বঙ্গ নিউজ ডটকমঃ ঢাকা: সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় উন্নয়ন কল্পে বেলারুশ থেকে ৪১৯ কোটি টাকার যান-যন্ত্রপাতি কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এছাড়া আরো ছয়টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সাতটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ক্রয় কমিটির বৈঠকে বেলারুশ থেকে যান-যন্ত্রপাতি আমদানিসহ ৭টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা এলাকার জন্য বাংলাদেশ ও বেলারুশ সরকারের মধ্যে সম্পাদিত ‘ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অন প্রভিশনস অব এক্সপোর্ট কমোডিটি ক্রেডিট’ চুক্তির আওতায় বেলারুশ থেকে ৪১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকার যান-যন্ত্রপাতি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
যুগ্ম-সচিব জানান, বৈঠকে জাইকা’র অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ‘হাওর এলাকায় বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীববৈচিত্র উন্নয়ন প্রকল্পে’র ম্যানেজমেন্ট, ডিজাইন ও সুপারভিশনসহ অন্যান্য কাজের জন্য পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ কাজের জন্য পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে জাপানের নিপ্পন কোম্পানি লিমিটেড। এতে ব্যয় হবে ৮৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
যুগ্ম-সচিব জানান, দশতলা ফাউন্ডেশনসহ তিনতলা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ভবন নির্মাণের ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যৌথভাবে এ কাজটি পেয়েছে টিয়াল-জহিরুল লিমিটেড। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৯২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর উপজেলা এবং এর আশেপাশের এলাকাকে মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ৫ হাজার মিটার নতুন তীর সংরক্ষণ এবং ২২০ মিটার তীর সংরক্ষণ মেরামতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর দ্বারা নদীতীর সংরক্ষণ কাজে ব্যয় হবে ১৭৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ২০০৭ সালের জরুরী ঘূর্ণিঝড় পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন প্রকল্পের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (সাব কম্পোনেন্ট ডি-২) অংশের আওতায় ‘টেকনিক্যাল ফিজিবিলিটি স্টাডিজ অ্যান্ড ডিটেইলড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন ফর রিভার ব্যাংক ইমপ্রুভমেন্ট প্রোগ্রাম’ শীর্ষক সমীক্ষা পরিচালনার জন্য নিয়োগকৃত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ ১১ মাস বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সময় বাড়ার কারণে এক্ষেত্রে ব্যয় বাড়বে ৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা। মূল প্রস্তাবে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৩৩ কোটি ১২ লাখ টাকা।
এছাড়া ‘নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পে’র ম্যানেজমেন্ট, ডিজাইন ও সুপারভিশন পরামর্শক সেবা চুক্তি এবং একই প্রকল্পের মিউনিসিপ্যাল ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট পরামর্শক সেবা চুক্তির অতিরিক্ত কাজের দু’টি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম প্রস্তাবের অতিরিক্ত কাজের জন্য ব্যয় বাড়ছে ১৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগে এর ব্যয় প্রস্তাব ছিল ৫৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
আর দ্বিতীয় প্রস্তাবের অতিরিক্ত কাজের জন্য ব্যয় বাড়ছে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর পূর্বের ব্যয় প্রস্তাব ছিল ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২১:২০:০০ ২৬৬ বার পঠিত