লিওনেল মেসি অথবা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো - এই দুই তারকার গত ছয় বছর ধরে পাচ্ছেন বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার। এবার ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের লড়াইয়ে চ্যালেঞ্জ জানাবেন জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক মানুয়েল নয়ার।
আগের ১০ বারের বিজয়ীরা:
সাল
ফিফা বর্ষসেরা
ব্যালন ডি’অর
২০০৪
রোনালদিনিয়ো
আন্দ্রেই শেভচেঙ্কো
২০০৫
রোনালদিনিয়ো
রোনালদিনিয়ো
২০০৬
ফ্যাবিও ক্যানাবারো
ফ্যাবিও ক্যানাবারো
২০০৭
কাকা
কাকা
২০০৮
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
২০০৯
লিওনেল মেসি
লিওনেল মেসি
একীভূত
ফিফা ব্যালন ডি’অর
২০১০
লিওনেল মেসি
২০১১
লিওনেল মেসি
২০১২
লিওনেল মেসি
২০১৩
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ও ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের দেয়া ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকা সোমবার ঘোষণা করা হয়েছে।
২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টানা চারবারের বর্ষসেরা মেসি গত মৌসুমে ক্লাব ফুটবলে কোনো শিরোপা জিততে পারেননি। কিন্তু ব্রাজিল বিশ্বকাপে দেশ আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলে আনতে অসাধারণ খেলেছেন তিনি। জার্মানির বিপক্ষে ফাইনালে হেরে শেষটা ভালো না হলেও, ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ঠিকই জিতে নেন বার্সেলোনার এই তারকা। তাই পঞ্চমবারের মতো বর্ষসেরার খেতাবটা মেসির পাওয়ার ভালোই সম্ভাবনা আছে।
২০০৮ সালে প্রথম বিশ্বসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার পর গত বছর মেসিকে পেছনে ফেলে আবারো সেটা নিজের করে নেন রোনালদো। জাতীয় দলের হয়ে জ্বলে না উঠলেও এবার ক্লাবের হয়ে ফর্মের তুঙ্গে আছেন পর্তুগালের এই তারকা।
গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদকে দশমবারের মতো ইউরোপের সেরা ক্লাব টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতাতে অসাধারণ অবদান রাখেন রোনালদো। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গড়েন এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত গোলের রেকর্ড। কিন্তু বিশ্বকাপে গিয়েই নিষ্প্রভ হয়ে পড়েন তিনি। তার দেশ পর্তুগালও গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়ে।
বিশ্বকাপ থেকে ফিরেই অবশ্য ফের পুরনো রূপে ফিরেছেন এই ফরোয়ার্ড। ক্লাবকে উয়েফা সুপার কাপ জেতাতেও দারুণ অবদান রাখেন রোনালদো। তাছাড়া গত মৌসুমে ক্লাবের হয়ে কোপা দেল রে জেতেন তিনি।
মেসি-রোনাদোকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জার্মানির গোলরক্ষক নয়ারের এবারের ফিফা ব্যালন ডি’অর জেতার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
গত মৌসুমে ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখকে জার্মানির শীর্ষ লিগ বুন্দেসলিগার শিরোপা জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল নয়ারের।
আর ব্রাজিল বিশ্বকাপে তো নয়ারের পারফরম্যান্স এককথায় চমৎকার। গোলপোস্টের নিচে দারুণ নৈপুণ্যে জেতেন টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার।
আগামী ১২ জানুয়ারি জুরিখে দেয়া হবে ২০১৪ সালের এই ব্যালন ডি’অর পুরস্কার।
ফ্রান্স ফুটবল ১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা ফুটবলারকে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দিত। ২০০৭ সাল থেকে পুরস্কারটি দেয়া হয় বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে।
২০১০ সাল থেকে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের সঙ্গে একীভূত হয়ে এর নাম হয় ফিফা ব্যালন ডি’অর। বিজয়ীরা নির্বাচিত হন জাতীয় দলগুলোর অধিনায়ক ও কোচ এবং ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের বাছাই করা ক্রীড়া সাংবাদিকের ভোটে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:২১:১৯ ৩৩৬ বার পঠিত