তারা, তাহলেই জিতে যাবে ওয়েলিংটন। শুরু হলো ইচ্ছে করেই নো-বল দেওয়া। প্রথম ১৭ বলের একটিই হলো কেবল বৈধ বল! স্কোরাররা হিসাব রাখতে খেই হারালেন, আম্পায়াররা ভুলে পাঁচ বলেই শেষ করলেন ওভার। তার পরও সাত ছক্কা ও ছয় চারে ওই ওভার থেকে এসেছিল ৭৭!

ক্যান্টারবুরি প্রায় পৌঁছেও গিয়েছিল জয়ের বন্দরে। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৮ রান। বাঁহাতি স্পিনার ইভান গ্রের করা সে ওভারে ক্যান্টারবুরি তুলতে পারল ১৭ রান। দলীয় সংগ্রহ দাঁড়াল ৮ উইকেটে ২৯০। মাত্র ১ রানের জন্য ম্যাচটা জেতা হলো না তাদের। আর দারুণ অবস্থানে থাকার পরও শেষ-মেশ হারতে হারতে কোনো রকমে ড্র করেছিল ওয়েলিংটন!

মজার ব্যাপার, ম্যাচের শেষ ওভার হয়ে যাওয়ার পরও স্কোরারদের ব্যস্ত থাকতে হয়েছিল ভেন্সের ওভারের হিসাব মেলাতে। খেলা শেষে খেলোয়াড়েরা সাজঘরে ফেরার পর পরিষ্কার হয়েছিল ম্যাচটা আসলে কারা জিতেছে। ওয়েলিংটনের কোচ জন মরিসন সে ম্যাচ স্মরণ করে বলেছিলেন, ‘বার্ট একটু বেশিই করে ফেলেছিল’। পরিকল্পনা বুমেরাং হওয়ায় রীতিমতো দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল মরিসনের, ‘খেলার পর যখন শুনলাম ক্যান্টারবুরির জিততে দরকার ছিল মাত্র এক রান, আমার হৃৎযন্ত্র বন্ধ হওয়ার উপক্রম!’

অবশ্য ইচ্ছে করে নো বল করা ভেন্সের ওই ওভারটি স্থান পায়নি রেকর্ড বইয়ে। দেখা মেলে কেবল পাদটিকায়। তথ্যসুত্র: ক্রিকইনফো।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৩৯:৫১   ২৪৮ বার পঠিত  




এক্সক্লুসিভ’র আরও খবর


এস এস সি পাশের হার কমছে বেড়েছে জিপিএ-৫
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্রে সানি লিওনের ছবি!
শক্তিশালী প্রসেসরে নতুন স্মার্টফোন বাজারে আনছে মটোরোলা
ভারত ৩৬টি স্যাটেলাইট স্থাপন করল একসঙ্গে !!
স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস, পরে কথিত স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে পদযাত্রা
রাশিয়ার নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সাবমেরিন!
টিকিট দুর্নীতির প্রতিবাদে রনি, সহজ ডটকমকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
ট্রাকচাপায় মেয়েসহ তারা তিনজন নিহত; রাস্তায় গর্ভস্থ শিশু ভুমিষ্ঠ
রোহিঙ্গা যুবক নুর বারেক আটক ,২০ লাখ টাকা উদ্ধার

আর্কাইভ