বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ গত দুই দশকে ভারতে দিওয়ালি মানে পটকা, দীপ, আলোকসজ্জা আর শাহরুখ খানের নতুন সিনেমার মুক্তি। সেলুলয়েডে দিওয়ালির আনন্দ ছড়িয়ে দিতে কখনোই পিছপা হন নি শাহরুখ। ঈদ যেমন সালমান খানের জন্য সৌভাগ্য ডেকে আনে তেমনই দিওয়ালি শুভ প্রমাণিত হয়েছে শাহরুখের জন্য। আবার বড়দিনের সময়টাতেই সাধারণত মুক্তি পায় আমির খানের সিনেমা।
এ বছর দিওয়ালিতে মুক্তি পেল ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’। শাহরুখ খান-দিপিকা পাড়ুকোন জুটির এ তৃতীয় সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন সোনু সুদ, বোমান ইরানি, অভিষেক বচ্চন এবং ভিভান শাহ। ফারাহ খান পরিচালিত এই সিনেমাটিকে এখনই ধরা হচ্ছে বছরের সেরা হিট হিসেবে।
শাহরুখের আরও নয়টি সিনেমার কথা তুলে ধরা হচ্ছে যেগুলো মুক্তি পেয়েছিল এই উৎসবের মৌসুমে
বাজিগর
১২ই নভেম্বর ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় আব্বাস-মাস্তান পরিচালিত রোমান্টিক থ্রিলার ‘বাজিগর’। অ্যান্টি-হিরোর চরিত্রে শাহরুখের অভিনয় বক্স-অফিসে ঝড় তুলেছিল। দুই নায়িকা শিল্পা শেঠি এবং কাজলের সঙ্গে শাহরুখের এই থ্রিলার দিওয়ালির মৌসুমকে আরও উপভোগ্য করে তুলেছিল সিনেমাপ্রেমীদের জন্য।
দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় পর্দাজুটি শাহরুখ-কাজলের এই সিনেমাটিও মুক্তি পেয়েছিল দিওয়ালিতে। আদিত্য চোপড়া পরিচালিত এই সিনেমার মাধ্যমেই প্রথমবারের মত রোমান্টিক হিরো হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন শাহরুখ। শুরু হয় ‘রাহুল’-এর যাত্রা, যে নামে এরপর বার বার পর্দায় এসেছেন শাহরুখ। বলিউডের সর্বকালের সেরা ব্লকবাস্টার খেতাব পাওয়া এই সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৯৫ সালের ১৯শে অক্টোবর।
দিল তো পাগাল হ্যায়
মন ভোলানো সঙ্গীত আর মাধুরি দিকশিত ও কারিশমা কাপুরকে নিয়ে আবারও পর্দায় হাজির শাহরুখ। ইয়াশ চোপড়া পরিচালিত শাহরুখের এই মিউজিক্যাল ড্রামা মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালের ৩১শে অক্টোবর।
কুছ কুছ হোতা হ্যায়
সময়টা ১৯৯৮ সাল। দিওয়ালিতে ছবি মুক্তির ধারাবাহিকতা ততদিনে বেশ পোক্ত করে নিয়েছেন কিং খান। প্রথমবারের মত পরিচালকের আসনে বসলেন কারান জোহার। বন্ধুত্ব এবং প্রেমের এক এমন গল্প তৈরি করলেন, যা আজও হিন্দি সিনেমার দর্শকদের মনে গেঁথে আছে। সিনেমায় শাহরুখের সঙ্গে ছিরেন রানি মুখার্জি এবং কাজল।
মোহাব্বাতে
মাঝখানে এক বছরের বিরতির পর ২০০০ সালে আবারও নিজের পুরনো রীতিতে ফিরলেন শাহরুখ। এবার তিনি এলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন এবং অমিতাভ বচ্চনের হাত ধরে। প্রেম ও দ্বন্দ্বের বয়ান ‘মোহাব্বাতে’ নির্মাণ করেন ইয়াশ চোপড়া।
ভির জারা
এরপর চার বছরের বিরতি। অবশেষে ২০০৪ সালের দিওয়ালিতে বেশ তোড়জোড় করেই ফিরেছিলেন শাহরুখ। প্রিতি জিনটা এবং রানি মুখার্জির সঙ্গে আরও একবার ইয়াশ চোপড়ার পরিচালনায় কাজ করলেন। বাজিমাত করলেন এবারও।
ডন
২০০৬ সালের দিওয়ালিতে অমিতাভ বচ্চনের জুতোয় পা গলালেন প্রথমবারের মতো। কিংবদন্তি চরিত্র ‘ডন’-কে আবারও নিয়ে এলেন পর্দায়। ফারহান আখতারের পরিচালনায় অভিনয় করলেন ‘ডন’-এর রিমেইকে
ওম শান্তি ওম
পরের বছর দিওয়ালিতে প্রথমবারের মতো সেলুলয়েডে আবির্ভূত হলো শাহরুখ খান-দিপিকা পাড়ুকোন জুটি। ফারাহ খান পরিচালিত ‘ওম শান্তি ওম’ বক্স-অফিসে ব্যপক সাফল্য পায়।
জাব তাক হ্যায় জান
মাঝখানে কেটে গেছে ছয়টি বছর। ২০১২ সালের দিওয়ালিতে ‘জাব তাক হ্যায় জান’ নিয়ে ফেরেন তিনি। ইয়াশ চোপড়ার ক্যারিয়ারের শেষ সিনেমা হিসেবে এর প্রতি দর্শকের আগ্রহ ছিল অনেক বেশি। ‘জাব তাক হ্যায় জান’-এ শাহরুখের সঙ্গে অভিনয় করেন ক্যাটরিনা কাইফ এবং আনুশকা শর্মা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৬:৫১ ৪৪০ বার পঠিত