যে ৫ টি কারণে পরিবারের মেজো সন্তানেরা সবার চাইতে আলাদা

Home Page » মুক্তমত » যে ৫ টি কারণে পরিবারের মেজো সন্তানেরা সবার চাইতে আলাদা
শুক্রবার, ২৬ জুন ২০১৫



বঙ্গনিউজ ডটকমঃ পরিবারের মেজো সন্তানকে নিয়ে অনেক সময় বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তার সীমা থাকে না। কারণ বেশীরভাগ সময়ই পরিবারের মেজো সন্তানকে হতে দেখা যায় স্বাধীনচেতা, আত্মনির্ভরশীল এবং একেবারে আলাদা মনমানসিকতার মানুষ। কিন্তু সত্যিকার অর্থে পরিবারের মেজো সন্তানটি হয়ে থাকে সবচাইতে ভালো মনের মানুষ।

পরিবারের বড় সন্তানেরা অনেক বেশি আত্মত্যাগী ও ছোটরা উড়নচণ্ডী ধরণের হয়ে থাকে বলেন অনেকেই। কিন্তু মেজোজনের বৈশিষ্ট্য কিন্তু সহজে চোখে পড়ে না। তারা কতোটা চিন্তা করে চলেও তাও অনেকে বুঝতে পারে না। আর তাদের এই ধরণের চিন্তাই তাদের করে তোলে একেবারে আলাদা ও ভালো মানসিকতার।

১) মেজো ছেলেমেয়েরা সম্পর্কের মূল্য অনেক বেশি ভালো বুঝে থাকেন

বড় এবং ছোটদের সাথে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তাদের সাথে কীভাবে চললে সম্পর্ক অনেক বেশি ভালো থাকে তা মেজোরাই ভালো বুঝে থাকেন। কারণ তিনি তার বড় ভাই-বোনের কোনো ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে থাকলে নিজের ছোটোজনের সাথে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তা বুঝে যান।

এবং তিনি নিজের বড় কারো সাথে যেভাবে ব্যবহার করবেন সেটাই তিনি তার ছোটজনের কাছ থেকে ফিরে পাবেন ভেবে তাও নিজে থেকেই শিখে নেন। এই দুটি বিষয় কিন্তু পরিবারের বড় এবং ছোটো সন্তানেরা এভাবে ভাবতে পারে না।

২) আত্মনির্ভরশীল মানুষ হয়ে গড়ে উঠেন বাবা-মায়ের মেজো সন্তান

বড় সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের আলাদা একধরণের টান থাকেই কারণ তিনি প্রথম সন্তান। এবং ছোটো সন্তান পরিবারের সকলের আদরের সন্তান হিসেবেই মানুষ হয়ে থাকেন। কিন্তু সত্যি বলতে কি, বাবা-মা সন্তানদের মধ্যে পার্থক্য না করলেও বড় ও ছোটো সন্তানকে যেভাবে সময় দিয়ে থাকেন তা মেজো সন্তানকে দিতে পারেন না অনেক সময়েই। আর সে কারণেই পরিবারের মেজো সন্তানেরা অনেক বেশি আত্মনির্ভরশীল হয়ে গড়ে উঠে।

৩) সবার সাথে সহজে মিশতে পারার ভালো গুনটি থাকে মেজো সন্তানদের মধ্যেই

বুঝতে পারার বয়স থেকে বড় ও ছোটো ভাইবোনের সাথে কীভাবে মিশতে হবে তা সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই শিখে নেন মেজোজন। আর সে কারণেই ছোটোবড় সকলের সাথেই বেশ ভালো করে মিশতে পারার একটি গুণ তৈরি হয়ে যায়, যা পরিবারের বড় ও ছোটো সন্তানের মধ্যে খুব বেশি দেখা যায় না। একারণে আত্মীয়স্বজন থেকে সকলেই মেজো সন্তানটিকে বেশ পছন্দ করে ফেলেন।

৪) ছোটো-বড় সকলকেই সঠিক মূল্যায়নে পরিচালনা করতে পারেন মেজোরাই

কাকে কি বলে, কীভাবে চালানো সম্ভব এই গুণটিও পরিবারের বড় ও ছোটো ভাইবোনের মধ্যে থাকতে থাকতে রপ্ত হয়ে যায় পরিবারের মেজো সন্তানের। এতে করে বাইরের জগতেও কার সাথে কীভাবে কথা বলে তাকে পরিচালনা করা সম্ভব তা তৈরি হয় নিজে থেকেই।

৫) মেজো সন্তানেরা অনেক বেশি সৃজনশীল হয়ে থাকেন

বড় ও ছোটো সন্তানদের তুলনায় মেজো সন্তানটি অনেক বেশি সৃজনশীল হয়ে থাকেন। তাদের চিন্তাভাবনা অন্য সকলের থেকে একটু আলাদা প্রকৃতির হয়ে থাকে। দেখা যায় বড় বা ছোটো ভাই বোন স্বাভাবিক নিয়মে জীবন যাপন করে বেশ বড় স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়ে কাজ করছেন কিন্তু মেজোজন নিজের সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের নিয়মে চলছেন। অবশ্য একারণে বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা কারণ হতে দেখা যায় পরিবারের মেজো সন্তানকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৮:৫১   ৪০৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

মুক্তমত’র আরও খবর


পাণ্ডুলিপি প্রকাশনের বাইশটি বছর : সোনালি অভিযাত্রায় স্বর্ণালি পালক মোঃ আব্দুল মুনিম জাহেদী (ক্যারল)
দেশ ছাড়ছেন, তবু রাশিয়ানরা সেনাবাহিনীতে যোগ দিচ্ছে না ?
স্বামীজীর শিকাগো গমন - দুর্গম ও নাটকীয় এক অভিযাত্রা: শেষ পর্ব- স্বপন কুমার চক্রবর্তী
স্বামীজীর শিকাগো গমন - দুর্গম ও নাটকীয় এক অভিযাত্রা: পর্ব-২: স্বপন চক্রবর্তী
স্বামীজীর শিকাগো গমন - দুর্গম ও নাটকীয় এক অভিযাত্রা -স্বপন চক্রবর্তী
১৫ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু: উইলিয়াম বার্নস
প্রধানমন্ত্রী পুত্র-কন্যা সহ সেতু পারি দিয়ে গোপালগঞ্জ গেলেন
ঐতিহাসিক ৬ দফা ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ: প্রধানমন্ত্রী
শনিবার দেশে আনা হচ্ছে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর লাশ
জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী

আর্কাইভ