কেউখোঁজ নেয়নি পারুল বেগমও শিশু সন্তান আশফাক (৪) এর

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » কেউখোঁজ নেয়নি পারুল বেগমও শিশু সন্তান আশফাক (৪) এর
শনিবার, ৬ জুন ২০১৫



vgvgvgv.jpgবঙ্গ নিউজ ডটকমঃ রাজধানীর কারওয়ানবাজারে গত বুধবার দুই বাসের পাল্লায় একটি বাস উল্টে আহত পারুল বেগম ও তাঁর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে কাতরাচ্ছেন। চার দিন পার হলেও কেউ তাঁদের খোঁজখবর নেয়নি।
বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। দুজনের শরীর গরম পানিতে ঝলসানো ছিল। পরে তাঁদের হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
আজ সরেজমিনে বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, পারুল বেগম ও তাঁর সন্তান বার্ন ইউনিটের গ্রিন ইউনিটের ২২ ও ২৩ নম্বর বিছানায় শুয়ে আছেন। পারুল বেগমের দুই হাত শরীরের বেশির ভাগ অংশ ব্যান্ডেজে মোড়ানো। তাঁর শরীরের ২৫ শতাংশের বেশি গরম পানিতে ঝলসে গেছে। মাথায়ও আঘাত পেয়েছেন তিনি। তাঁর সন্তানের ডান হাত, ডান পা, বুক ও পেটের কিছু অংশ ঝলসানো। এসব স্থানে ব্যান্ডেজ দিয়ে মোড়ানো রয়েছে।
বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক, সেবিকা ও আয়াদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার বিকেলে অজ্ঞাত এক যুবক পারুল ও তাঁর সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ভর্তির পর তিনি চলে যান। এরপর কোনো স্বজন তাঁদের কাছে আসেনি। পুলিশের পক্ষ থেকেও খোঁজখবর নেওয়া হয়নি। তাঁরা জানান, পারুল ও তার সন্তানের খাওয়ার সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতালের সেবিকা, আয়া ও অন্য রোগীর স্বজনেরা সুযোগ পেলে তাঁদের খাইয়ে দিচ্ছেন। অন্যথায় না খেয়েই থাকতে হচ্ছে তাঁদের। শিশুটি সারাক্ষণ কান্নাকাটি করছে।বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন পারুল বেগম জানান, তাঁর শিশুটি টাইফয়েডে আক্রান্ত। তার চিকিৎসার জন্য বুধবার শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তিনি। বাসা মিরপুর ১ নম্বরের শাহ আলী থানায়। হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে তিনি শাহবাগ থেকে গাবতলীগামী একটি বাসে ওঠেন। দুটি বাসের পাল্লায় ওই বাসটি কারওয়ানবাজারে উল্টে যায়। বাসের চালকের বাম পাশের আসনে বসা ছিলেন তিনি ও তাঁর সন্তান। উল্টে যাওয়া বাসে আটকা পড়েন তাঁরা। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করেন। পরে এক যুবক তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে ইস্কাটনে অবস্থিত হলি ফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।

পারুল বেগম আরও জানান, তাঁর ব্যাগে দুই হাজার ৫০০ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিল। মোবাইলে বিকাশ করা বেশ কিছু টাকাও ছিল। তিনি বলেন, ‘যে যুবক আমাদের উদ্ধার করছিল তাঁর কাছে দুই হাজার টাকা ও মোবাইল দিয়েছি। হাসপাতালে ভর্তির পর এসব নিয়ে সে চলে গেছে।’ তাঁর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বীরগাঁওয়ে। থাকেন মিরপুরের শাহ আলী থানার একটি বস্তিতে। তাঁর স্বামী অন্যত্র বিয়ে করে সেখানেই থাকেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক মো. হেদায়েত আলী খান প্রথম আলোকে বলেন, পারুল বেগম ও তাঁর সন্তানের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু তাঁরা আশঙ্কামুক্ত নয়। তাঁদের সেবা-শুশ্রূষা দরকার। প্রচুর খাবার খাওয়ানোর প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪০:১১   ২৭৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আজকের সকল পত্রিকা’র আরও খবর


নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন হাজী মোহাম্মদ হারিজ খান
সেরে উঠলেন ক্যানসার রোগীরা
আশুলিয়ায় খুশবু রেস্তোরাঁ উদ্বোধন
ধর্মপাশায় ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষকদের কর্মসূচী
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা ও কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি পণ্য সরবরাহ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা ও কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি পণ্য সরবরাহ
বিশ্বব্যাপী প্রবাসীদের প্রতি দায়িত্ব পালনে কূটনীতিকদের আন্তরিক হতে হবে: শেখ হাসিনা
শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় ইদুর নিধন
শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় ইদুর নিধন

আর্কাইভ