নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের রোল মডেল হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেছেন।তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রশংসিত হয়েছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান এবং নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে আমাদের সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন বিশ্ব নেতারা। একই সঙ্গে তারা আমাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নেরও প্রশংসা করেছেন।’
শুক্রবার বিকেল পৌনে পাঁচটায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিনিয়োগ বান্ধব দেশ গড়তে উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে। বাংলাদেশের বিনিয়োগ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’
এদিকে, আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিতর্কিত বক্তব্যের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, অবিবেচকের মতো কথা বললে তা কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না। এর বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। লতিফ সিদ্দিকীর ব্ক্তব্যে সরকার বেকায়দায় পড়েনি। উনি নিজেই বেকায়দায় পড়েছেন। এতে সরকারের বিপদের কোনো কারণ হয়নি।
বিনিয়োগবান্ধব দেশ গড়তে উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, এবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। এমডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এসব সাফল্য অর্জনে জাতিসংঘে বাংলাদেশে ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর হয়ে চলেছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যান প্রধানমন্ত্রী। ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে ভাষণ দেন তিনি।
জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেও যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া, জাতিসংঘ মহাসচিব বান-কি-মুন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে ২৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন তিনি। যুক্তরাজ্যে দু’দিনের ব্যক্তিগত সফর শেষে ১ অক্টোবর লন্ডন থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী। ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফেরেন তিনি।
পবিত্র হজ, মোহাম্মদ (স.), তাবলীগ জামাত, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর অযাচিত মন্তব্যে এরই মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে। ধর্মীয় অনভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা ও এসব মামলায় সমনও জারি হয়ে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের ব্যাপারে তিনি যখনই জানতে পেরেছেন, তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি।
এ-সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অফিস খুললেই লতিফ সিদ্দিকীর অব্যাহতি-সংক্রান্ত ফাইল রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হবে। লতিফ সিদ্দিকীর দলীয় পদের ব্যাপারে দলের সভাপতিমণ্ডলী আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন আগ্রহ দেখালাম তখন কোনো খবর ছিল না। এখন কার সঙ্গে আলোচনা করবো?’
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ ও হত্যাকারীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়।’
- See more at: http://www.thereport24.com/article/61650/index.html#sthash.O1bX4zbQ.dpuf
বিএনপির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন আগ্রহ দেখালাম তখন কোনো খবর ছিল না। এখন কার সঙ্গে আলোচনা করবো?’ তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ ও হত্যাকারীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়।’
বিএনপির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন আগ্রহ দেখালাম তখন কোনো খবর ছিল না। এখন কার সঙ্গে আলোচনা করবো?’
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ ও হত্যাকারীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়।’
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৩৭:৫৮ ২৬৩ বার পঠিত