মীর কাসেমের আপিল কার্যতালিকায়

Home Page » জাতীয় » মীর কাসেমের আপিল কার্যতালিকায়
বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০১৫



image_127970_0.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর আপিল আবেদন কার্যতালিকায় এসেছে। আদেশের জন্য মামলাটিকে আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকার এক নম্বরে রেখেছে।গত ২২ এপ্রিল মীর কাসেমের আপিলের সার-সংক্ষেপ ২০শে মে’র মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে এ মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মানবতাবিরোধী অপরাধে এ জামায়াত নেতাকে মৃত্যুদ- দেয়। এর বিরুদ্ধে আপিল করেন মীর কাসেম আলী।

২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই দিন বিকেলে মতিঝিলে দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বিকেল সোয়া চারটার দিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
ট্রাইব্যুনাল মীর কাসেম আলীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এরপর ১৯ জুন মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে মীর কাসেমের জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়।

মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, কাসেম আলী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম কলেজে পদার্থ বিজ্ঞানের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি ওই সময় চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি চট্টগ্রাম শহর শাখারও সভাপতি ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনেতিক দলগুলোর সহযোগিতায় ইসলামী ছাত্রসংঘের বাছাই করা সদস্যদের সমন্বয়ে সশস্ত্র আলবদর বাহিনী গঠন করা হয়।

সেই আলবদর বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে মীর কাসেম আলী স্বাধীনতাবিরোধী মূল ধারার সঙ্গে একাত্ম হয়ে বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলায় বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম শহরের দোস্ত মোহাম্মদ পাঞ্জাবি বিল্ডিং (চামড়ার গুদাম), সালমা মঞ্জিল, ডালিম হোটেলসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে মীর কাসেম আলী তার সহযোগীদের নিয়ে আলবদর বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্র গড়ে তোলেন। এসব নির্যাতন কেন্দ্রগুলোতে বহু মানুষকে ধরে নিয়ে তিনি দিনের পর দিন নির্যাতন এবং অনেক লোককে হত্যা করেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন’ ১৯৭৩ এর ৩ (২) (এ) (জি)/৪ (২) ধারায় মীর কাসেমের বিরুদ্ধে আনা ১৪টি অভিযোগের মধ্যে চট্টগ্রামের আসাদনগর ও পাঁচলাইশ এলাকায় আটজনকে নির্যাতনের পর হত্যা ও লাশ গুম এবং ৩৪ জনকে অপহরণের পর চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলে আটকে রেখে নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন ঘটনার অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে। এসব অভিযোগের মধ্যে ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগ ছাড়া বাকি সব ক’টি অভিযোগেই অপহরণ এবং নির্যাতনের বর্ণনা রয়েছে।

১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ছাত্রসংঘ নাম বদলে ইসলামী ছাত্রশিবির নামে বাংলাদেশে রাজনীতি শুরু করলে মীর কাসেম তার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন।

মীর কাসেম আলী জামায়াতের অন্যতম প্রধান অর্থ জোগানদাতা হিসেবে পরিচিত। তিনি রাবেতা আলম আল-ইসলামী নামে একটি এনজিও’র সাবেক আবাসিক প্রতিনিধি। এই প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ক হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন তিনি জামায়াতে ইসলামীর কর্মী হিসেবে যোগ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১:১৭:৫৭   ৩৪৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জাতীয়’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ