প্রতি বছরে ১৩ লাখ শিশু হারিয়ে যায় ভারতে

Home Page » জাতীয় » প্রতি বছরে ১৩ লাখ শিশু হারিয়ে যায় ভারতে
সোমবার, ১৩ মে ২০১৩



016443137_30300.jpgইনাম, বঙ্গ নিউজ ডটকম :শিশু নিখোঁজের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট দেবার জন্য ভারতের শীর্ষ আদালত নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে৷ পাচার করা শিশুদের লাগানো হয় বেগার শ্রমিক, মাদক চালান ও যৌন শোষণ ইত্যাদি কাজে৷প্রতি ঘণ্টায় একটি শিশুর শৈশব নিলাম হয়ে যায় ভারতে৷ ২০১১ সালে ৯০ হাজার হারিয়ে যাওয়া শিশুর খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ তাই হারানো শিশুদের খোঁজ খবর করার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই-এর অধীনে এক বিশেষ সেল গঠনের সুপারিশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন৷ বলা হয়েছে, পাচারকারীদের সহজ শিকার হয় যেসব শিশু, তাদের এবং তাদের পরিবারের সুরক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিসকে আরো বেশি সক্রিয় ও দায়বদ্ধ হতে হবে৷

সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে, সবথেকে লাভজনক অপরাধমূলক ব্যবসাগুলির মধ্যে অন্যতম শিশু পাচার৷ মাদক এবং অস্ত্রশস্ত্র পাচারের মতোই এটা লাভজনক৷ কী কাজে লাগানো হয় পাচার করা শিশুদের? বেগার শ্রমিক হিসেবে, খেত মজুর হিসেবে, কার্পেট ও পোশাক শিল্পে, বাড়ির কাজে এবং যৌন সম্ভোগের কাজে৷ এছাড়াও আরো অনেক কাজে ব্যবহার করা হয় পাচার করা শিশুদের৷ যেমন, ভিক্ষাবৃত্তি, অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিক্রি, শিশু পর্নোগ্রাফি৷
এরা পাচারকারীদের সহজ শিকার হয় মূলত আর্থ-সামাজিক কারণে৷ স্রেফ দারিদ্র নয়, আছে বাল্য বিবাহ, বন্যা, সাইক্লোনের মতো প্রাকতিক বিপর্যয়, সাংসারিক হিংসা ও অত্যাচার এবং বেকারি৷ আড়কাঠিরা গরিব মা বাবাকে টাকার টোপ দিয়ে গ্রামাঞ্চল থেকে নিয়ে যায় শহরে৷ তারপর হাত বদল হবার পর কারোর জায়গা হয় যৌন পল্লিতে, কারোর জায়গা হয় বেগার শিশু শ্রমিকের অমানবিক জীবন সংগ্রামে৷

অনেকে মনে করেন, শিশু পাচার বন্ধ না হবার অন্যতম কারণ পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা৷ প্রথমত, পুলিশ নিখোঁজ শিশুর ডায়রি নিতে চায়না৷ নিলেও তার তদন্ত করে না ঠিকমতো৷ এই সমস্যা সবথেকে বেশি চোখে পড়ে জনজাতি এলাকায় যেখানে বালক-বালিকা অনুপাতের ফারাক গোটা দেশের তুলনায় কম৷ 016443138_40400.jpgতাই গরু ছাগলের মতো বালিকাদের বেচাকেনা সেখানে সহজ৷ ঐসব এলাকা থেকে বালিকাদের পাচার করা হয় সেই সব রাজ্যে, যেখানে লিঙ্গ-অনুপাতের বৈষম্য বেশি৷ যেমন, হরিয়ানা, রাজস্থান, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র ও দিল্লি৷ চাকরির লোভ দেখিয়ে যেসব সংস্থা শিশুদের নিয়ে এসে বিভিন্ন কাজে লাগায়, তাদের ওপর কড়া নজর রাখার সুপারিশ করেছে শিশু অধিকার সুরক্ষা সংক্রান্ত জাতীয় কমিশন৷ কমিশনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ শিশুদের শিক্ষার অধিকার বাস্তবায়নের৷ প্রতিটি শিশু যদি স্কুলে নাম লেখায়, তাহলে তাদের ওপর নজর রাখার কাজটা সহজ হয়৷ নিখোঁজ হওয়া মাত্র রিপোর্টও করা যায়৷

হারিয়ে যাওয়া শিশুদের খুঁজে বের করে তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেবার আর একটা বিজ্ঞানসম্মত উপায় হলো, জাতীয় ডিএনএ ডেটা ব্যাংক গঠন৷ তাতে থাকবে হারানো শিশুর মা-বাবা, দাবিহীন মৃতদেহ এবং অপরাধীদের ডিএনএ ডেটা৷

বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৫:০৫   ৬০২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জাতীয়’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ