চট্টগ্রাম আদালত ভবনে বস্তা ভর্তি টাকা!

Home Page » জাতীয় » চট্টগ্রাম আদালত ভবনে বস্তা ভর্তি টাকা!
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৪



iyyyyyyyyyymages.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদক,বঙ্গ-নিউজ ডটকম:চট্টগ্রামের আদালত পাড়ায় প্রায় ৫৮ লাখ টাকা ভর্তি বস্তা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এত বিপুল পরিমাণ টাকা আদালত প্রাঙ্গণে কার কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা নিয়ে চলছে নানা কানাঘুষা। উদ্ধার হওয়া টাকাগুলো ঘুষের বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। তবে পুলিশ বলছে, টাকার উৎস তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে টাকাসহ ধৃত ইলিয়াছ (৩৩) টাকার উৎস সম্পর্কে কোনো তথ্য দিচ্ছে না পুলিশকে। জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশকে একেক সময়ে একেক ধরনের তথ্য দিচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে মানস কুমার দাশ নামে এক আইনজীবীকে মোবাইলে জেএমবি পরিচয় দিয়ে বোমা মেরে আদালত ভবন উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি আইনশৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করার পর সকাল থেকে আদালতকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। বসানো হয় চেকপোস্ট। আর চেকপোস্টে তল্লাশির সময়ে আটক করা হয় এসব টাকা। আদালতপাড়া থেকে টাকা উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর নগরজুড়ে এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ঘটনায় জড়িত মূল হোতাদের টাকার উৎস খুঁজে বের করারও দাবি জানিয়েছেন অনেকে।

আদালত এলাকার একাধিক সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার (এলএ) শীর্ষ এক কর্মকর্তাকে টাকাগুলো ঘুষ হিসেবে দিতে নেয়া হচ্ছিল। অন্য সূত্রের দাবি, আদালতকেন্দ্রিক কোনো লেনদেনের জন্য টাকাগুলো নিয়ে আসা হয়েছে। তবে সবগুলো সূত্র উদ্ধার হওয়া টাকা ঘুষের বলে নিশ্চিত করেছে। পুলিশ জানান, দুপুর একটার দিকে অ্যানেক্স ভবনের সামনে হাতে চটের থলে নিয়ে সন্দেহজনকভাবে এক ব্যক্তিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাকে অনুসরণ করেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এ সময় আরেক ব্যক্তি এসে তার কাছ থেকে থলেটি নেয়ার সময় পুলিশ এগিয়ে গেলে থলে নিতে আসা ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সদস্যরা ইলিয়াছ নামে থলে বহনকারীকে আটক করে। পরে চটের থলেটি তল্লাশি করে নগদ ৫৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। একটি সূত্র দাবি করছে, পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি ভূমি অফিসে সার্ভেয়ার হিসেবে কর্মরত। তাকে গ্রেফতার করা গেলে প্রকৃত ঘুষ লেনদেনসংক্রান্ত তথ্য বেরিয়ে আসবে। ওই সূত্রটি আরও দাবি করছে, চট্টগ্রাম আদালতে প্রতিদিন প্রকাশ্যে কয়েক কোটি টাকার ঘুষ লেনদেনের ঘটনা ঘটছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম জানান, সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় এক ব্যক্তির কাছে থাকা চটের থলেতে তল্লাশি চালিয়ে টাকাগুলো পাওয়া যায়। এগুলো কোথা থেকে আনা হচ্ছে এবং কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তি আগ্রাবাদ এলাকায় অবস্থিত একটি মেশিনারি পার্টসের দোকানের কর্মচারী বলে দাবি করছে। তার মালিকের নির্দেশে টাকাগুলো আদালতে জনৈক ব্যক্তিকে দেয়ার জন্য এনেছে বলে দাবি করছে। কিন্তু তার মালিকের নাম পরিচয় কিছুই জানাচ্ছে না। একেক সময় একেক রকম তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে সে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫০:৩৬   ৬০৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জাতীয়’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ