ভারতের রপ্তানির শীর্ষে !

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » ভারতের রপ্তানির শীর্ষে !
বুধবার, ১২ আগস্ট ২০১৫



ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুন্দর পিচাই ও সত্য নাদেলা বঙ্গনিউজ ডটকমঃ ভারত সবচেয়ে বেশি কী রপ্তানি করছে? এই প্রশ্নটির উত্তর হতে পারে, ‘সিইও’ বা প্রধান নির্বাহী। টাইম সাময়িকী ২০১১ সালে একবার এক প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছিল ‘ভারতের সবচেয়ে শীর্ষ রপ্তানি হচ্ছে সিইও’। সম্প্রতি মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী হিসেবে সত্য নাদেলা ও গুগলের প্রধান নির্বাহী হিসেবে সুন্দর পিচাইয়ের নিয়োগ শীর্ষ পর্যায়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের তালিকাকে আরও দীর্ঘ করেছে।


গতকাল সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশ্বের বড় বড় করপোরেশনের শীর্ষ পর্যায়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের যে ‘এলিট ক্লাব’ রয়েছে, এর সংখ্যা এক ডজনের বেশি হবে। সব মিলিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক লেনদেন ৪০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।


১০ আগস্ট সোমবার গুগলে বড় ধরনের রদবদল ঘটেছে। অ্যালফাবেট নামের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন। গুগল এই প্রতিষ্ঠানটির অধীনে থাকবে। গুগলের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে আসবেন সুন্দর পিচাই। পেজ হবেন অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী।


মাত্র ৪৩ বছর বয়সে গুগলের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পাওয়ায় অনেকের কাছ থেকে শুভেচ্ছা পেয়েছেন পিচাই। এ তালিকায় রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা, অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুকসহ আরও অনেকে। গুগলের সিইও হিসেবে পিচাই উঠে আসায় এখন তিনি ইন্দ্রা নুয়ি, লক্ষ্মী মিত্তাল, অজয় বাঙ্গাদের ক্লাবে ঢুকে গেলেন। পিচাইকে টুইটারে প্রথম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাইক্রোসফটের সত্য নাদেলা।


যে ১২টি প্রতিষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধান নির্বাহীরা রয়েছেন, সেগুলো হচ্ছে-মাইক্রোসফট (সত্য নাদেলা), পেপসিকো (ইন্দ্রা নুয়ি), আরসেলরমিত্তাল (লক্ষ্মী মিত্তাল), ডিয়াগো (ইভান মেনেজেস), রেকিট বেনকিজার (রাকেশ কাপুর), মাস্টারকার্ড (অজয় বাঙ্গা), ডিবিএস গ্রুপ হোল্ডিংস (পীযুষ গুপ্ত), স্যানডিস্ক (সঞ্জয় মেহতা), গ্লোবাল ফ্রাউড্রিস (সঞ্জয় ঝা), কগনিজ্যান্ট (ফ্রান্সিসকো ডিসুজা) ও অ্যাডোবি (শান্তনু নারায়ণ)।


শীর্ষপদে ভারতীয়রা কেন উঠে আসছে? মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞদের বরাতে পিটিআই বলছে, কারিগরি দক্ষতা ও আচরণগত বৈশিষ্ট্যের কারণে উঠে আসছে তারা। এই দুটি বৈশিষ্ট্য তাদের যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে সাহায্য করে এবং সব পরিস্থিতি তারা মানিয়ে নিতে পারে।


বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিইও রপ্তানির ট্রেন্ড ধরে রাখতে ভারতে এখন ভালো শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে কাজের দক্ষতা দেখাতে হবে, তা শেখানো হচ্ছে। এতে ভবিষ্যতে বিশ্বের আরও বড় বড় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে ভারতীয়দের দেখা যাবে।


টাইম সাময়িকী তাদের প্রতিবেদনে আগেই বলেছে, ‘বিশ্বের এসব বসের জন্য আদর্শ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হচ্ছে এই উপমহাদেশ।’

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৩:১০   ৩৪৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থ ও বানিজ্য’র আরও খবর


অর্থনীতি নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ
ইসলামী ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ, সরানো নিয়ে প্রশ্ন
চেক ডিজঅনার মামলার রায় দুই মাসের জন্য স্থগিত
মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসের আড়ালে হুন্ডি, গ্রেপ্তার ৬
১৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৫ কোটি ৯৯ লাখ ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈশ্বিক নানা সংকট সত্ত্বেও বাড়লো মাথাপিছু আয়
বাংলাদেশ গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে : মার্টিন রাইজার
আইএমএফ এর সাথে সমঝোতা : সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে
আইএমএফ এর ঋণ গ্রহণ করা হবে নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তোলার জন্য: বাণিজ্যমন্ত্রী
টবগী-১ কূপে পাওয়া যাবে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

আর্কাইভ