বঙ্গ-নিউজঃনারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, মাদক ব্যবসায়ী যে হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের কলিজা টান দিয়ে ছিড়ে ফেলা হবে। যদি দলের কেউ মাদক ব্যবসা করে কিংবা ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় দেয় তা হলে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হবে।বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা কুতুবপুরে এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। শামীম ওসমান বলেন, যারা মাদক ব্যবসা করে তারা সমাজের শত্র”, এরা যতোই শক্তিশালী হোক না কেন তাদের নিমূর্ল করতে হবে। অন্যথায় এ সমাজ থেকে অপরাধ প্রবনতা দূর করা যাবে না। যারা মাদক ব্যবসা করে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা করে তারা উভয়েই এ সমাজ ও জাতীর ভাল চায় না। তাই সমাজকে সন্দুর ভাবে গড়ে তুলতে এবং বর্তমান প্রজন্মের জন্য বাস যোগ্য করতে সমাজের সকল স্তরের এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগীতা কামনা করেন।সমাজ ধংসকারী মাদক ব্যবসায়ীদের হুশিঁয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশালী নেতা বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা আল বদর, রাজাকারদের চেয়েও ভয়ঙ্কর। তাই এ সমাজ থেকে যে ভাবেই হোক মাদক নিমূর্ল করতে হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে কেউ কারো সাথে আপোষ করবেন না। কেউ ভয় দেখালে আমাকে জানাবেন, আমি সব সময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকবো। মাদক ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহবান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আজ পর্যন্ত আপনারা যা করেছেন, কাল থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন। আর যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না আসতে পারেন তা হলে তাদের জন্য কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। এলাকার মুরুব্বিদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, আপনাদের হাতে লাঠি তুলে নিতে হবে না, আমিই আপনার লাঠি। আপনার পাশে আমি সব সময় আছি। রাত ২টায় আমাকে ডাক দিলে আমি শামীম ওসমান আপনাদের পাশে এসে হাজির হবো। এলাকার উন্নয়ণ প্রসঙ্গে সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, আমরা ভিন্ন দলের হতে পারি, কিন্তু এলাকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা সাবাই এক। এলাকা উন্নয়নের স্বার্থে আমি সব করতে পারি।
মাওলানা মোহাম্মদ হোসেন রসুলপুরীর সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারন সম্পাদক শওকত আলী, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ফতুল্লা থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি কাউছার আহমেদ পলাশ, কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, কুতুবপুরের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ শহিদ বাদল, মহাগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, থানা ছাত্রলেিগর সভাপতি আবু মোহাম্মদ শরীফুল হক, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কৃষি সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ইউনুস দেওয়ান, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিমউদ্দিন, সাধারন সম্পাদক মানিক চাঁন, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল খালেক, যুগ্ম সম্পাদক নিশাদ আহমেদ,মোজাফ্ফর শিং,মাওলানা আব্দুর রব, ডা: পারভিন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালেক, ইউপি মেম্বার রোকনউদ্দি, আব্দল হক, লিটন হাওলাদার, ফারুক লাল মিয়া,মো: বাচ্চু, তপন, মীর হোসেন মীরু, হাফিজ উদ্দিন হাওলাদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৫:৪৯ ২৬৬ বার পঠিত