বঙ্গনিউজ ডটকমঃ ভাগ্যের কি পরিণাম ফুলশয্যার রাতে পূর্ণিমার চাঁদ না হয়ে হল অমাবস্যার অন্ধকার। দীর্ঘ প্রেমের পরিণতি হল বিচ্ছেদের চরম হতাশায়। অফিসের সহকর্মীকে বিয়ে করার এমন ভয়ঙ্কর ফল মিলবে, তা কখনো আন্দাজ করেননি উত্তরপ্রদেশের যুবক।

ঝাঁসির এক সংস্থায় কাজ করার সময় অফিসের নারী সহকর্মীর প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় উত্তরপ্রদেশের মুরাদনগরের গ্রামের বাসিন্দা এক যুবকের। সম্পর্ক অবধারিতভাবে এগোয় পরিণয়ের দিকে। তড়িঘড়ি আইনত নিজেদের দম্পতি হিসেবে নথিভুক্তির কাজ সারেন যুগল। তার পর দুই পরিবারের সম্মতিতে আনুষ্ঠানিক বিয়ের পালা শেষ হয়।

এই পর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। গোলমাল বাধল ফুলশয্যার রাতে। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে যুবক আবিস্কার করেন কণে তরুণী নয়, তিনি বিয়ে করেছেন এক হিজরাকে। প্রেমের এহেন পরিণতি দেখে হতাশায় ভেঙে পড়েন যুবক। সঙ্গে সঙ্গে বিবাহিত সম্পর্কে ইতি টানার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। কিন্তু বাদ সাধেন হিজরা। তিনি জেদ ধরেন, ওই যুবকের সঙ্গে স্ত্রী হিসেবে সংসার প্রতিপালন করতে চান। বলাবাহুল্য, তাতে রাজি হননি যুবক।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ডেকে পাঠানো হয় নববধূর বাড়ির লোকদের। হিজরার পরিবার জানিয়েছে, জন্মসূত্রেই তাঁদের ‘মেয়ে’র এই শারীরিক সমস্যা ছিল। তবে যুবকের আপত্তি থাকায় নবপরিণীতাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন তাঁর বাবা-মা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৭:১৮   ২৬৩ বার পঠিত