সালাহ উদ্দিন আহমেদ এর ফোন-স্ত্রী হাসিনা আহমেদ

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » সালাহ উদ্দিন আহমেদ এর ফোন-স্ত্রী হাসিনা আহমেদ
মঙ্গলবার, ১২ মে ২০১৫



salahuddin-ahmed-bnp.jpgবঙ্গনিউজ ডটকমঃ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ ‘নিখোঁজ’ হওয়ার তথ্য সাংবাদিকদের জানানোর দুই মাস পর তার ফোন পাওয়ার কথা জানালেন স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।মঙ্গলবার দুপুরে গুলাশনে নিজের বাসায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সালাহ উদ্দিন ভারতের শিলংয়ের মিমহানস মেন্টাল হসপিটালে আছেন। সেখান থেকেই দুপুরে ঢাকায় ফোন করেন তিনি।

“আমার স্বামী সুস্থ আছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। সবার সহযোগিতা চাই।”

রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে অজ্ঞাত স্থান থেকে এক মাসের বেশি সময় ধরে বিএনপির নামে বিবৃতি পাঠিয়ে আসা সালাহ উদ্দিনকে গত ১০ মার্চ রাতে উত্তরার একটি বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ ধরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে আসছিলেন তার স্ত্রী।

স্বামীর খোঁজ চেয়ে পরদিন রাতে গুলশান থানা ও উত্তরা থানায় জিডি করতে চাইলেও পুলিশ তা নেয়নি বলে সে সময় তিনি অভিযোগ করেন।

সরকারের ‘নির্দেশে’ আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাই সালাহউদ্দিনকে ‘নিয়ে গেছে’ বলে সে সময় বিএনপির পক্ষ থেকেও অভিযোগ করা হয়।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে সে অভিযোগ নাকচ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে তাকে আটক করতে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সালাহ উদ্দিনের অন্তর্ধানে তার দলের ‘হাত রয়েছে’ বলেও সে সময় ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী।

স্বামীর খোঁজ চেয়ে উচ্চ আদালতেও যান সাবেক সাংসদ হাসিনা আহমেদ। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়, তারাও এই বিএনপি নেতার কোনো খোঁজ জানে না।

সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে পাওয়া গেল কি-না সে বিষয়ে নিয়মিত অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে হাই কোর্ট গত ১২ এপ্রিল আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেয়।

এর মধ্যে ১৯ মার্চ ও ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে দুই দফা স্মারকলিপি দিয়ে আসেন হাসিনা আহমেদ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করারও ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

এরপর মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ বিএনপি সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের বরাত দিয়ে সালাহ উদ্দিনের ফোন আসার খবর গণমাধ্যমে এলে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়।

এরই মধ্যে দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে তার গুলশানের বাসায় যান সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী। প্রায় ৪৫ মিনিট পর বেরিয়ে এসে পরে তিনি নিজেই ফোন পাওয়ার কথা সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন।

হাসিনা আহমেদ সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, “ইনশাল্লাহ পাওয়া গেছে। আমি পরে আপনাদের ব্রিফ করব।”

সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন সালাহ উদ্দিন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে কক্সবাজারের সংসদ সদস্য হন এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তার স্ত্রী হাসিনাও সংসদ সদস্য ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৯:১৮   ৪৫৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আজকের সকল পত্রিকা’র আরও খবর


নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন হাজী মোহাম্মদ হারিজ খান
সেরে উঠলেন ক্যানসার রোগীরা
আশুলিয়ায় খুশবু রেস্তোরাঁ উদ্বোধন
ধর্মপাশায় ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষকদের কর্মসূচী
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা ও কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি পণ্য সরবরাহ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা ও কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি পণ্য সরবরাহ
বিশ্বব্যাপী প্রবাসীদের প্রতি দায়িত্ব পালনে কূটনীতিকদের আন্তরিক হতে হবে: শেখ হাসিনা
শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় ইদুর নিধন
শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় ইদুর নিধন

আর্কাইভ