বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ জাতিসংঘ মহাসচিবের দেওয়া চিঠির উত্তর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তার চিঠির উত্তরে জাতিসংঘকে জানিয়ে দিয়েছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে এমন কোনোও দলের সঙ্গে তার সরকার সংলাপে বসবে না।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট দেশের সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রোল বোমার হামলা বন্ধ করে, হরতাল, অবরোধ কর্মসূচি তুলে দিয়ে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনবে এটাই সরকারের প্রত্যাশা।
অন্যদিকে, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তার চিঠিতে সংলাপের পক্ষে তার দলের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। তবে দেশে চলমান সন্ত্রাসের দায় অস্বীকার করেছেন তিনি। ২০-দলীয় জোট নয়, অন্য কেউ এই সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে জানিয়েছেন খালেদা জিয়া।
জাতিসংঘ মহাসচিবের ৩০ জানুয়ারি তারিখ উল্লেখ করা চিঠিটি গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পৌঁছায় খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে। ওই সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মহাসচিবের একটি চিঠি পাঠানোর কথা।
এদিকে, খালেদা জিয়ার চিঠি জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন কার্যালয়েরে মাধ্যমে মহসচিবের দফতরে পৌঁছেছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা অস্বীকার করেছে স্থায়ী মিশন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আবদুল মোমেন বঙ্গনিউজকে জানিয়েছেন তাদের কার্যালয়ে কোনো চিঠি যায়নি। সরাসরি চিঠি পৌঁছেছে কিনা সে ব্যাপারে তার জানা নেই।
বাংলাদেশের সঙ্কট ইস্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সে কথাও উল্লেখ ছিলো তার চিঠিতে।
ঢাকার সংবাদমাধ্যমগুলোতে তারানকোর ঢাকা আসার প্রস্তুতি নিয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তাও সঠিক নয় বলে জানিয়েছে স্থায়ী মিশন।
এ বিষয়ে বঙ্গনিউজের প্রশ্নে ড. মোমেন জানান, গত কয়েকদিনে তার সঙ্গে তারানকোর প্রায় প্রতিদিনই দেখা ও কথা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ সফর নিয়ে এ পর্যন্ত তিনি কোনো কথাই বলেন নি। ‘তারানকোর ভেতরে কোনো তাড়াহুড়া দেখছি না,’ বলেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, এর আগেও তারানকো যখনই বাংলাদেশ সফর করেছেন, আগেভাগে স্থায়ী মিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন, মিশনের মাধ্যমে সরকারের অনুমতি নিয়েছেন। আশা করছি এবারও তার ব্যত্যয় হবে না।
সরকারের সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান জাতিসংঘকে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ড. মোমেন। তিনি বলেন, আমরা জাতিসংঘের কাছে দেশে বিএনপি-জামায়াতের চলমান সন্ত্রাসী তৎপরতার কথা স্পষ্টভাবেই তুলে ধরেছি। এবং সন্ত্রাস করছে এমন কোনও দলের সঙ্গে সংলাপ হবে না বলেও জানিয়েছি।
ড. মোমেন জানান, বাংলাদেশ সরকারের এই অবস্থানের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও দ্বিমত নেই। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চললে সংলাপ অসম্ভব এটাই যুক্তরাষ্ট্রের মত। বাংলাদেশের সমস্যা অভ্যন্তরীণ ভাবে সমাধান হবে এমন প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কোনও সহযোগিতা চাইলে দিতে প্রস্তুত।
কোনও সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নে ড. মোমেন বলেন, এখনও সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:২৮:২২ ৩৩১ বার পঠিত