নতুন প্রজন্মের মাঝে রাসেলকে খুঁজে পাই: প্রধানমন্ত্রী

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » নতুন প্রজন্মের মাঝে রাসেলকে খুঁজে পাই: প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০১৪



image_79065_01.jpgতমাল,ডেস্ক রিপোর্টঃপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত, সুখী-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তার সরকার এ লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ হয়ে ওঠার আহবান জানান শিশু-কিশোরদের প্রতি। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫১তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শেখ রাসেলের বড় বোন শেখ হাসিনা ছোট ভাইয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। রাসেলবিহীন ৩৯ বছরের বেদনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন নতুন প্রজন্মের মাঝেই আমি আমার রাসেলকে খুঁজে পাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস শেখানোর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছিল, দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছিল। আমরা ক্ষমতায় গিয়ে সে ধারা বন্ধ করেছি। এখন শিশু-কিশোররা সঠিক ইতিহাস শিখছে। তাদেরকে বড় মানুষ হয়ে ওঠার জন্য সব উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। শিশু অধিকার রক্ষায় কাজ করছি। একদিন তোমরাই দেশের নেতৃত্ব দেবে উল্লেখ করে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যোগ্য মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার আহবান জানান তিনি। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী আলোচনা সভা শেষে কৃতী ছাত্র-ছাত্রী এবং দাবা, চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাকে বাবার মরদেহের পাশ থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিদেশে ছিলাম। একবার ভেবেছিলাম, রাসেলকেও নিয়ে যাই। কিন্তু আব্বা-আম্মা তাকে ছাড়তে চাননি। রাসেলকে নিয়ে গেলে আজকে সে বেঁচে থাকতো ও তার বয়স ৫০ বছর হতো বলেও আক্ষেপ করেন শেখ হাসিনা। বারট্রান্ড রাসেলের নামে মা তার ছোট ভাইয়ের নাম শেখ রাসেল রাখেন বলেও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাট্রান্ড রাসেলের ভক্ত ছিলেন। তার বইয়ের অনুবাদ বাবা মাকে পড়ে শোনাতেন। এ অনুপ্রেরণা থেকে মা তার ছোট সন্তানের নাম রাসেল রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড শুধু একটি পরিবারকে হত্যাকাণ্ডই ছিল না, এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাওয়া দেশকে পেছনে নিয়ে যাওয়া আর স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে দেশকে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তাকে ক্ষমতার লোভে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরিবারের দোষ কি ছিল? ছোট্ট শিশু রাসেলের কি দোষ ছিল? আমরা সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার করে দেশকে এগিয়ে নিয়েছি। নারী-শিশু হত্যার বিচার করেছি। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড আর কোনো দিন যেন ঘটতে না পারে সেক্ষেত্রে এ বিচার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি রাজনৈতিক কারণে বার বার জেল খেটেছেন, আর আমরা ভাই-বোনেরা পিতৃস্নেহ বঞ্চিত হয়েছি। বিশেষ করে ছোট্ট শেখ রাসেল বার বার আব্বাকে খুঁজতো। জেলখানায় মাসহ আমরা বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও ছোট্ট শিশুটিকে কষ্ট পেতে দেখেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৮:১৪   ৪১৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আজকের সকল পত্রিকা’র আরও খবর


নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন হাজী মোহাম্মদ হারিজ খান
সেরে উঠলেন ক্যানসার রোগীরা
আশুলিয়ায় খুশবু রেস্তোরাঁ উদ্বোধন
ধর্মপাশায় ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষকদের কর্মসূচী
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা ও কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি পণ্য সরবরাহ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা ও কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি পণ্য সরবরাহ
বিশ্বব্যাপী প্রবাসীদের প্রতি দায়িত্ব পালনে কূটনীতিকদের আন্তরিক হতে হবে: শেখ হাসিনা
শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় ইদুর নিধন
শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় ইদুর নিধন

আর্কাইভ