সদ্যপ্রয়াত বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী ছিলেন আমাদের চিত্রকলার জগতে অগ্রগণ্য ব্যক্তিত্ব। বড়, ছোট নানা ক্যানভাসে যেমন, তেমনি চিত্রকলার নানান মাধ্যমে তিনি অসংখ্য শিল্পকর্মের জন্মদাতা। বাংলাদেশে গ্রন্থের অলংকরণ ও প্রচ্ছদে তিনি নিয়ে এসেছিলেন নতুন মাত্রা, আর তা ছিলো এতই বৈশিষ্টমণ্ডিত যে তাঁর আঁকা প্রচ্ছদ ও অলংকরণ চেনার জন্য তাঁর নামের উপস্থিতিরও দরকার হতো না। নানান সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তাঁর উপস্থিতি ছিলো প্রগতিশীল চেতনার সাংস্কৃতিক কর্মী ও শিল্পীদের জন্য এক অনন্য প্রেবণা। তাঁর প্রয়াণ আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে থাকলো ।
শিল্পী ও ব্যক্তি কাইয়ুম চৌধুরী সম্পর্কে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কয়েকজন বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। শিশুসাহিত্যিক রহীম শাহর গ্রন্থনায় এখানে তা উপস্থাপিত হলো। বি. স.
আসাদ চৌধুরী
তিনি ছিলেন সুরের কবি। যারা সংগীত ভালোবাসেন তাদের পাশে সবসময় ছিলেন। যখন সুরের ধ্বনি বয়ে যাচ্ছে পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে তখন তিনি সবার সামনে শেষ কথা বলার আগে লুটিয়ে পড়লেন। তিনি বলেছিলেন আমার একটি কথা আছে। মৃত্যুর আগে শেষ কথা কী তা বলে যেতে পারেননি তিনি। কিন্তু অনেক কথা বলেছেন গত ৮১ বছরের জীবনে।
তিনি শুধু রঙের মানুষ ছিলেন না, শুধু চিত্রকর ছিলেন না, তিনি কবিও ছিলেন। ছোটদের জন্য ছড়ার বইও লিখেছেন তিনি। মৃত্যুর আগে শেষ কথা বলতে পারেননি সত্য। কিন্তু তার বলা কথাগুলো আমরা মনে রাখব চিরদিন।
বাংলাদেশের চিত্রশিল্পে এক কিংবদন্তি পুরুষ ছিলেন তিনি। তার শিল্পী জীবনের শুরু থেকেই বাংলাদেশের বইয়ের প্রচ্ছদে বিপ্লব ঘটিয়ে ছিলেন তিনি। ইতোমধ্যে আমরা বেশকিছু গুণী মানুষকে হারিয়েছি, হারিয়েছি বিচারপতি হাবীবুর রহমান শেলীকে, হারিয়েছি জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীকে, হারিয়েছি ফিরোজা বেগমকে, সরদার ফজলুল করিমকে এবং সর্বশেষ সবার আপনজন, মিতভাষী শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীকে। এটা আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি। বিশাল শূন্যতায় ভুগছি আমরা।
আপনারা জানেন আশির দশকের শেষ দিকে জানোয়ারের ছবি আঁকতে আঁকতে পটুয়া কামরুল হাসানের মৃত্যু হয়েছিল। তৎকালীন স্বৈরাচার সরকারকে তিনি জানোয়ার বলেছিলেন। এমন দুঃসাহসিক মানুষের বড়ই অভাব সমাজে। কাইয়ুম চৌধুরীও ছিলেন অনেক সাহসী মানুষদের একজন। তিনি শুধু চিত্রকর ছিলেন না, তিনি ছিলেন সংগীত পিপাসু একজন লোক, তিনি ভালোবাসতেন চলচ্চিত্র। আমাদের দেশের চলচ্চিত্রের সঙ্গে তিনি একসময় ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।
কত বড় মানুষ ছিলেন তিনি? এ কথা না বলে আমরা বলতে পারি অনেক পুণ্য করেছেন কাইয়ুম ভাই। তা না হলে পঞ্চাশ সহস্র মানুষ তার মৃত্যুর সাক্ষী হবে কেন। দীর্ঘ জীবনও পেয়েছেন তিনি, তার অনিবার্য মৃত্যু মানুষকে কাঁদিয়েছে, এটা যেমন সত্য তেমনি সত্য, তার মৃত্যু ছিল নিষ্কণ্টক। হঠাৎ চলে গেলেন কষ্ট না পেয়ে, কাউকে কষ্ট না দিয়ে-এটা অনেক পুণ্যের পুরস্কার।
সৈয়দ আবদুল হাদী
কাইয়ুম ভাই ছিলেন কাজ-পাগল মানুষ। কাজ করতে করতেই তিনি পরিণত বয়েসে এবং নিজে কোনো কষ্ট না পেয়ে অন্যকে কষ্ট না দিয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এমন ভালো মৃত্যু তো আর হতে পারে না। তার মতো একজন বড়মাপের শিল্পী এবং ভালো মানুষকে হারানোর বেদনা কি করে সইব। তিনি শুধু শিল্পী ছিলেন না, তিনি আমাদের মাথার উপর ছায়া হয়ে ছিলেন। এমন মহান মানুষ ছিলেন তিনি, মানুষকে কীভাবে ভালোবাসতে হয়, মানুষকে কীভাবে মানুষ হিসেবে গণ্য করতে হয়, মানুষকে কীভাবে সম্মান জানাতে হয় তা আমরা শিখেছি আমরা তার কাছ থেকে। তার একটা বড় গুণ ছিল, তিনি কোনোদিন কারও বিরুদ্ধে যেমন কথা বলেননি, তেমনি কারও প্রতি কোনো কারণে রুষ্ট হননি কোনোদিন। ষাটের দশক থেকে আমি তাকে চিনি। শুধু চিনি বললেই ভুল হবে, আমাদের স্নেহ দিয়ে দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছিলেন। তিনি পরিণত বয়েসেই মৃত্যুবরণ করেছেন। এতে আমাদের আক্ষেপ নেই, শুধু একটি কথা বলব, এরকম মানুষের সান্নিধ্য যারা পেয়েছেন আশা করব তারাও একদিন তার শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বাংলাদেশকে আলোকিত করে রাখবেন।
মনিরুল ইসলাম
হঠাৎ কাইয়ুম ভাই চলে গেলেন। সারাক্ষণ তার পাশেপাশে থাকতাম। কিন্তু ঠিক মৃত্যুর সময় আমি তার কাছে থাকতে পারিনি। দুর্ঘটনায় আমার পায়ে মারাত্মক আঘাত লাগায় আমি গত একসপ্তাহ ধরে কোথাও যেতে পারছিলাম না। তার মৃত্যুর দিনেও আমার থাকার কথা ছিল তার সঙ্গে। কেন আমি আঘাত পেলাম? কাইয়ুম ভাইকে শেষ দেখা দেখতে না পারার জন্য। যাহোক যদিও তার বাঁচার ইচ্ছা ছিল আরও, কারণ তিনি জাতিকে আরও কিছু দিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।
আমাদের সামনে তিনি ঢাল হয়েছিলেন। যদিও আমরা বয়সে তার ছোট, কিন্তু তিনি আমাদের বন্ধু ভাবতেন। তিনি আমাদের উপদেশ দেননি কোনোদিন। দিয়েছেন বন্ধুত্বের পাশাপাশি সামাজিকভাবে মর্যাদাবান হওয়ার অনুপ্রেরণা। তিনি অনেক বড় শিল্পী ছিলেন সে তো সবাই জানে। কিন্তু মানুষ হিসেবে কত বড় ছিলেন তা জানি, কাছাকাছি থাকা আমরা কয়জন মানুষ।
শিল্পের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। পরিবর্তন হয়েছে চারুশিল্পেরও। তিনি সবসময় কালকে ধারণ করার চেষ্টা করেছেন। আমরা দেখেছি সে ষাটের দশক থেকে, আমরা যখন থেকে চিনি তখন থেকেই শিল্পকে ভিন্নমাত্রা দেওয়ার জন্য বহুবিধ কাজে লিপ্ত ছিলেন। তিনি দেখিয়ে গেছেন বই প্রকাশনাকে কীভাবে নান্দনিক করা যায়। আমাদের দেশের প্রচ্ছদশিল্পে তার মাপের একজন শিল্পীও খুঁজে পাওয়া যাবে না আর। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন বইয়ের মলাট শুধু মলাট নয়, এটিও একটি বড় পেইন্টিং। এটার কম্পোজিশন থেকে সবকিছু মিলিয়ে তিনি প্রচ্ছদকে পেইন্টিংয়ের মর্যাদা দিতে পেরেছেন।
কামাল লোহানী
কাইয়ুম চৌধুরীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ অনেক সময়ের ব্যাপার। আমার সঙ্গে তার পরিচয় ১৯৫৫ সালে। আমি যখন জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ঢাকা আসি, তখন নবাবপুর রোডের একটি বাড়িতে থাকতাম। এবং সেইখানে আমার বড়ভাই ফজলে লোহানীর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল। তিনি কাইয়ুম চৌধুরীর সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা যে বাড়িতে থাকতাম তার পাশে একটি রেস্টুরেন্ট ছিল, সেখানেই ছাত্র এবং তরুণ শিক্ষকরা আড্ডা দিত। সেখান থেকেই তার সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠতা। পরবর্তীকালে আমাদের এই দীর্ঘ পরিচয়ে নানাভাবে তাকে কাছে পেয়েছি। শিল্পী হিসেবে পেয়েছি, সংগ্রামের সাথি হিসেবে পেয়েছি। শিল্পকলা একাডেমিতে আমি যখন ছিলাম তখন আমাদের যে এশিয়ান আর্ট এক্সিভিশন হয় চিত্রকল্প বিষয়ক যে সমস্ত আলাপ আলোচনা করতে হয়, তখনই আমরা কাইয়ুম ভাইয়ের কথা স্মরণ করতাম। তাকে ডাকতাম। তাকে নিয়ে কাজ করতাম। বিশেষ করে ১৯৯১ ও ২০০৯ আমি শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলাম। তখন কাইয়ুম ভাইয়ের যে সহযোগিতা পেয়েছি তা আমি বলে শেষ করতে পারব না। কাইয়ুম ভাই বড়মাপের মানুষ, শুদ্ধ চরিত্রের মানুষ, একজন মহানুভব মানুষ। আপোসহীন চরিত্র এবং অসাম্প্রদায়িকতার মধ্যে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা একজন সহযোদ্ধাকে আজ হারালাম। আমাদের সমাজে তার জায়গাটি পূরণ হবার নয়।
আবুল বারক আলভী
ডিন, চারুকলা ইনস্টিটিউট
কাইয়ুম চৌধুরী চলে যাওয়া মানে আমাদের মাথার উপর থেকে একজন অভিভাবক চলে যাওয়া। ছবি আঁকার ক্ষেত্রে তিনি তো আমাদের শিক্ষকই ছিলেন। তার সামনে আমি বড় হয়েছি। ছাত্রত্ব পেরিয়ে শিক্ষক হয়েছি। তার সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। শুধু তাই নয়, যেকোনো সামাজিক আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রগণ্য মানুষ। আমরা যখন নানা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হতাম, তখন তাকে রাখতাম সবার আগে। এবং তিনি কোনো ধরনের কৈফিয়ত না দিয়ে নির্দ্ধিধায় চলে আসতেন আমাদের সঙ্গে।
যেহেতু তার ছাত্র ছিলাম পরে কলিগও হয়েছি, কাজেই একসঙ্গে থাকার সময়ও কম পার হয়নি। নীতিগতভাবে আমাদের দুইজনের মিল ছিল বলেই বিভিন্ন কাজে আমরা সঙ্গী হয়েছি। বলা যেতে পারে আমি তার সঙ্গী হয়েছি। দেশে বিদেশে নানান কাজে একসঙ্গে ছিলাম আমরা। যেদিন জেনেছেন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি আমি, সেদিন থেকেই তিনি আমাকে আলাদা চোখে দেখতেন। এটা আমার পরম পাওয়া। এখন আমি চারুকলার ইনস্টিটিউটের ডিন। যেকোনো প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যা হলে আমি পরামর্শ নেওয়ার জন্য ছুটে গিয়েছি তার কাছে। এখন আমি কার কাছে যাব?
আতাউর রহমান
নাট্যকার ও অভিনেতা
কাইয়ুম ভাইয়ের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমি যখন ষাটের দশকের শুরুতে ঢাকা আসি তখন থেকে তার সঙ্গে আমার পরিচয়। আমরা সবসময় শিল্পীদের সঙ্গে উঠা বসা করেছি। শিল্পী জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠতা ছিল না, কিন্তু কামরুল হাসান এবং কাইয়ুম চৌধুরীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক জোরদার। এমনকি ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল আবদুল রাজ্জাক এবং শিল্পী মোহাম্মদ কিবরিয়ার সঙ্গেও। এটার একটা কারণ আছে। আমরা মনে করতাম নাটক করতে হলে শিল্পীদের সঙ্গে পরিচয় থাকতে হবে। সম্পর্ক থাকতে হবে। শিল্প ও নাটকের সঙ্গে একটা যোগ ছিল, আছে এবং থাকবে। কাইয়ুম ভাইয়ের কাছে শিখেছি শিল্প নিজে দেখেন বাইরের মানুষকেও দেখান। আমি গাছের পাতা সবুজ দেখি। কিন্তু কাইয়ুম ভাই সবুজের ভেতর অন্য কিছু দেখেন। তার শিল্পীর চোখের কারণে এরকম হত।
ষাটের দশক থেকেই তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, তা আমি শুরুতে বলেছি। এরকম অনেকের সঙ্গে ছিল। কিন্তু কাইয়ুম ভাই একজন। তিনি আমাদের শিল্পরুচির তাগিদ দিতেন। নাটকে শিল্পের নান্দনিকতা কীভাবে স্পষ্ট হয় তা তিনি আমাদের বলতেন। শুধু নাটক কেন, তার ছিল চলচ্চিত্র ভাবনা, সংগীত ভাবনা। এবং তিনি নিয়মিত দেশি বিদেশি ভালো চলচ্চিত্রগুলো দেখতেন, গান শুনতেন, বই পড়তেন-অবিরাম সাধনায় ছিলেন তিনি। এই সাধনার কারণে তিনি অনেক বড়মাপের মানুষ হয়েছিলেন, শিল্পী হয়েছিলেন। পাশাপাশি শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির যাবতীয় আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
অনেক প্রতিষ্ঠানে তিনি কাজ করেছেন। কিন্তু আমি মনে করি কাইয়ুম ভাই নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান ছিলেন। আমাদের দেশ থেকে এইসব গুণী মানুষদের চলে যাওয়া হয়ত কষ্টের কিন্তু এটাই নিয়ম। এই নিয়মকে আমরা মানছি। কিন্তু একটি কথা তো সত্যি, আমাদের কাইয়ুম ভাইয়ের জায়গাটি তো পূরণ হবার নয়।
দেশ স্বাধীন হবার পর আমাদের দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। সারাবিশ্বে আমাদের শিল্পীরা তাদের তুলির পরিচয় রেখে নিজেরা যেমন সম্মানিত হচ্ছেন, তেমনিই বাড়াচ্ছেন দেশের সম্মান। তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য মানুষ ছিলেন আমাদের কাইয়ুম ভাই। তার জলরঙের কাজ সারাবিশ্বে নন্দিত। আগামী শত হাজার বছর নন্দিত হয়ে থাকবেন তিনি।
কেরামত মওলা
অভিনেতা
আমার প্রিয় মানুষ, আমার গুরু কাইয়ুম চৌধুরী বড় অসময়ে চলে গেলেন। বাংলাকে দেখার, বাংলার মানুষকে দেখার, বাংলার প্রকৃতিকে দেখার, বাংলার জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলার তদুপরি বাংলাদেশকে ধারণ করার মতো মানুষ ছিলেন তিনি। এবং সুন্দরভাবে, সুচারুভাবে তিনি তার কর্মময় জীবন কাটিয়েছেন। তিনি জাগ্রত করেছেন মানুষকে, জাগ্রত করেছেন শিল্পী সমাজকে। মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সঙ্গে কীভাবে একাত্ম হতে হয়Ñতিনি তা আমাদের শিখিয়েছেন। আমি নাটকের মানুষ, তিনি চারুশিল্পী, কিন্তু আত্মা ছিল এক। আমাদের এই একাত্মা করেছিলেন তিনি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে।
জীবনবোধের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্ক রাখতে হয় তা আমরা শিখেছি তার কাছ থেকে। ‘যে শিল্প মাটির সঙ্গে সম্পর্ক থাকে সে শিল্প শিল্প নয়। যে শিল্প মানুষকে কাছে টানে না সে শিল্প কখনও জীবনকে কিছু দিতে পারে না।’ কাইয়ুম ভাইয়ের এ কথাটি কোনোদিন ভুলতে পারব না।
বাংলাদেশ সময়: ১০:১৮:০৩ ৪৪৭ বার পঠিত