ঢেঁড়সের পুষ্টিগুন জেনে নিন

Home Page » মুক্তমত » ঢেঁড়সের পুষ্টিগুন জেনে নিন
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০১৪



tkkkh.jpgঅনেকেরই প্রিয় সবজি ঢেঁড়স। স্বাদের বাহার যেমন ভর্তা, ভাঁজি আর চচ্চড়িতে, কমতি নেই মাছের সঙ্গে ঝোলেও। গ্রীষ্মকালীন সবজি হলেও প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায় ঢেঁড়স। জনপ্রিয় সবজিগুলোর মধ্যে ঢেঁড়স অন্যতম। আবার কচি ঢেঁড়স ভালো করে শুকিয়ে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্যে সংরক্ষণ করা যায়।ঢেঁড়স শুধু সবজিই নয় আছে অনেক পুষ্টিগুণও। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস এবং ভিটামিন এ,বি এবং সি। আয়োডিনের অভাবে সৃষ্ট গলগণ্ড, মস্তিষ্ক ও হৃৎপিন্ডের দুর্বলতা প্রতিরোধে ঢেঁড়স খুবই উপকারি একটি সবজি।

রক্তচাপ কমায়
ঢেঁড়স রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে থাকলে কালো জামের বীজ চূর্ণ করে এক গ্রাম পরিমাণ চূর্ণের সাথে তিন-চারটে কচি ঢেঁড়স সেদ্ধ পানির সঙ্গে ক’দিন খেলে ব্লাড সুগার কমে যাবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
ঢেঁড়সে রাইবোফ্লাবিনের পরিমাণ এতো বেশি, যা বেগুন, মুলা, টমেটো আর শিমের থেকেও বেশি। কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে ঢেঁড়স বেশ উপকারি। এজন্য বীজ ফেলে দিয়ে দু’তিনটা কাঁচা ঢেঁড়স প্রায় ৪৫০ গ্রাম পানিতে এমনভাবে সেদ্ধ করুন যাতে এক কাপ পরিমাণ অবশিষ্ট থাকে। এবার পানিটা ছেঁকে নিয়ে দুবার খাবেন একঘণ্টা পর পর। এতে প্রস্রাব-পায়খানা উভয়ই পরিস্কার হবে।

কাশি দূর
ঢেঁড়স খেলে খুসকুসে কাশির উপকার হয়। সেক্ষেত্রে বীজ ফেলে দিয়ে কয়েকটি কাঁচা ঢেঁড়স রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখুন। পাঁচ/ছয় গ্রাম ঢেড়সের শুকনা গুঁড়া আর চিনি দিয়ে বড়ি বানাতে হবে। বড়ি চুষে খেলে অল্প সময়ের মধ্যেই উপকার পাওয়া যাবে।

প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের ক্ষরণ দূর
ঢেঁড়স প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের ক্ষরণ দূর করতেও সহায়ক। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করলেও অনেক সময় প্রস্রাবের পরিমাণ কম হতে পারে। এমনটি হলে বীজ ফেলে দিয়ে ৩/৪টা কাঁচা ঢেঁড়স আধা সের পরিমাণ পানিতে সেদ্ধ করুন। পানি অর্ধেক পরিমাণ থাকতেই নামিয়ে ছেঁকে নিন। এই পিচ্ছিল পানি খেলে প্রস্রাব সরল হয় এবং পরিমাণেও বেড়ে যায়। কয়েকদিন এই পানি খেলে প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের ক্ষরণের সমস্যা দূর হয়।

বাংলাদেশে ঢেঁড়স কেবল সবজি হিসেবেই খাওয়া হয়। কিন্তু কোনো কোনো দেশে ঢেঁড়সের পাতাও সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে যাদের হজম শক্তি তেমন ভালো নয়, তাদের এ উপকারী সবজিটি বেশি খাওয়া উচিত নয়। ভারতে পরিষ্কার গুড় তৈরির জন্যে আখের রসের সঙ্গে ঢেঁড়সের শেকড় ও কাণ্ড ব্যবহার করা হয়। তুরস্কে এর বীজ কফির বিকল্প হিসেবে খাওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২:১৭:১৯   ৫৬৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

মুক্তমত’র আরও খবর


পাণ্ডুলিপি প্রকাশনের বাইশটি বছর : সোনালি অভিযাত্রায় স্বর্ণালি পালক মোঃ আব্দুল মুনিম জাহেদী (ক্যারল)
দেশ ছাড়ছেন, তবু রাশিয়ানরা সেনাবাহিনীতে যোগ দিচ্ছে না ?
স্বামীজীর শিকাগো গমন - দুর্গম ও নাটকীয় এক অভিযাত্রা: শেষ পর্ব- স্বপন কুমার চক্রবর্তী
স্বামীজীর শিকাগো গমন - দুর্গম ও নাটকীয় এক অভিযাত্রা: পর্ব-২: স্বপন চক্রবর্তী
স্বামীজীর শিকাগো গমন - দুর্গম ও নাটকীয় এক অভিযাত্রা -স্বপন চক্রবর্তী
১৫ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু: উইলিয়াম বার্নস
প্রধানমন্ত্রী পুত্র-কন্যা সহ সেতু পারি দিয়ে গোপালগঞ্জ গেলেন
ঐতিহাসিক ৬ দফা ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ: প্রধানমন্ত্রী
শনিবার দেশে আনা হচ্ছে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর লাশ
জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী

আর্কাইভ