বঙ্গনিউজ ডটকমঃফেসবুকে খেদ প্রকাশ করে শ্লীলতাহানির শিকার মহিলা আইপিএসের পোস্ট ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতের মধ্যপ্রদেশের আইপিএস অফিসার রিজু বাফনা ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন, প্রার্থনা করি, এদেশে যেন মেয়ে হয়ে জন্মাতে না হয়। এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে বির্তকের ঝড় উঠেছে।
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের মানবাধিকার কমিশনের এক কর্মকর্তা সন্তোষ চৌবের বিরুদ্ধে অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ দায়ের করেন আইপিএস অফিসার রিজু বাফনা।
আদালতে শুনানি চলাকালীন রিজুকে জিজ্ঞাসা করা হয় ঠিক কী ঘটেছিল তার সঙ্গে। প্রকাশ্য আদালতে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তাকে। তার অভিজ্ঞতার কথা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, এই ধরণের সংবেদনশীল বিষয়ে প্রথমবারের মতো আদালতের সম্মুখীন হয়ে একজন মহিলা হিসেবে ভীষণই অপ্রীতিকর অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। এই হয়রানির কারণেই মেয়েরা যৌন হেনস্থার অভিযোগ চেপে যায় বলে তার ধারণা। এই অভিজ্ঞতাকে ‘ভয়ংকর’ এবং ‘আতঙ্কজনক’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। এমনকী ম্যাজিস্ট্রেট পর্যন্ত তার প্রতি সহমর্মিতা দেখানো তো দূরের কথা সংবেদনশীল আচরণটুকুও করেননি বলে তার অভিযোগ। রিজু জানিয়েছেন, আদালতে অনেক লোকের উপস্থিতিতে যৌন হয়রানির অভিযোগ সম্পর্কে বয়ান দিতে অস্বস্তি বোধ করছিলেন। এ কথা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলা সত্ত্বেও তার কথা গুরুত্ব পায়নি বলে রিজুর দাবি।
আদালতে এই অভিজ্ঞতার পর তিনি ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। রিজু আরো লিখেছেন, এদেশে মেয়েরা জন্মালে তাদের লড়াই করেই চলতে হয়। তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই কিছু ইডিয়ট রয়েছে, তারা মেয়েদের অনুভূতির প্রতি একেবারেই উদাসীন।
ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর আইপিএস রিজু ব্যাখ্যা দিয়েছেন, আবেগের মাথায় কিছু মন্তব্য তিনি করে ফেলেছেন। ব্যক্তি বিশেষের ক্রুটির জন্য সমগ্র দেশকে দায়ী করার জন্য খেদ প্রকাশও করেছেন তিনি। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর পুরো ভরসা রয়েছে জানিয়েও রিজু বলেছেন, যৌন অপরাধের মতো বিষয়ে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার স্পর্শকাতরতার অভাব সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা হয়েছে। - See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/43460#sthash.Bvmw5pSF.dpufফেসবুকে খেদ প্রকাশ করে শ্লীলতাহানির শিকার মহিলা আইপিএসের পোস্ট ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতের মধ্যপ্রদেশের আইপিএস অফিসার রিজু বাফনা ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন, প্রার্থনা করি, এদেশে যেন মেয়ে হয়ে জন্মাতে না হয়। এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে বির্তকের ঝড় উঠেছে।
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের মানবাধিকার কমিশনের এক কর্মকর্তা সন্তোষ চৌবের বিরুদ্ধে অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ দায়ের করেন আইপিএস অফিসার রিজু বাফনা।
আদালতে শুনানি চলাকালীন রিজুকে জিজ্ঞাসা করা হয় ঠিক কী ঘটেছিল তার সঙ্গে। প্রকাশ্য আদালতে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তাকে। তার অভিজ্ঞতার কথা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, এই ধরণের সংবেদনশীল বিষয়ে প্রথমবারের মতো আদালতের সম্মুখীন হয়ে একজন মহিলা হিসেবে ভীষণই অপ্রীতিকর অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। এই হয়রানির কারণেই মেয়েরা যৌন হেনস্থার অভিযোগ চেপে যায় বলে তার ধারণা। এই অভিজ্ঞতাকে ‘ভয়ংকর’ এবং ‘আতঙ্কজনক’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। এমনকী ম্যাজিস্ট্রেট পর্যন্ত তার প্রতি সহমর্মিতা দেখানো তো দূরের কথা সংবেদনশীল আচরণটুকুও করেননি বলে তার অভিযোগ। রিজু জানিয়েছেন, আদালতে অনেক লোকের উপস্থিতিতে যৌন হয়রানির অভিযোগ সম্পর্কে বয়ান দিতে অস্বস্তি বোধ করছিলেন। এ কথা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলা সত্ত্বেও তার কথা গুরুত্ব পায়নি বলে রিজুর দাবি।
আদালতে এই অভিজ্ঞতার পর তিনি ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। রিজু আরো লিখেছেন, এদেশে মেয়েরা জন্মালে তাদের লড়াই করেই চলতে হয়। তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই কিছু ইডিয়ট রয়েছে, তারা মেয়েদের অনুভূতির প্রতি একেবারেই উদাসীন।
ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর আইপিএস রিজু ব্যাখ্যা দিয়েছেন, আবেগের মাথায় কিছু মন্তব্য তিনি করে ফেলেছেন। ব্যক্তি বিশেষের ক্রুটির জন্য সমগ্র দেশকে দায়ী করার জন্য খেদ প্রকাশও করেছেন তিনি। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর পুরো ভরসা রয়েছে জানিয়েও রিজু বলেছেন, যৌন অপরাধের মতো বিষয়ে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার স্পর্শকাতরতার অভাব সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২:২০:৪২ ২৯১ বার পঠিত