জানেন কি, মুখে ঘা হয় কেন?

Home Page » স্বাস্থ্য ও সেবা » জানেন কি, মুখে ঘা হয় কেন?
সোমবার, ২৪ আগস্ট ২০১৫



বঙ্গনিউজ ডটকমঃ মুখের ভেতর নানাবিধ দন্ত্যরোগ ছাড়াও যে সমস্যাটি অহরহ দেখা দেয় তা যায় সেটা হচ্ছে মুখের ঘা। যে কোন কারণে ঠোঁট, গলা, জিভ বা তালুতে ক্ষতের সৃষ্টি হলে তাকে মুখের ঘা বলা যেতে পারে। এই ঘা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাময়িক ও সাধারণ হলেও দীর্ঘস্থায়ী হয়ে মারাত্মক ক্যানসারেও রূপ নিতে পারে। নানা কারণেই মুখে ঘা হতে জীবাণু জনিত ঘা
আলসারেটিভ জিনজিভাইটিস রোগে মাড়িতে ক্ষত ও প্রদাহের সৃষ্টি হয়। দুই ধরণের জীবাণু এই রোগ সৃষ্টি করে। এই রোগে মাড়িতে ঘা হয়ে ব্যথা ও দুর্গন্ধ হয়। শরীরে জ্বর হয়। চোয়ালের নিচে লিমফগ্ল্যান্ড ফুলে যেতে পারে।

ছত্রাকজনিত ঘা ছত্রাকজনিত ঘা
এক ধরণের ছত্রাক মুখের বিভিন্ন অংশে যেমন- জিভে, গালে জমে থেকে সাদা আবরণের সৃষ্টি করে। এই আবরণ উঠে গেলে ঘা দেখা যায়। মুখ অপরিষ্কার থাকলে, মুখে পুরনো অপরিষ্কার ডেনচার থাকলে ও দীর্ঘদিন অ্যান্টিবায়টিক গ্রহণের ফলেও মুখে ছত্রাক জমতে পারে। শিশু ও বয়স্কদের এই ঘা বেশি হয়।

ভাইরাসজনিত ঘা
ভাইরাস আক্রমণে মুখে ও ঠোঁটে ঘা হয়। সাথে ব্যথা ও জ্বর হয়। আর এক প্রকার ভাইরাসের কারণে ফোস্কা পড়ে ও ফেটে গিয়ে ঘা হয়।

আঘাতজনিত ঘা
কোন কারণে ব্রাশ করার সময় , হাড় বা মাছের কাঁটা থেকে ঠোঁট, গলা বা জিভ কেটে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে। এটা সহজেই সেরে যায়। আবার জীবাণু আক্রান্ত হয়ে অথবা ভাঙা দাঁত, অবিন্যস্ত দাঁতের ক্রমাগত কামড় ও ভাঙা ধারালো ডেনচার দ্বারা অব্যাহত আঘাতে ঘা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে ক্যানসারের রূপ নিতে পারে।

রাসায়নিক বা ওষুধজনিত ঘা
অম্ল ক্ষার বা কোন বিষাক্ত পদার্থ মুখে লাগালে মুখে ঘা হতে পারে। সাদা চুন খেলে ও দাঁতে গুল ব্যবহার করলে, দীর্ঘদিন অ্যান্টিবায়টিক ব্যবহার করলে, অ্যাসপিরিন জাতীয় ট্যাবলেট দাঁতের ব্যথার জন্য মুখের কোন অংশে রেখে দিলে মুখে ঘা হতে পারে। অতি উত্তপ্ত পানীয় বা খাদ্য গ্রহনেও মুখে ঘা হতে পারে।

ভিটামিনের অভাব জনিত ঘা
ভিটামিন বি এর অভাবে মুখে নানা ধরণের ঘা হতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে জিভের ত্বক মসৃণ হয়ে যায়। ভিটামিন সি এর অভাবে স্কার্ভি রোগে মাড়িতে ঘা হয় ও রক্তক্ষরণ হয়।

অজানা কারণজনিত ঘা
অ্যাথপস ঘা ঠোঁট, জিভ, মাড়ি ও তালুতে ছোট বড় এক বা একাধিক ব্যথাযুক্ত এই ঘা হতে পারে। এর সঠিক কোন কারণ জানা না থাকলেও কিছু কিছু বিষয় এটিকে বাড়িয়ে তোলে যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, ধূমপান, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা ইত্যাদি। ঘায়ের উপরিভাগ সাদা ও চারপাশে লাল টকটকে হয়। সাধারণত এক সপ্তাহে এই ঘা সেরে যায়। অনেক সময় ঘা দ্রুত বেড়ে গিয়ে বড় ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং সারতে দেরি হয়।

ক্যানসারজনিত ঘা
মুখ ও জিভের ক্যানসার প্রথমে মুখের ঘা রুপে দেখা দেয়। কোন কোন সাধারণ ঘা অবিরত দৈহিক ও রাসায়নিক উত্তেজনা বা আঘাতে দীর্ঘস্থায়ী হয়ে ক্যানসারে রূপ নিতে পারে। মুখের ক্যানসারের সঠিক কারণ অজানা হলেও, কিছু কিছু বিষয় যেমন অত্যাধিক চুন, সাদা মিশ্রিত পান খাওয়া, দাঁতে গুল ব্যবহার করা, অত্যাধিক ধূমপান বিশেষ করে সিগার অ অত্যাদিক মদ্যপান সিফিলস রোগ, অপুষ্টি ও সাধারণ দৌর্বল্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই ক্যানসার সৃষ্টিতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্য বার্তা

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪১:৪৫   ৩৪৩ বার পঠিত  




স্বাস্থ্য ও সেবা’র আরও খবর


২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
ষাটোর্ধ্ব মানুষ আগে পাবেন করোনার টিকার চতুর্থ ডোজ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কিছু লোক দেশের চিকিৎসায় আস্থা রাখতে পারে না-শেখ হাসিনা
বাড়ির আঙ্গিনাতেই আছে ওজন কমানোর উপায়
মারাত্মক আঘাত হানতে পারে সিত্রাং দেশের ১৩ জেলায়
অ্যানেন্সেফ্লাই কী? - রুমা আক্তার
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবে ২৪ জনের মৃত্যু
জিনগত ত্রুটির অপর নাম “ডাউন সিনড্রোম”- রুমা আক্তার
৭৫ দেশে ছড়িয়ে গেছে মাঙ্কিপক্স , সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
আবার করোনার পাগলা ঘোড়া, এক লাফে মৃত্যু ১২!

আর্কাইভ