বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ নেইমার বার্সেলোনায় এলে তা হবে কাতালানদের জন্য দারুণ এক ব্যাপার—লিওনেল মেসির ধারণা এমনটাই। আর্জেন্টাইন তারকার অভিমত, নেইমারের অন্তর্ভুক্তি বার্সেলোনার খেলায় এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।
নেইমারের বার্সেলোনায় আসার ব্যাপারটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে নানাবিধ জল্পনা। তিনি আদৌ তাঁর বর্তমান ক্লাব সান্তোস ছাড়বেন কি না, ছাড়লেও তিনি বার্সেলোনায় আসবেন কি না—সবকিছু নিশ্চিত করে বলা না গেলেও নেইমারের বার্সায় আগমন নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এ মুহূর্তে যথেষ্ট উচ্চকিত। অবশ্য গণমাধ্যমের জল্পনা-কল্পনায় ঘি ঢেলেছেন নেইমার নিজেই। তিনি নাকি নিজেই সান্তোস ছেড়ে বার্সেলোনায় যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যদিও সান্তোসের সঙ্গে নেইমারের চুক্তির মেয়াদ আছে ২০১৪ সাল পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে যদি বার্সেলোনা ব্রাজিলীয় এই তারকাকে দলে ভেড়াতে সান্তোসের সঙ্গে বিশেষ কোনো চুক্তি সম্পাদন করে ফেলে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
পুরো ব্যাপারটিই ধারণায় আছে মেসির। তার পরও তিনি মনে-প্রাণে চান নেইমার যেন বার্সেলোনায় যোগ দেন।
‘আমি জানি না, নেইমার বার্সেলোনায় আসবে কি না। তবে এটা নিশ্চিত, নেইমার যে মানের খেলোয়াড়, সে ন্যু ক্যাম্পে যোগ দিলে দলে তা ভিন্নমাত্রাই যোগ করবে।’ কাতারভিত্তিক একটি পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এ কথাগুলোই বলেছেন মেসি।
এ মুহূর্তে মেসি তাঁর দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে চান ২০১৪ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের দিকে। তিনি তাঁর দেশ আর্জেন্টিনাকে এবার এনে দিতে চান বিশ্বকাপের অনন্য গৌরব। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিশ্বকাপ জিততে চান দেশের জন্য, নিজেকে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ‘প্রমাণ’ করার জন্য নয়।
‘আমি এসব নিয়ে একেবারেই ভাবি না। আমি বিশ্বকাপটা জিততে চাই, একজন আর্জেন্টাইন হিসেবে, একজন খেলোয়াড় হিসেবে। বিশ্বকাপ জিতলে আমি সর্বকালের সেরা হব—এমন চিন্তা আমার মাথাতেও আসে না।’ মেসির স্পষ্ট ভাষণ।
মেসি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তাঁর সাবেক দুই কোচ—ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড ও পেপ গার্দিওলাকে। তাঁর বয়স যখন ১৭, তখন বার্সেলোনার কোচ হিসেবে রাইকার্ড তাঁকে মাঠের লড়াইয়ে সুযোগ করে দিয়েছিলেন। গার্দিওলার অধীনে তিনি তাঁর ফুটবল ক্যারিয়ারের পূর্ণতা পেয়েছেন। ফুটবল জীবনে এই দুই কোচের ভূমিকা অসামান্য বলেই মনে করেন এই তারকা ফুটবলার।
মেসি বলেন, ‘রাইকার্ডের সময় মাত্র ১৭ বছর বয়সে বার্সেলোনার হয়ে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছিলাম। তিনি আমার ওপর ভরসা রেখেছিলেন। ওই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষাও আমার জানা নেই।’
গার্দিওলার বায়ার্নযাত্রা কষ্ট দিলেও, তা মনের গহিনে লুকিয়ে রেখে তাঁর গুরুকে শুভকামনাই জানান মেসি। গার্দিওলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা আবেগের বলেই জানান তিনি। তাঁর মতে, গার্দিওলা এমন একজন কোচ, তিনি বায়ার্নেই যান আর যেখানেই যান, সফল হবেনই। কারণ, ফুটবল খেলাটা তাঁর চেয়ে সুন্দর করে অনুভব করার মানুষ ফুটবল বিশ্বে খুব একটা নেই। ওয়েবসাইট।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪১:৫১ ৫৯৪ বার পঠিত