বঙ্গনিউজ ডটকমঃ মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এর পাশাপাশি আরও চারটি অভিযোগে তাঁর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড বহাল রয়েছে। তবে একটি অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে সাকা চৌধুরীর পরিবার। অবশ্য এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধী কাদের মোল্লার মামলায় আপিলের রায়ে সর্বোচ্চ আদালত বলেছিলেন, আপিল এবং রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন এক নয়। বিচার-প্রক্রিয়ায় গুরুতর ত্রুটি দেখাতে না পারলে পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। এর আগে ট্রাইব্যুনালের কোনো মামলার আপিলের রায়ের পুর্নবিবেচনার আবেদন মঞ্জুর হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীকে সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ৩৩ মাসের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের ওই রায়কে বিদ্রূপ করেছিলেন তিনি। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সেই ফাঁসির আদেশই বহাল রাখলেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। অর্থাৎ, ফাঁসিকাষ্ঠেই ঝুলতে হবে সাকা চৌধুরীকে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ গতকাল বুধবার সাকা চৌধুরীর আপিলের এই রায় ঘোষণা করেন। এ নিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের পঞ্চম মামলার আপিলের রায় ঘোষণা করলেন আপিল বিভাগ।
জাতীয় রাজনীতিতে বহু বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার জন্ম দেওয়া সাকা চৌধুরী ১৯৭৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ছয়বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তাঁর আচরণ মোটেই আইনপ্রণেতাসুলভ ছিল না বলে অভিযোগ আছে। মুসলিম লীগ থেকে রাজনীতি শুরু করেন, পরে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এইচ এম এরশাদের সামরিক শাসনামলে তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। এখন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। প্রায় চার দশকের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন, তারপরও বারবার সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন মূলত ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে ভরা কথার জন্য।
মুক্তিযুদ্ধকালে সাকা চৌধুরী কাজ করতেন পাকিস্তানি দখলদার সেনাদের সহযোগী হিসেবে। তাঁর বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরী ছিলেন কনভেনশন মুসলিম লীগের সভাপতি ও পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার। ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় ফজলুল কাদেরের স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকার অন্যতম অংশীদার ছিলেন তাঁর ছেলে সাকা চৌধুরী। বাবার নির্দেশ পালন করার জন্য একাত্তরের ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের রাউজানে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নূতন চন্দ্র সিংহকে তিনি পাকিস্তানি সেনাদের সহায়তায় হত্যা করেন। এটিসহ চারটি অভিযোগে সাকা চৌধুরীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এর প্রতিটিতে ফাঁসি বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
এর আগে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লার আপিলের রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর মধ্যে কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। সাঈদী আমৃত্যু কারাদণ্ড ভোগ করছেন। আর মুজাহিদের ফাঁসি বহাল রেখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো প্রকাশিত হয়নি। সর্বশেষ গতকাল ঘোষিত হলো বিএনপির সাবেক সাংসদ সাকা চৌধুরীর আপিলের রায়।
আপিল বিভাগের এ রায়ের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির কোনো নেতার ফাঁসির সাজা বহাল থাকল। আর জামায়াত নেতা মুজাহিদের পর তিনি হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি একসময় মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেন।
ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্রক্রিয়াকে ব্যঙ্গ করার পাশাপাশি প্রশ্নবিদ্ধ করারও চেষ্টা করেছেন সাকা চৌধুরী। ট্রাইব্যুনালে তাঁর মামলার রায় ঘোষণার আগে ফাঁস হয়ে যায় ওই রায়ের খসড়া। এ ঘটনায় একটি মামলা এখনো নিম্ন আদালতে বিচারাধীন। এ মামলার আসামি তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও আইনজীবীসহ সাতজন।
সংক্ষিপ্ত রায়: গতকাল সকাল ৯টা ৫ মিনিটে সাকা চৌধুরীর আপিলের সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। আপিল বিভাগের এ বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
মাত্র এক মিনিটে দেওয়া সংক্ষিপ্ত রায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপিল আংশিক মঞ্জুর করা হলো। ৭ নম্বর অভিযোগে আবেদনকারী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে এই অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হলো। ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৮, ১৭ ও ১৮ নম্বর অভিযোগে দণ্ডাদেশ বহাল রাখা হলো।’
রায় ঘোষণার সময় আদালত কক্ষে সাকা চৌধুরীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও মোমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক প্রমুখ। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের অনেকে রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন।
চার অভিযোগে ফাঁসি বহাল: সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৩, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এ চারটি অভিযোগেই ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
তৃতীয় অভিযোগ অনুসারে, একাত্তরের ১৩ এপ্রিল সকালে সাকা চৌধুরী পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নিয়ে রাউজানের গহিরা গ্রামের কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নূতন চন্দ্র সিংহের বাড়িতে অভিযান চালান। মন্দিরে প্রার্থনারত নূতন চন্দ্রকে টেনেহিঁচড়ে বের করার পর সাকা চৌধুরী পাকিস্তানি সেনাদের বলেন, ‘একে হত্যার জন্য বাবার (ফজলুল কাদের চৌধুরী) নির্দেশ আছে।’ পাকিস্তানি সেনারা গুলি করলে নূতন চন্দ্র আহত অবস্থায় কাতরাতে থাকেন, তখন সাকা চৌধুরী নিজে গুলি করে নূতন চন্দ্রের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
ট্রাইব্যুনালে এ অভিযোগের পক্ষে চারজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও নূতন চন্দ্রের ছোট ছেলে প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ। ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেছিলেন, নূতন চন্দ্র সিংহ চট্টগ্রামে খুব জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি অনেক স্কুল, কলেজ ও নামকরা কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয় প্রতিষ্ঠা করেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন শিক্ষকসহ অনেককে কুণ্ডেশ্বরীতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। সামাজিক বা রাজনৈতিক অনুষ্ঠান কিংবা নির্বাচনে তাঁর মতের আলাদা গুরুত্ব ছিল। ধারণা করা যায়, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ফজলুল কাদের চৌধুরীর পরাজিত হওয়ার একটি কারণ এটি। এর প্রতিশোধ হিসেবেই নূতন চন্দ্রকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
পঞ্চম অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের ১৩ এপ্রিল দুপুরে সাকা চৌধুরী পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে রাউজানের সুলতানপুর গ্রামের বণিকপাড়ায় গিয়ে গণহত্যা চালান এবং বাড়িঘরে আগুন দেন। ষষ্ঠ অভিযোগ অনুসারে, একাত্তরের ১৩ এপ্রিল বিকেলে সাকা চৌধুরী পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নিয়ে রাউজানের হিন্দু-অধ্যুষিত ঊনসত্তরপাড়া গ্রামে সশস্ত্র অভিযান চালান। স্থানীয় ক্ষিতীশ মহাজনের বাড়ির পুকুরপাড়ে শান্তিসভার কথা বলে হিন্দুদের জড়ো করার পর সাকা চৌধুরীর উপস্থিতিতে সেনারা এলোপাতাড়ি গুলি করে ৬০-৭০ জনকে হত্যা করে। অষ্টম অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় সাকা চৌধুরী চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মোজাফফর আহমেদ ও তাঁর ছেলে শেখ আলমগীরকে অপহরণ করার পর হত্যা করেন।
চার অভিযোগে ৫০ বছর কারাদণ্ড: সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২, ৪ ও ৭ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এগুলোতে তাঁকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। ২ নম্বর অভিযোগে রাউজানের মধ্য গহিরায় গণহত্যা, ৪ নম্বর অভিযোগে জগৎমল্লপাড়ায় গণহত্যা ও ৭ নম্বর অভিযোগে সতীশ চন্দ্র পালিতকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ২ ও ৪ নম্বর অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের দণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আর ৭ নম্বর অভিযোগ থেকে সাকা চৌধুরীকে খালাস দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
১৭ ও ১৮ নম্বরে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে নিজামউদ্দিন ও সালেহউদ্দিনকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। এ দুটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল সাকা চৌধুরীকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেন। আপিল বিভাগ এ দণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন।
ট্রাইব্যুনালে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২৩টি অভিযোগ এনেছিল। এর মধ্যে নয়টি প্রমাণিত হয়, ১৪টিতে তিনি খালাস পান। এ নয়টিতেই খালাস চেয়ে সাকা চৌধুরী আপিল করেন। সর্বোচ্চ সাজা হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আর আপিল করেনি।
পুনর্বিবেচনার আবেদন করবে আসামিপক্ষ: রায়ের পর সাকা চৌধুরীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর আমরা রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করব। আশা করি, রিভিউয়ে এই সাজা থেকে মুক্তি পাব।’
খন্দকার মাহবুব হোসেন দাবি করেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যদি একাত্তরে রাউজানে এত বড় অপরাধ করতেন, তাহলে তিনি বারবার একই এলাকা থেকে সাংসদ নির্বাচিত হতেন না। তাঁর দাবি, মিথ্যা সাক্ষ্য তৈরি করে রাজনৈতিক উদ্দেশে রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলা সাজিয়েছে।
এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে উপস্থিত সাকা চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, ‘রায়ে আমরা হতাশ হয়েছি। আমার বাবা যে নির্দোষ ছিলেন, সেটা একদিন না একদিন প্রমাণিত হবেই।’
আপিলের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রায় ঘোষণার পর নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই রায় আমরা আশা করেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ব্যাপারে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভূমিকা ছিল ভয়াবহ। তাঁর এই সাজা যদি না হতো, তাহলে আমরা প্রচণ্ড হতাশায় নিমজ্জিত হতাম।’
অপেক্ষা পূর্ণাঙ্গ রায়ের: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার এর আগের রায়গুলোতে দেখা গেছে, রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর তা ট্রাইব্যুনালে পাঠান সুপ্রিম কোর্ট। সেটি হাতে পেলে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ওই মৃত্যু পরোয়ানা কারা কর্তৃপক্ষ আসামিকে পড়ে শোনায়।
একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে তা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারবে আসামিপক্ষ। পুনর্বিবেচনার আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ার পরেও যদি মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে, তাহলে আসামিকে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেবে কারা কর্তৃপক্ষ। সব শেষে আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ পাবেন। সেটা নিষ্পত্তি হলে সরকার কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে। এর আগে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় বাস্তবায়নের সময় এসব প্রক্রিয়া মেনে চলা হয়েছে। অবশ্য তাঁদের পুনর্বিবেচনার আবেদন নাকচ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৪৯:২২ ৩৯৮ বার পঠিত