বঙ্গনিউজ ডটকমঃখালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে বিএনপিপন্থি পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে চেয়ারপারসনের মনোভাব ইতিবাচক বলে তার মনে হয়েছ ।
শুক্রবার রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে তার গুলশান কার্যালয়ে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন।
সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “বিএনপি বরাবরই একটি নির্বাচনমুখী দল। আমার কাছে তার (খালেদা জিয়া) মনোভাব ইতিবাচক মনে হয়েছে।”
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত বছরের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। এর এক বছরের মাথায় এই জোট লাগাতার অবরোধের পাশাপাশি হরতাল কর্মসূচি পালন করে আসছে।
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ঢাকার উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য ২৮ এপ্রিল ভোটের দিন রেখে তফসিল ঘোষণা করেছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিরোধীদল জাতীয় পার্টি ও সিপিবিসহ বিভিন্ন দল ইতোমধ্যে তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। কেবল বিএনপি জোটের স্পষ্ট কোনো ঘোষণা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
অবশ্য বিএনপি নেতাকর্মীদের একটি অংশ যে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে তা স্বীকার করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান।
এমাজউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “ঢাকা ও চট্টগ্রামের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিএনপির ফোরাম হচ্ছে দলের স্থায়ী কমিটি ও ২০ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটি। সেখানেই নির্বাচনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তারা দেবে।”
এ সময়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের প্রতি বিএনপি বেশি নজর দিচ্ছে।”
তিন সিটি করপোরেশনের তফসিল অনুযায়ী মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহীরা ২৯ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন।
কমিশন তা যাচাই-বাছাই করবে ১ ও ২ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত।
মেয়াদপূর্তির কারণে ঢাকা সিটি নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে দীর্ঘ আট বছর ধরে। এরইমধ্যে আগের সীমানা ভেঙে উত্তর ও দক্ষিণের জন্য গঠন করা হয়েছে দুটি আলাদা সিটি করপোরেশন।
আর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়াদ রয়েছে জুলাই পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়েই সেখানে ভোটের আয়োজন হচ্ছে।
এমাজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে গুলশান কার্যালয়ে যায়।
কার্যালয়ের গেইটে পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্যরা নিবন্ধন খাতায় নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ শেষে তাদের অপেক্ষা করতে বলেন। পরে কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়।
প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন- বিএনপিপন্থি প্রাক্তন সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান, অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, অধ্যাপক তাহমিনা আখতার টফি ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার।
নির্বাচনে অংশ নিলে আন্দোলন কর্মসূচির কি হবে জানতে চাওয়া হলে এমাজউদ্দিন বলেন, “দলের স্থায়ী কমিটি ও ২০ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটি যদি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, সেক্ষেত্রে চলমান আন্দোলনের ধরনে পরিবর্তন আসতে পারে।”
তিনি জানান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ ১০ দিন যাবত নিখোঁজ থাকায় বেগম জিয়া তার উদ্বেগের কথা তাদের জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৩:৩৫ ৩৭৬ বার পঠিত