তিস্তা চুক্তি সংশোধনে রাজি নয় বাংলাদেশ

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » তিস্তা চুক্তি সংশোধনে রাজি নয় বাংলাদেশ
শুক্রবার, ২২ মে ২০১৫



20141120233753.jpgবঙ্গনিউজ ডটকমঃ অসন্ন বাংলাদেশ সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাছে বাংলাদেশের প্রধান চাওয়া হবে তিস্তার পানি বন্টন। তাই ভারতে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
শুষ্ক মৌসুমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমপরিমাণ পানিপ্রবাহ নিয়ে ২০১১ সালে দু’দেশের মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টনে যে সমঝোতা হয়েছিল, বাংলাদেশ সরকার সে অনুযায়ীই চুক্তিটি সই করতে চায়।
তবে এ চুক্তি সংশোধনের দাবি তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু ভারতের এই চুক্তি সংশোধনের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ।
মোদির ঢাকা সফরের আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে আয়োজিত কূটনৈতিক রিপোর্টারদের বৈঠক হয়।
সেখানে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোজাম্মেল আলী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে যে চুক্তির রূপরেখা আগে তৈরি হয়েছে, সেটাই চূড়ান্ত। এর কোনো সংশোধন বাংলাদেশ চায় না।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে রূপরেখা বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছেন তার কোনো পরিবর্তন হবে না।’
তবে দিলি্লতে কেন্দ্রীয় সরকার এই চুক্তি পরিবর্তনের কোনো প্রস্তাব সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ওই চুক্তিতে শুষ্ক মৌসুমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমপরিমাণ পানিপ্রবাহ নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
তবে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি যেভাবে রাষ্ট্রনেতাসুলভ আচরণ দেখিয়ে সীমান্ত বিলের সমাধান করেছেন, একইভাবে তিস্তা পানি চুক্তিরও সমাধান করবেন।
এ সফর হবে দেড় দিনের। বাংলাদেশের হাইকমিশনারের ধারণা, প্রধানমন্ত্রী মোদি ৫ থেকে ৭ জুন ঢাকা সফর করবেন। কিন্তু গতকাল দিলি্লর হিন্দু পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী এ সফর পিছিয়ে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
গতকাল বাংলাদেশের হাইকমিশনার ভারতীয় কূটনৈতিক রিপোর্টারদের কাছে প্রধানমন্ত্রী মোদির আসন্ন সফর ও বাংলাদেশের প্রত্যাশা নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
তিনি তার প্রাথমিক বক্তব্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যাবতীয় বিষয় উল্লেখ করলেও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পর্কে কোনো বক্তব্য পেশ করেননি।
হাইকমিশনার জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরের সময় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নতুন রেল যোগাযোগ এবং বাস চলাচল নিয়ে আলোচনার অগ্রগতি হবে। বিশেষ করে ১৯৪৭ সালের আগে ভারতের সাতটি পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশ আসা যেত।
এখন সে পথ বন্ধ। এর মধ্যে তিনটি পয়েন্ট চালু হয়েছে। আরও পয়েন্ট হতে পারে কলকাতা থেকে। তেমনি সিলেট থেকে আসাম হয়ে বাংলাদেশ রেললাইন হতে পারে।
এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি, ভারতীয় লগি্ন, ভিসা প্রথা সরলীকরণসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রে সমঝোতা হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ৯:৫৯:৪৪   ৩৭৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আজকের সকল পত্রিকা’র আরও খবর


নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন হাজী মোহাম্মদ হারিজ খান
সেরে উঠলেন ক্যানসার রোগীরা
আশুলিয়ায় খুশবু রেস্তোরাঁ উদ্বোধন
ধর্মপাশায় ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষকদের কর্মসূচী
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা ও কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি পণ্য সরবরাহ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা ও কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি পণ্য সরবরাহ
বিশ্বব্যাপী প্রবাসীদের প্রতি দায়িত্ব পালনে কূটনীতিকদের আন্তরিক হতে হবে: শেখ হাসিনা
শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় ইদুর নিধন
শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় ইদুর নিধন

আর্কাইভ