কাল বৈশাখী ঝড়ে বগুড়ায় নিহত ৭ সহ সারা দেশে অন্তত নিহত ১৭

Home Page » প্রথমপাতা » কাল বৈশাখী ঝড়ে বগুড়ায় নিহত ৭ সহ সারা দেশে অন্তত নিহত ১৭
রবিবার, ৫ এপ্রিল ২০১৫



images1.jpgবঙ্গ নিউজ ডটকমঃ শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হেনেছে কালবৈশাখী ঝড়। এতে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় গাছ বা দেয়াল চাপা পড়ে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, ঝড়ের পর ভেঙে পড়া বিলবোর্ড মেরামত করতে গিয়ে আরও অন্তত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।

ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিপাত ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলের। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি।

রাজধানী ঢাকায় বিলবোর্ড ভেঙে দু’জনের মৃত্যুসহ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।

বাংলানিউজের বিভিন্ন স্টাফ, জেলা ও উপজেলা করেসপন্ডেন্টদের পাঠানো খবর:

ঢাকা: সদরঘাটে নদী পারাপারের সময় ঝড়ের কবলে পড়ে হানিফ শেখ (৪০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ের সময় দু’নৌকার মাঝখানে চাপা পড়ে তিনি নিহত হন বলে জানিয়েছেন নিহতের চাচাতো ভাই।

এছাড়া রাজধানীর রমনা থানাধীন শাহবাগের কাছে (শিশুপার্ক সংলগ্ন) সংলগ্ন রাস্তায় ঝড়ে বিলবোর্ড ভেঙে দুই রিকশাচালকসহ এক প্রাইভেটকার আরোহী আহত হয়েছেন। আহত রিকশাচালদের মধ্যে একজন হলেন তারা মিয়া (৩৮)। অপরজনের পরিচয় পাওয়া না গেলেও বয়স আনুমানিক ৫০ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়াও রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় জাকারিয়া (২৮) নামে একজন টিনের আঘাতে এবং ধোলাইপারে আবুল হোসেন (৩০) নামে একজন ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন। তারা উভয়েই ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া, ঝড় আঘাত হানার পর শনিবার দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর বিজয় সরণি এলাকায় বিলবোর্ড মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। দুই শ্রমিক হলেন- মিজানুর রহমান (৩৯) ও আব্বাস আলী (৩০)

কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, বিলবোর্ড ভেঙে সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় তিনি গাড়িতে অবস্থান করায় তার আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়েছে। তবে পুলিশ জানায় গাড়ি রেখে হাজি সেলিম বাড়ি চলে গেছেন।

বগুড়া: বগুড়ার সাজাহানপুর উপজেলায় আব্দুল মান্নান ফাননা (৩০) নামে এক ব্যক্তি ঝড়ের তোপে গাছচাপা পড়ে মারা গেছেন।

তিনি উপজেলার রাধানগর মাঠপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। সন্ধ্যায় বারান্দায় বসে থাকার সময় গাছ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় তার।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

একই উপজেলায় পায়েল ওরফে বুদা (১৬) নামে এক ব্যক্তি দেয়াল চাপা পড়ে মারা গেছেন।

এছাড়া সোনাতলায় উপজেলায় লোহাগাড়া গ্রামে ফিরোজা বেওয়া (৫৫) ঘরের নিচে চাপা পড়ে এবং গাবতলী উপজেলার তিলিহাটা গ্রামে আসমা বেগম (৪৫) গাছের নিচে চাপা পড়ে মারা যান।

এদিকে, ঝড়ের কবলে শহরের গাছপালা ভেঙে পড়ে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বিদ্যুতের খুঁটি। এছাড়া নষ্ট হয়েছে মাঠের ফসল ও অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি।

অন্যদিকে, আদমদীঘিতে রেললাইনের ওপর গাছপালা ভেঙে পড়ে সান্তাহর থেকে দিনাজপুর ও দিনাজপুর-ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

রাজশাহী: ঝড়ের কবলে পড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অজ্ঞাতপরিচয় এক বৃদ্ধা ভিক্ষুকের মুত্যু হয়েছে। সন্ধ্যায় পুরাতন ফোকলোর চত্বর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঝড়ে দেয়ালচাপা পড়ে বাঘা উপজেলার পাকুরিয়ায় জাহানারা বেগম (৬৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া একই উপজেলার কিশোরপুর গ্রামে নদীতে মাছ ধরে ফেরার পথে নৌকা বাঁধতে গিয়ে পাড় ধসে মারা গেছেন এমাজউদ্দিন (৪৫) নামে এক জেলে।

ঝড়ে আম, লিচুসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া মহানগরীর সাহেব বাজার, গোরহাঙ্গা রেলগেট, নওদাপাড়া, বায়া, বিমানবন্দর থানার মোড়, শালবাগান এবং লক্ষ্মীপুর এলাকার রাস্তার ধারের বিভিন্ন গাছপালা ভেঙে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় সাইনবোর্ড ভেঙে গেছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তার পাশের অস্থায়ী দোকান।

মহানগরীর বাইরে রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী, পবা, পুঠিয়া, বাগমারা, বাঘা, চারঘাট ও মোহনপুর উপজেলায় ঝড়ে আম, লিচু বাগান ও পানের বরজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। কিছু স্কুল-কলেজের টিন উড়ে গেছে। কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শরীফুল ইসলাম জানান, ঝড়ের পর মহানগরীর ভদ্রা ও সাগরপাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপর গাছ ও গাছের ডালপালা পড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছেন তারা। বর্তমানে গাছ ও ডালপালা সরিয়ে রাস্তা পরিস্কারের কাজ চলছে।

রাজশাহী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী শাহীনুল ইসলাম জানান, ঝড়ের পরে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিদ্যুতের খুঁটির ওপর গাছ পড়ে যাওয়ায় সংবাদ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে সেসব স্থানে লাইন মেরামতের জন্য গাড়ি ও লোক পাঠানো শুরু হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ: ঝড়ের কবলে পড়ে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটের মাঝপদ্মায় অন্তত ৫ শতাধিক যাত্রী নিয়ে ৬টি ফেরি আটকা পড়ে নোঙর করে থাকে।

ঘণ্টাখানেক পরে রাত পৌনে ৯টায় নদীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওই রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয় ও আটকাপড়া ফেরিগুলো গন্তব্যে ছেড়ে যায়।

বিআইডব্লিউটিসির মাওয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক চন্দ্র শেখর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মানিকগঞ্জ: ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে নদীতে ঢেউ কমে রাত পৌনে ৮টায় চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পাটুরিয়া ঘাট শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দিন রাসেল এ তথ্য জানান।

জামালপুর: জামালপুরের পাঁচ উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে পাঁচ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও বকশিগঞ্জ এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সদরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান লেবু জানান, এ ইউনিয়নে দুই শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

মেহেরপুর: কালবৈশাখী ঝড়ে মেহেরপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ঝড়ে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া মহাসড়কের গাংনী উপজেলার চোখ তোলার মাঠ ও বাঁশবাড়িয়া মাঠের মধ্যে রাস্তার ওপর গাছপালা ভেঙে পড়ে।

এতে অন্তত অর্ধশতাধিক বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন আটকে পড়ে। পরে গাছপালা সরিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়।

এদিকে, ঝড়ের কবলে পড়ে মাঠের সবজিসহ বিভিন্ন ফসল ও উঠতি ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়া প্রবল ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছপালাসহ বেশ কয়েক স্থানে কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন জানান, বিভিন্ন এলাকার ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

ধুনট (বগুড়া): গুড়ার ধুনট উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে দরজা খুলতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে আফজাল হোসেন (৫০) নামে এক কৃষক নিহত হয়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ধুনট উপজেলার চিকাশি ইউনিয়নের জোড়শিমুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আফজাল হোসেন উপজেলার জোড়শিমুল গ্রামের ফয়েজ প্রামাণিকের ছেলে।

ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ঝড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে উপজেলা সদরসহ পুরো এলাকা। ঝড়ে আম, লিচু ও নানা জাতের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এই ঝড়ে বিভিন্ন গ্রামের রাস্তার ধারের বিভিন্ন গাছপালা ভেঙে গেছে।

এছাড়া টিনের তৈরি বাড়ি-ঘর ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়েছে। অনেকের ঘরের চালের টিন উড়ে গেছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাট বাজারের অস্থায়ী দোকানঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

উপজেলার ভান্ডরবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল জানান, ঝড়ে তার ইউনিয়নে প্রায় ৫ শতাধিক বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাফিজুর রহমান জানান, ধুনট পৌর এলাকাসহ ১০ ইউনিয়নে প্রায় ৫ হাজার বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে। এ সব পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করছে।

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): কালবৈশাখীর প্রভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্ডুবাক এলাকায় ও সদর উপজেলার ভাদুগর এলাকায় রেললাইনে গাছ উপড়ে পড়েছে।

এতে রাত সোয়া ৮টা থেকে ঢাকার সঙ্গে পূর্বাঞ্চলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নওগাঁ: মান্দা উপজেলার মহানগর গ্রামে ঝড়ের কারণে দেয়ালধসে শাহনাজ বেগম (৩৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

এ সময় আরো অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাদের মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মান্দা থানার ওসি মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে জেলার সদর, আত্রাই, রানীনগর, বদলগাছী, পোরশা, সাপাহার, নিয়মতপুর, মান্দাসহ আশেপাপশের এলাকার শত-শত বাড়িঘরের চাল উড়ে গেছে। এসব এলাকার হাজার হাজার গাছপালা ও ফসলের ব্যবপক ক্ষতি হয়েছে। আকস্মিক ঝড়ে এসব এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

পাবনা: পাবনায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাঁদমারী এলাকায় ঝড়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে জামেল উদ্দিন (৮০) নামে এক বৃদ্ধ চা বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে।

নিহত জামেল উদ্দিন পাবনা পৌর এলাকার চক গোবিন্দা মহল্লার বাসিন্দা। তিনি ‍রাতে চাঁদমারী মোড়ের অভিযান ক্লাবের পাশে নিজস্ব চায়ের দোকানে ‌ দুর্ঘটনার শিকার হন।

গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়িতে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে যমুনা নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে মোজাম্মেল হক নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (০৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাটি ডুবে যায়। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই ব্যক্তির লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়।

নিহত মোজাম্মেল হক উপজেলার পীরগাছা গ্রামের বাসিন্দা।

কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাফিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের কার্ত্তিকপুর গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর ধ্বসে পড়ে ফারজানা নামের এক বছর বয়সী এক শিশু মারা গেছে। ঝড়ে উপজেলার শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

নিহত শিশু ফারজানা উপজেলার কার্ত্তিকপুর গ্রামের ছলেক মিয়ার মেয়ে।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৯:০৪   ৩৮৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রথমপাতা’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ