‘টর্চ পাওয়ার পর পোশাক বদলেছি’

Home Page » ফিচার » ‘টর্চ পাওয়ার পর পোশাক বদলেছি’
বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০১৩



reshma1.jpgবাঁচতে পারবো, কল্পনাই করিনি। শুধু পানি আর চার পিস বিসু্কট খেয়েছি। আর আল্লাহকে ডেকেছি। ধসে পড়া ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া রেশমা গতকাল গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে সেই দুঃসহ করুণ কাহিনীর বর্ণনা করেন। গতকাল বিকাল
পাঁচটার পর সাভার সিএমএইচ হাসপাতালের করিডোরে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তাকে হাজির করা হয়। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশফাক উজ্জামান চৌধুরী, কর্নেল মো. আজিজুর রহমান ও লে. কর্নেল শরীফ আহমেদ। এর আগে দুপুরের পর থেকেই রেশমার সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য সিএমএইচ হাসপাতালের সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন গণমাধ্যম কর্মীরা। রেশমাকে উদ্ধার নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্ন আগেই নোট করে নেন মেজর জামান। তিনি বলেন, রেশমার মানসিক ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে কোন কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়া যায় সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া হবে। এরপরই তাকে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে হাজির করা হবে। পরে দু’দফা সময় পিছিয়ে বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে একটি হুইল চেয়ারে করে রেশমাকে সাংবাদিকদের সামনে আনা হয়। ক্যামেরার মুহুর্মুহু ফ্ল্যাশে বিচলিত হয়ে পড়েন রেশমা। তাকে অভয় দিয়ে তার শারীরিক বিষয়ে কথা বলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশফাক উজ্জামান চৌধুরী । তিনি বলেন, ১০ই মে উদ্ধারের পর রেশমার পরিস্থিতি ভিন্ন রকম ছিল। ভীত-সন্ত্রস্ত ছিল। টাচ করলেই আতঙ্কিত হয়ে উঠতো। সেই অবস্থা থেকে এখন অনেক উন্নতি করেছে। বর্তমানে অনেক ভাল অবস্থায় রয়েছে। নিজের হাতেই খেতে পারছে। তবে অত্যধিক দুর্বল হওয়ার কারণে আইভি চ্যানেল মেইনটেইন করা হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন চলছে। শিগগিরই তাকে আইসিইউ থেকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হবে।
রেশমা বলেন, ধসে পড়ার দিন সকালে রানা প্লাজায় যাই। ভেতরে ফাটল দেখে আতঙ্কিত হয়ে সবাই বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আমিও একজন সহকর্মীর হাত ধরে বের হওয়ার চেষ্টা করি। তখন মালিক পক্ষ বলেন, ফাটলে কিছুই হবে না। এটি পানির কারণে হয়েছে। এরপরই ধসে পড়তে থাকে। আমি মাথায় আঘাত পাই। এরপর আর কিছু মনে নেই।
তিনি বলেন, ওই সময় সঙ্গে আমার কেউ ছিল না। আশপাশে যারা ছিল তারা আগেই মারা গেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেশমা বলেন, ভবন ধসে পড়ার পর আমি হামাগুঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে পড়ি। এতে জামা-কাপড় সব ছিঁড়ে যায়।
উদ্ধারের দিন আমি একটু আলো দেখতে পাই। সেই আলো দেখে চিৎকার করতে থাকি। আমাকে বাঁচান বলে ডাকতে থাকি। একপর্যায়ে উদ্ধারকারীরা আমাকে একটি টর্চ দেন। সেই আলো দিয়ে আমি একটি জামা বের করি। সেটা পরে নেই। সেখানে মার্কেট ছিল। ১৭ দিন যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার জন্য রেশমা কৃতজ্ঞতা জানালেন মহান সষ্টিকর্তার প্রতি। বলেন, সবই আল্লাহর ইচ্ছা। তা না হলে বেঁচে থাকতে পারতাম না। তিনি বলেন, ১৭ দিন শুধু পানি খেয়েই বেঁচে ছিলাম। অন্য কোন খাবার পাইনি। তবে কয়েকটি বিস্কুট খেয়েছি। আশপাশের অনেকেই তার কাছে একটু পানির জন্য আ

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৬:১২   ৪২৬ বার পঠিত   #




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ফিচার’র আরও খবর


অ্যানেন্সেফ্লাই কী? - রুমা আক্তার
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নের অগ্রদূত : স্পিকার ; ১০০০ নারী উদ্যোক্তা’র মধ্যে ৫ কোটি টাকার অনুদান প্রদান
“ম্রো’ আদিবাসীর গো হত্যা’ অনুষ্ঠাণ ” - তানিয়া শারমিন
আলোকিত স্বপ্ন নিয়ে তৃতীয় বর্ষে রবিকর ফাউন্ডেশন
নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন রক্ষায় প্রয়োজন জেন্ডার সংবেদনশীল নীতির পর্যালোচনা
জিনগত ত্রুটির অপর নাম “ডাউন সিনড্রোম”- রুমা আক্তার
মোহাম্মদ শাহ আলমের জীবন ও কর্ম
ইসফাহান নেসফে জাহান
সিলেটে গ্রুপ ফেডারেশনের কর্মশালায় বির্তকিত মুরাদ- আয়োজকদের দুঃখ প্রকাশ
ডলারের দাম যেভাবে বাড়ছে, টাকার দাম কেন কমছে

আর্কাইভ