বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ বিগত কয়েক দিন ভাবছি কি নিয়ে লেখা যায়, আমাদের চারদিকে তাকালে শুধু একটা চিন্তা মাথায় আসে সেটা মানুষ হত্যার রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই না। কিন্তু এত সব আস্থিরতার ভিতরে ফেব্রুয়ারী মাসের ২য় সপ্তাহে খুশির খবর নিয়ে উপস্থিত হলেন সৌিদ আরবের প্রভাবশালী একজন ডেপুিট মিনিস্টার ড আহমেদ আল ফাহিদের নেতৃ্েত্যর ১৯ সদসে্র প্র্তিনিধি দল। বিভিন্ন সময় সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে আমাদের মাননীয় মন্ত্রী (প্রবাসী ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়) ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এবং বেসরকারি রিকুিটং এজেন্সী বায়রার (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশান অফ ইন্টারন্যাশনাল রিকুিটং এজেন্সী) চিঠি চালাচালির এবং আলাপ আলোচনার মাধ্যেমে বিদেশ গমন ইঞ্ছুক ভাই ও বোনদের জন্য সৌদি শ্রম বাজার উন্মুক্ত করেন এবং প্রতি মাসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১০০০০ লেবার নিয়োগ দেবেন বলে জানান। কিন্তু প্রাথমিক পযা্য়ে শুধু নারী শ্রমিক দিয়ে এই কাজ এর সূচনা হবে। এটা আমদের দেশের জন্য সুখবর বটে। আমি কিন্ত একটু আগবারিেয় বলব, সোনায় সোহাগা হবার মত খবর কারন আমদের দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী (সংসদ এর ভিতের এবং বাহিের) ও মহান জাতীয় সংসদের স্পীকার মহিলা বটে।
এই চুক্তি সম্পূর্ণ হবার কয়েক দিন পর বিবিসি জানালা নামে একটি টকশোতে আলাপ আলোচনায় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ তাদের নিজ নিজ মতামত পেশ করেন। চুক্তি সম্পূর্ণ হওয়ায় সবই খুব খুশি কিন্তু নারী শ্রমিক পাঠানো নিয়ে এক ধরনের মতবিরোধ লহ্ম্য করলাম। আমদের দেশের নারীরা সেখানে গিয়ে গৃহসঽ্লে কাজ করবেন। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি অতন্ত্য গুরুত্তপূর্ণ। কারন ইতিমধো আমরা জানতে পারলাম যে, ইন্ডিয়া, ফিলিপিন, ইন্দোনেশিয়য়া ও শ্রীলঙ্কা সহ অন্যান্য দেশগুলো নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করার জন্য শুধু নিরাপত্তা ইস্যু জরিত আমি তা বলছি না। এটা ছাড়া আরও অনেক ইস্যু থাকতে পারে তবে এটা খুবই গুরুত্তপূর্ণ’ একটি ইস্যু ।
মোট কথা এখন যেহেতু আমরা সৌদি আরবে নারী শ্রমিক প্রেরণ করব, তাই নিরাপত্তার ইস্যু নিয়ে আমাদের অনেক ভাববার আছে। মাননীয় মন্ত্রী (প্রবাসী ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়) ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এবং বেসরকারি রিকুিটং এজেন্সী বায়রার (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশান অফ ইন্টারন্যাশনাল রিকুিটং এজেন্সী) সম্মিল্লিত ভাবে কাজ করলে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব বলে আমি অন্তত তাই মনে হয়।
সমস্যা যখন পেয়েছি, সমাধান তখন আমাদেরকে বের করতে হবে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য নি্ম্ন লিখিত পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে বলে আমি মনে করি।
বধ্যতামূ্লক অনলাইন রেজিষ্ণেশন করতে হবে এবং শুধু রেজিষ্ণেশন কৃ্ত নারীরা গৃহকর্মী হিসেবে বিদেশ গমন করতে পারবে।
গৃহকর্মী য়াওয়ার আগে তার সকল প্রয়োজনীয় তথ্য বি এম ই টি কে দিয়ে যাবে এবং সেই তথ্য বাংলাদেশ হাই কমিশনে বধ্যতামূ্লক ভাবে থাকতে হবে।
সৌদি আরবে নারী শ্রমিকের জন্য অবশ্যই সেলটার হোম থাকতে হবে। যাতে করে কর্মীরা যে কোন ধরনের সমস্যার জন্য সেলটার হোমে আশ্রয় গ্রহণ করতে পারে।
কল সেন্টারে ব্যবস্থা করা যেতে পারে যাতে করে কর্মীরা যে কোন ধরনের সমস্যার জন্য কল সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারে। এটা হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি প্রতিছবি।
বাংলাদেশ হাই কমিশনের জনবল বৃিদ্ধ করতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক শ্রমিকের জন্য একজন করে সুপারভাইজর নিয়োগ দিতে হবে যাতে করে তিনি সবসময় কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। প্রয়োজন হলে নিয়োগ কর্তার সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করবেন।
“এক কর্মী এক মোবাইল” এই তথ্যর ভিত্তিতে একজন কর্মীর কাছে একটি করে মোবাইল ফোন রাখার ব্যবসহা করা। যাতে কর্মীরা তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
তিনবার করে নিয়োগ কর্তা পরিবর্তনের সুযোগ রাখা, যাতে কর্মীদের আর্থিক ভাবে কোন ক্ষতি না হয় বরং সাবলম্বি হবার সুয়োগ বেশি থাকে।
কর্মীকে অবশ্যই সৌদি আরবের নিয়ম, কানু্ন গুলো ভালভাবে ট্রেনিং এর মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয়া, যাতে করে তারা সেখানে যাবার পর তা ভালভাবে মেনে চলতে পারে।
আপনি যদি একটু মনোযোগ দিয়ে উপরের সমাধান গুলো নিয়ে ভাবেন, তাহলে সৌদি আরাবে নারী কর্মী প্রেরণ নিয়ে যে জতিলতা আছে, তা অনেক আংশে দূ্র করা সম্ভব হবে বলে আমি অন্তত পক্ষে এটা মনে করি। এখানে আর একটা বিষয় বলে আজকের লেখা শেষ করব তা হলো, মাননীয় মন্ত্রী (প্রবাসী ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়) ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এবং তার মন্ত্রণালয়, বেসরকারি রিকুিটং এজেন্সী বায়রা, বাংলাদেশ হাই কমিশন (সৌদি আরব), কর্মী নিজে এবং অপরাপর সুংগঠন গু্লো নিজেদের অর্পিত কর্তব্য সঠিক সময়ে, সঠিক ভাবে, সঠিক লো্কবল দ্বারা সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হলে আমরা ভাল ফলাফল পেতে পারি, যা আমাদের দেশ এবং জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে বলে আমার মনে হয়।
হুমায়ন কবির
ধ্যনবাদান্তে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও সরকার প্রধান
মাননীয় মন্ত্রী (প্রবাসী ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়) ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন ও মন্ত্রণালয়
সৌদি আরব সরকার ও সরকার প্রধান
বায়রার সভাপতি জনাব আবুল বাশার ও তার সংগঠন বায়রার (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশান অফ ইন্টারন্যাশনাল রিকুিটং এজেন্সী) সকল সদস্যগণ
বাংলাদেশ হাই কমিশন (সৌদি আরব)
বিবিসি জানালা চ্যালেন আই
ফোকাস বাংলা নিউজ ছবি
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৮:৩৪ ৬১৪ বার পঠিত