বঙ্গ-নিউজ:বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের সেক্স নিয়ে বিতর্কের ঝড় থামছেই না।কলকাতার বিতর্কিত নির্মাতা সুশান্ত বসু তসলিমার সেক্সসিম্বল গল্প ও উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে একটি টেলিভিশন সিরিয়াল নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। সিরিয়ালটিতে তসলিমা নিজেও দুরান্ত চরিত্রে অভিনয় করবেন। এতে তসলিমা নতুন করে বিতর্কের জন্ম দেবেন। কলকাতার নামকরা নির্মাতারা ইতিমধ্যে বলতে শুরু করেছেন, জি বাংলা কিংবা স্টার জলসার পালের হাওয়া কাড়ার জন্যই সুশান্ত তসলিমার নৌকায় পা দিয়েছেন। তসলিমার ডুবন্ত নৌকায় চড়ে সুশান্ত তার পালে নতুন হাওয়া সৃষ্টি করতে চাইছে। এ প্রসঙ্গে সুশান্ত বসু বলছেন, ‘অন্য চ্যানেলের পালের হাওয়া কাড়তে পারব কি না জানি না। তবে আকাশ-৮ চ্যানেলকে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম দেয়ার জন্য পরিচালক হিসেবে আমাকে চ্যালেঞ্জ তো নিতেই হবে, দেখা যাক কী হয়।’ এ প্রসঙ্গে কলকাতার উঠতি লেখক অমিয় ঘোষের ভাষায়, “তসলিমা সেক্সকে যেভাবে খোলামেলাভাবে তার গল্পে ও উপন্যাসে উপস্থাপন করেছেন, তসলিমা লজ্জা না পেলেও পাঠকরা পড়ে লজ্জিত না হয়ে পারে না।” তিনি অভিযোগ করেন, “তসলিমা জনপ্রিয়তা অর্জনের কৌশল হিসাবেই সেক্সকে খোলামেলাভাবে উপস্থাপন করেন।”এ প্রসংগে তিনি তসলিমা নাসরিনের ‘আমার মেয়ে বেলা’ বইটির ৪২নং পৃষ্ঠার একটি অংশ তুলে ধরেন:”শরাফ মামা তার শরীর কে হাসতে হাসতে আমার ওপরে ধপাশ করে ফেলে আবার টেনে নামান আমার হাফ প্যান্ট। আর নিজের হাফ প্যান্ট খুলে তার নুনু ঠেশে ধরেন আমার গায়ে। বুকে চাপ লেগে আমার শ্বাস আটকে থাকে। ঠেলে তাকে সরাতে চেষ্টা করি আর চেঁচিয়ে বলি- এইটা কি কর, সর শরাফ মামা সর। গায়ের সব শক্তি দিয়ে ঠেলে তাকে এক চুল সরাতে পারি না।-মজার জিনিস দেখাইতে চাইছিলাম, এইডাই মজার জিনিস। শরাফ মামা হাসেন আর সামনের পাটির দাঁতে কামড়ে রাখেন তার নিজের ঠোঁট।-এইটারে কি কয় জানোস, চোদাচুদি। দুনিয়ার সবাই চোদাচুদি করে। তোর মা বাপ করে,আমার মা বাপ করে। শরাফ মামা তার নুনু ঠেলতে থাকেন বিষম জোরে। আমার বিচ্ছিরি লাগে। শরমে চোখ ঢেকে রাখি দু হাতে!”অমিয় ঘোষ বলেন, যে কোনো লেখকই পাঠকের কাছে এভাবে তার জীবনের গল্প তুলে ধরতে পারেন না। যিনি পারেন তাকে আর যাই হোক সুস্থ মতিস্কের মানুষ বলা যায় না। তিনি আরো অভিযোগ করেন, “সুশান্ত বাবু তসলিমা নাসরিনের সেক্স নিয়ে মিডিয়া জগতে আবার বিতর্কের ঝড় তুলবেন।”এ প্রসঙ্গে সুশান্ত বসু বলেন, তসলিমা নাসরিন আমাদের সমাজ জীবনের বাস্তব চিত্রই তার গল্পে ও উপন্যাসে তুলে ধরেছেন। টিভি সিরিয়ালটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দুঃসহবাস হলো তসলিমার চোখ দিয়ে দেখা সমাজ। যেখানে একই ছাদের নিচে থাকার ফলে বোঝা যায়, আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।’ ধারাবাহিকটির সিরিয়ালটিতে উঠে উত্তর কলকাতার এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বাধীনচেতা তিন বোনের গল্প। যেখানে পরিবারের সবার বড় মেয়ে চান্দ্রেয়ী, কালো বলে বিয়ে হয় না তার। সঙ্গে আছে মেজ মেয়ে বৈশাখী। আর সবার ছোট সমতা, যার কোনো কিছুতেই কোনো আপোষ নেই তার, কাউকে মানতে নারাজ। অন্যদিকে যার দৃষ্টিভঙ্গিকে উপজীব্য করে এগিয়ে যাবে সিরিয়াল সেই তসলিমা নাসরিন বলেন, “আসলে শর্টস পরলে আর সিগারেট খেলেই মেয়েরা প্রগতিশীল হয় না। যে মেয়েদের এ সিরিয়ালে দেখানো হবে তারা চিন্তাভাবনায় আর মননে স্বাধীন, প্রগতিশীল। আবার সেক্সের ক্ষেত্রে হবে সাবলীল ও বাস্তবধর্মী।” কাহিনীকার ছাড়াও সিরিয়ালটির বিশেষ এক মুহূর্তে তসলিমা নাসরিনের প্রসঙ্গ চলে আসবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘লজ্জা উপন্যাসে সুরঞ্জন ছিল ঢাকার ছেলে। আর এ ধারাবাহিকে দেখানো হবে, সে চলে আসে কলকাতায়। আলাপ হয় একটি মেয়ের সঙ্গে। তাকে কথা প্রসঙ্গে সুরঞ্জন জানায়, ‘লজ্জা’ উপন্যাসে আমি তার কথা লিখেছিলাম। ঠিক এভাবেই আমি আছি এ সিরিয়ালে।’ তসলিমা নাসরিন বর্তমানে কলকাতায় নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। তিনি সুইডেনসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশেও নির্বাসিত জীবনযাপন করেন। তবে সবকয়টি দেশেই বিখ্যাত বিখ্যাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যৌনাচার অভিযোগ এনে বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেন। সমালোচকদের মতে, তসলিমা যতোটা তার পান্ডিত্যের জন্য আলোচিত, তারচেয়ে বেশি সেক্সের জন্য সমালোচিত। তিনি সমালোচনায় বারবার বিয়ে বিচ্ছেদ ও প্রেম বিচ্ছেদ নিয়ে। তিনি বিভিন্ন সময়ে নামীদামি কবি, সাহিত্যিক. লেখক ও সাংবাদিকদের সাথে যৌন সম্পর্কে জড়ান। আবার নিজেই তার ফাঁস করে দেন। এসব ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- কলকাতার সাড়া জাগানো লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, ব্রিটিশ বিধর্মী লেখক সালমান রুশদী, সুইডেনের সাংবাদিক মার্ক ব্লাদো। বাংলাদেশের খ্যাতনামা কয়েকজন কবি-লেখকও সেক্স স্ক্যান্ডাল তালিকায় ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৮:০০ ১৭০০৮ বার পঠিত