বঙ্গনিউজ ডটকমঃ সিলেটে রাস্তায় প্রকাশ্যে বস্নগার অনন্ত বিজয় দাশকে খুনের তিন মাস পার না হতেই রাজধানীর গোড়ানে বাসায় ঢুকে স্ত্রীর সামনেই জবাই করে হত্যা করা হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী বস্নগার নিলয় চক্রবর্তী নীলকে (৪০)। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় বাসা ভাড়া নেয়ার কথা বলে নিলয়ের উত্তর গোড়ান টেম্পোস্ট্যান্ডের কাছে ১৬৭ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটে ঢুকে এ নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটানো হয় বলে খিলগাঁও থানার ওসি জানান। অন্যদিকে বস্নগার নিলয় নীলকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশের (একিআইএস) বাংলাদেশ শাখা আনসার-আল-ইসলাম।
স্বামী হত্যার বর্ণনা দিলেন শোকার্ত স্ত্রী : নিহত বস্নগার স্ত্রী আশামনি বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে আমার স্বামী বাজার থেকে ফিরে ড্রয়িংরুমে ল্যাপটপ নিয়ে বসেন। এ সময় আমি ছাড়াও আমার ছোটবোন তন্বী বাসায় ছিল। হঠাৎ করে ২০-২১ বছর বয়সী জিন্সের প্যান্ট পরা এক যুবক দরজা খুলতেই বাসায় ঢোকেন। তিনি বাসা ভাড়া নেবেন বলে নিজ থেকেই দু’বার পুরো ফ্ল্যাট ঘুরে দেখেন। তখন আমি বলি, আমরাতো বাসা ছাড়ছি না, বাসা ভাড়া নিবেন কীভাবে? বাড়িওয়ালাকেওতো এ বিষয়ে কিছু বলিনি’ এ সময় ওই যুবক বলেন, ‘বাড়িওয়ালাই আমাকে দেখে যেতে বলেছেন’ বলছিল আর হাতের মোবাইলেও কী যেন করছিল।’ আশামনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি ড্রয়িংরুমে আমার স্বামীকে জানাতে যাই। এরমধ্যে আরও তিন যুবক বাসায় ঢোকেন। এদের একজনের মুখে দাড়িও ছিল। তারা ভিতরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দেন। তিনজন যুবকের হাতে রামদা ও একজনের হাতে পিস্তল ছিল।’ বারবার মূর্ছা যাওয়া নিলয়ের স্ত্রী বলেন, ‘একজন আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বারান্দায় রেখে ভিতর থেকে দরজা লক করে দেয়। একইভাবে অন্য রুম থেকে তন্বীকেও এখানে নিয়ে আসে।’ তিনি বলেন, ‘পরে এক সাথে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করে চলে যায় তারা। বারান্দায় আমি বারবার ‘বাঁচাও, ‘বাঁচাও’ বলে চিৎকার দিলেও কেউ এগিয়ে আসেনি আমার স্বামীকে বাঁচাতে।’ স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে আশামনি বলেন, ‘অতীতেও এ ধরনের হত্যাকান্ড ঘটেছে। কিন্তু বিচার হতে দেখিনি। বিচার হলে আজ আমাকে স্বামী হারাতে হতো না।’ স্বামী হত্যাকান্ডের পর নিজেকেও ‘নিরাপত্তাহীন’ মনে করছেন যুবমৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশামনি। স্বামীর মরদেহের পাশে আহাজারি করার সময় আশা বলেন, ‘নিলয়ের মতো অভিজিৎ দাদাকেও হত্যা করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত অভিজিৎ দা’র কোনো হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তেমনি নিলয়ের হত্যাকারীও গ্রেফতার হবে না।’ তিনি অভিযোগ করেন, নিলয় নিরাপত্তার জন্য থানাতে গিয়েছিল। কিন্তু কেউ অভিযোগ নেয়নি এবং কোনো ধরনের সহযোগিতাও করেনি।
জানা যায়, নিলয় গত দুই বছর ধরে স্ত্রী যুবমৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশামনি ও স্ত্রীর বোন তন্বীকে নিয়ে ওই বাসায় বাস করে আসছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) চাকরি করতেন। হত্যাকান্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে র্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ ও সিআইডির একটি দল। তবে পুলিশ হত্যাকারীদের আটক করতে পারেনি। তাদের ধারণা, মৌলবাদবিরোধী লেখালেখির কারণে জঙ্গিরা পরিকল্পিতভাবে নিলয়কে হত্যা করেছে। বস্নগার অভিজিৎ, রাজিব ও বিজয় হত্যাসহ আরও কয়েকটি হত্যাকান্ড এক সুতোয় গাঁথা বলে ধারণা পুলিশের। সামপ্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার এই বস্নগার ইস্টিশন বস্নগে নিলয় নীল নামে লিখতেন। গত কিছুদিন ধরে হত্যার হুমকি পেয়ে ফেসবুক থেকে নিজের সব ছবি সরিয়ে ফেলার পাশাপাশি ঠিকানার স্থানে বাংলাদেশের বদলে লিখেছিলেন ভারতের কলকাতার নাম। এছাড়া বস্নগার অনন্ত হত্যার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে ফেরার পথে দুই যুবক তাকে অনুসরণ করায় এবং মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি পাওয়ার প্রায় আড়াইমাস আগে নিলয় থানায় গিয়েছিলেন নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করতে। কিন্তু নিরাপত্তা দেয়াতো দূরের কথা, পুলিশ নিলয়কে যত দ্রুত সম্ভব দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যেতে বলেছিল বলে নিলয় তার ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে জীবিত অবস্থায় জানিয়েছিলেন। খিলগাঁও থানার ওসি জানান, ‘দুপুরে জুমার নামাজের সময় দুই দফায় ৪-৫ জন লোক বাসা ভাড়া নেয়ার কথা বলে নিলয়ের ফ্ল্যাটে ঢোকে। তারা নিলয়কে জবাই করে চলে যায়।’ গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিলয়ের গলা ও ঘাড়ে এলোপাতাড়ি কোপের চিহ্ন রয়েছে। এর আগে অন্য বস্নগারদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, এক্ষেত্রেও হত্যাকান্ডের ধরণ একই রকম।’ এ ঘটনাকে একটি ‘পরিকল্পিত হত্যাকান্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করে কৃষ্ণপদ বলেন, ‘জুমার নামাজের সময় যখন আশপাশের বাসার পুরুষরা নামাজে গেছেন, সেই সময়টিকেই হত্যাকারীরা বেছে নিয়েছে।’
আল কায়েদার দায় স্বীকার : গতকাল শুক্রবার বিকালে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আল কায়েদার সংগঠন? আনসার-আল-ইসলামের মুখপাত্র দাবিদার মুফতি আবদুল্লাহ আশরাফের নামে পাঠানো এক ইমেইল বার্তায় নিলয় হত্যার দায় স্বীকার করা হয়। বার্তায় বলা হয়, ‘আনসার-আল-ইসলামের (আল কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ, বাংলাদেশ শাখা) মুজাহিদরা আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসূলের (তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) এক শত্রুকে হত্যা করতে অভিযান চালিয়েছে, যার নাম নিলয় চৌধুরী নীল।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরাও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আনসার-আল-ইসলামের দাবির বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
খুনের কিছু সময় আগে : খুন হওয়ার আগে শুক্রবার দুপুর ১টা ৮ মিনিটে সুরমা মেহজাবিন নামের একজনের ফেসবুকের পোস্ট শেয়ার করেন নিলয়। ঠিক তার আগেই কাবুলে বোমা হামলায় হতাহতের ঘটনা নিয়ে বিবিসির একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেন নিলয়, ‘জুমা মোবারক!’ শিরোনামের ওই পোস্টে ধর্মীয় মৌলবাদের সমালোচনা করেন তিনি।
আড়াই মাস আগেও হত্যার চেষ্টা : শুক্রবার খুন হওয়ার ৮৩ দিন আগে ফেসবুকে নিলয় লেখেন, ‘আমাকে দুজন মানুষ অনুসরণ করেছে গত পরশু। অনন্ত বিজয় দাশ হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে যোগদান শেষে আমার গন্তব্যে আসার পথে এই অনুসরণটা করা হয়।’ ঘটনার বর্ণনায় তিনি লেখেন, ‘প্রথমে পাবলিক বাসে চড়ে একটা নির্ধারিত স্থানে আসলে তারাও আমার সাথে একই বাসে আসে। এরপর আমি লেগুনায় উঠে আমার গন্তব্যস্থলে যাওয়া শুরু করলে তাদের মধ্যে একজন আমার সাথে লেগুনায় উঠে। লেগুনায় বসে আমার মনে পড়ে বাসেতো এই ব্যক্তিই ছিল কিন্তু তারাতো দুইজন ছিল। মনে মনে ভাবি হতেই পারে, একজনের গন্তব্য অন্যদিকে তাই সে চলে গেছে। এ পর্যন্ত ব্যাপার স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু পরবর্তীতে লেগুনায় বসে সেই যুবক ক্রমাগত মোবাইলে টেক্সট করছিল যা দেখে আমার সন্দেহ হয়। আমি আমার নির্ধারিত গন্তব্যস্থলের আগেই নেমে গেলে আমার সাথে সেই তরুণও নেমে পড়ে। আমি বেশ ভয় পেয়ে সেখানে একটি অপরিচিত গলিতে ঢুকে যাই। পরে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি ঐ তরুণের সাথে বাসে থাকা আরেক তরুণ এসে যোগ দিয়েছে এবং তারা আমাকে আর অনুসরণ না করে গলির মুখেই দাঁড়িয়ে আছে।’ তখনই নিলয় নিশ্চিত হন, যে তাকে অনুসরণ করা হচ্ছে। পরে গলির আরও ভিতরে গিয়ে তিনি একটি রিকশায় উঠে হুড ফেলে দেন এবং পরে এক বন্ধুর সহযোগিতায় ‘নিরাপদ’ স্থানে সরে যান।
নিরাপত্তা না দিয়ে দেশ ছাড়ার পরামর্শ : নিলয়কে অনুসরণের পর জিডি করতে গেলেও থানা তা নেয়নি বলে এক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন ‘অনেকগুলো থানা অতিক্রম করার জন্য গতকাল ঘটনাস্থলের আওতায় থাকা একটি থানায় গেলে তারা জিডি নিল না, তারা বললো আমাদের থানার অধীনে না, এটা অমুক থানার অধীনে পড়েছে ওখানে যোগাযোগ করুন, আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশ ছেড়ে চলে যান।’ নিলয় ওই পোস্টে এক জায়গায় লিখেছিলেন, কারও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে জিডি নিলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাকে ওই ব্যক্তির নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হয় বলে কেউ জিডি নিতে চায় না; একজন পুলিশ কর্মকর্তাই ‘ব্যক্তিগতভাবে’ তাকে এ বিষয়টি বলেছিলেন।
জঙ্গি ফারাবীর হিটলিস্টে নিলয় : বছর দুই আগে মৌলবাদী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফারাবী শফিউর রহমানের একটি লেখায়ও নিলয়ের নাম এসেছিল। ফেসবুকে উগ্রপন্থি বক্তব্য-বিবৃতি প্রচার এবং লেখক-সাংবাদিকদের হত্যার হুমকি দিয়ে আলোচিত ফারাবী গত মার্চে লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় গ্রেফতার হন। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে জিডি করতে গিয়ে বিরূপ অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয় এই ব্লগারকে।
যা লিখেছিলেন নিলয় : গত ৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ২৪ মিনিটের সময় ‘আল্লাহর ঘর সংক্রান্ত কিছু জিজ্ঞাসা’ শিরোনামে নিজ বস্নগে নিলয় লিখেছেন, ‘মসজিদ নাকি আল্লাহর ঘর, এখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে সাধারণ মানুষ। মসজিদ কোন আরাম আয়েশের বা এলাকার গৌরবের স্থাপনা নয়। মসজিদ প্রয়োজন অনুযায়ী নির্মিত হবে এটাই স্বাভাবিক। প্রশ্ন হলো মসজিদকে আলিশান হতে হবে কেন? একটি মসজিদ স্থাপিত হবে, সেখানে ইবাদতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু তাকে সুসজ্জিত করতে হবে কেন? আমাদের দেশের মসজিদ সমূহকে এখন এয়ার কন্ডিশন করা হচ্ছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ২৯ মিনিটের সময় ‘টুয়েন্টি থ্রি ইয়ারস, এ স্টাডি অব দ্য প্রফেটিক ক্যারিয়ার অব মুহাম্মদ’ শিরোনামে লিখেছেন, ‘পার্সিয়ান রাইটার আলি দস্তির গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেছিল রোদেলা প্রকাশনী। এবারের বইমেলায় গ্রন্থটি ছিল একেবারেই হটডগ। তবে মৌলবাদীরা মেলায় এসে ধর্মানুভূতি খুঁজে খুঁজে আহত বোধ করেছে বইটি দেখে। প্রথমদিকে বইটি নিয়ে বিতর্ক উঠলে প্রকাশক ক্ষমা চেয়ে বইটি মেলা থেকে তুলে নেন। কিন্তু এরপরও একাধিকবার বাংলাবাজারে রোদেলা প্রকাশনীর উপরে হামলা চালায় এবং মেলায় হামলা চালানোর চেষ্টা করে মৌলবাদীরা। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫৫টা ৩৩ মিনিটের সময় ‘অবশেষে যৌনদাসী সাপ্লাইয়ের টেন্ডার পেল বাংলাদেশ’! শিরোনামে লিখেছেন, ‘দুবাইয়ের অলিতে গলিতে যখন আফ্রিকান জানোয়ারদের যৌনক্ষুধা মিটিয়ে চলেছে বাংলাদেশের নারীরা, স্বদেশী মা-বোনদের কান্নায় যখন প্রতিনিয়ত আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে লেবাননে, তখন তার কোন কূলকিনারা না করে উল্টো সৌদি আরবে ‘হাউস মেইড’ পাঠাবার নামে সেই বাংলাদেশের নিরীহ নারীদের ইজ্জত বিক্রি করতে কি উঠে পড়ে লেগেছে আজ বাংলাদেশ সরকার? জঘন্য সব বিকৃত যৌন রুচির অশিক্ষিত-বর্বর এক শ্রেণীর সৌদি পুরুষদের ২৪ ঘন্টা সেক্স-ভায়োলেন্সের মুখে বাংলার অজো পাড়াগাঁয়ের অবলা নারীরা নিজেদের কিভাবে কতটা সামাল দেবেন, তাই নিয়ে তোলপাড় চলছে এখন সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝেও।’
এর আগে গত ২০১৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাত ৮টা ১৫ মিনিটে ‘ছাগল নারী ও কুকুর পুরুষের অকথ্য কথন’, ২০১৪ সালের ৩০ অক্টোবর রাত ১টা ১৫ মিনিটে ‘এবার আসছে হালাল হুইস্কি’, ২০১৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ১৯ মিনিটে ‘জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ’, ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ৫১ মিনিটে ‘হরেক রকম সরস্বতী’, ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ ‘বৌদ্ধশাস্ত্রে পুরুষতন্ত্র: নারীরা হলো উন্মুক্ত মলের মতো দুর্গন্ধযুক্ত’, গত ১০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৪৪ মিনিটে ‘পুরুষাঙ্গ কর্তনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শিরোনামে অসংখ্য লেখা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে চলতি বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি একুশে বই মেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জঙ্গি কায়দায় হামলায় খুন হন মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায়। এরপর ৩০ এপ্রিল সকালে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় নিজের বাসা থেকে বেরিয়ে রাস্তায় খুন হন অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ওয়াশিকুর রহমান বাবু। তার এক মাসের মাথায় সিলেটে বাসা থেকে বেরিয়ে অফিসে যাওয়ার পথে একই ধরনের হামলায় খুন হন আরেক মুক্তমনা বস্নগার অনন্ত বিজয় দাশ। তিনিও গণজাগরণ মঞ্চের সাথে যুক্ত ছিলেন। এর আগে ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বস্নগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যাকান্ডের ক্ষেত্রেও গলার ওপরের অংশ, মুখ ও মাথা ছিল হামলাকারীদের লক্ষ্যবস্তু। এর আগে সবগুলো ঘটনাতেই রাস্তায় হামলা হলেও বস্নগার নিলয়কে হত্যা করা হলো তার বাসায় ঢুকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৩:১৪ ৩৮০ বার পঠিত