বঙ্গ-নিউজ ডট কম: দুই মাসেই ধুয়েমুছে সাফ ইট, সুরকি আর পিচের ঢালাই। গত ঈদের আগে সড়কগুলো যে মেরামত করা হয়েছিল, এখন তা বোঝারই উপায় নেই। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় সরকারি তহবিলের ৩০০ কোটি টাকা মহাসড়কের তথাকথিত মেরামতের নামে ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু তা কোনো কাজে আসছে না জনকল্যাণে। ঢাকাসহ যেসব সড়ক-মহাসড়কের ভাঙা রাস্তা, বড় বড় গর্ত জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করা হয়েছিল। আরেকটি ঈদ না আসতেই সেই সব সড়ক আবার পুরনো চেহারায় ফিরেছে। কাজেই এবারো উৎসবের ছুটিতে সড়কপথে ঘরেফেরা মানুষকে পোহাতে হবে সীমাহীন ভোগান্তি।
ইতোমধ্যে সড়ক-মহাসড়কগুলোর বেহাল দশা নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-আমলা ও সড়ক বিভাগের লোকজনের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। প্রতি ঈদের আগেই তারা এটি করে থাকেন। কারো কারো মতে এটি লোক দেখানো। তবে অপর পক্ষের বক্তব্য শত কোটি টাকা লুটের প্যাকেজ এটি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এমনও সড়ক রয়েছে যেগুলোতে গত আট বছরেও মেরামতের ছোঁয়া লাগেনি। ফলে ভাঙাচোরা, খানাখন্দে ভরা সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রতি নিয়ত ঘটছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সম্প্রতি দুর্ঘটনায় পড়ে স্বামী-স্ত্রী নিহত হওয়া ছাড়াও বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দেশের অনেক বিভাগ ও জেলা সড়কের রাস্তা সংস্কার ও উন্নয়নের দাবিতে মানববন্ধন, জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি, হরতাল পর্যন্ত করেছে ুব্ধ জনগণ। কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হওয়ায় ঈদুল আজহা যতই ঘনিয়ে আসছে, ঘরমুখো লাখো মানুষের দুশ্চিন্তা ততই বাড়ছে। যানজটের কারণে এবারো মহা ভোগান্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, রাস্তা নিয়ে মন্ত্রীর হাঁকডাক এবারো শুরু হয়েছে। তিনি (ওবায়দুল কাদের) ঈদের আগেই দেশের ভাঙাচোরা সব রাস্তা মেরামত করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের। কিন্তু প্রকৌশলীরা বলছেন, ‘ওই পর্যন্তই’। মন্ত্রী টাকা না দিয়েই ঠিকাদারদের কাজ করতে বলছেন। প্রকৌশলীরা চাকরি বাঁচাতে ঠিকাদারদের হাত-পা ধরে টুকটাক কাজ করাচ্ছেন। কিন্তু এখন ঠিকাদাররাও বকেয়া বিল পরিশোধ না করা পর্যন্ত আর কাজ করতে চাচ্ছেন না। প্রকৌশলীরা নাম প্রকাশ না করে বলেন, মূলত মন্ত্রীকে দেখানোর জন্যই এই মুহূর্তে দেশের অধিকাংশ এলাকায় দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলীরা রাস্তায় তৎপরতা দেখাচ্ছেন। বাস্তবে আগামী নভেম্বরের আগে সড়কের বেহাল দশা কাটিয়ে ওঠার কোনো সম্ভাবনা নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের সাতটি বিভাগ ও জেলা সড়কগুলোর বেশির ভাগ রাস্তাঘাট ভেঙে, বড় বড় গর্ত হয়ে মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে জোড়াতালি দিয়ে সড়কগুলো সংস্কার করা হয়। নি¤œমানের কাজ ও সম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে বেশির ভাগ রাস্তার পিচ-সুরকি উঠে গেছে। ফলে অনেক রাস্তায় যানচলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গতকাল সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ফিরোজ ইকবালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সারা দেশের সড়কের বেহাল দশার পুরো চিত্র না জানিয়ে বলেন, এই মুহূর্তে সিলেট ও ময়মনসিংহের রাস্তাঘাটগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। আর যেভাবে প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে তাতে আসন্ন ঈদের আগে সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকবে। সাধারণ মানুষকে এই দুর্ভোগ থেকে কিভাবে উত্তরণ করা যায় সে নিয়েই মন্ত্রীর সাথে আমরা দিনরাত বৈঠক করছি আর রাস্তায় সময় পার করছি। বলতে পারেন মন্ত্রী ও আমাদের এখন ঘুম নেই। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঠিকাদারদের সাথে আমার বসে তো কোনো লাভ হবে না। কারণ সড়ক সংস্কারে এই মুহূর্তে ফান্ড নেই। মন্ত্রণালয় যদি আমাদের অর্থ বরাদ্দ দেয় তাহলেই আমরা ভাঙাচোরা রাস্তা দ্রুত মেরামত করতে পারব।
সরেজমিন জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অধিকাংশ স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। কুমিল্লা বিশ্বরোড থেকে চৌদ্দগ্রাম-ফেনী পর্যন্ত রাস্তা দেবে মাঝেমধ্যে আইল্যান্ডের মতো হয়ে গেছে। এতে এই সড়ক দিয়ে চলাচল দুরূহ হয়ে পড়েছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে রাজশাহী, যশোর, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের অধিকাংশ সড়কে।
প্রধানত যশোর-খুলনা রোডের ৩৩ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। এই কাজ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ১১বার পরিদর্শন করেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছ্ইু হয়নি। মন্ত্রী গত ২২ ফেব্রুয়ারি পরিদর্শনে এসে ঠিকাদারদের বলে গেছেন ৭০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। সর্বশেষ আবার ২৩ জুলাই মন্ত্রী এসে সড়কের অবস্থা দেখেন। রাস্তাগুলোতে ভাঙাচোরা ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এই মহাসড়ক দিয়ে যানবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এবারো কোনো কাজ হয়নি। পরে মন্ত্রী ুব্ধ হয়ে খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলীকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন। দায়িত্ব দেয়া হয় সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়া জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীকে। মন্ত্রী এবার তাদের বলেন, তিন দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। অদ্যাবধি এসব সড়কের অগ্রগতি হয়নি। আমাদের প্রতিবেদক জানান, যশোর-নোয়াপাড়া শহর থেকে রাজঘাট শেষ সীমানা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে যানবাহন কোনোরকমে চলাচল করছে। এ ছাড়া যশোর থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত ২২ কিমি রাস্তার কাজ এখনো শেষ হয়নি। যেসব জায়গায় গর্ত ছিল সেগুলো ইট বসিয়ে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করা হয়েছে। তা-ও উঠে যাচ্ছে।
খুলনা থেকে ১৮ মাইল পর্যন্ত ভালো। কিন্তু সেখান থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত রাস্তা খুব খারাপ। এখানে কপোতাক্ষ নদের পানি উঠে পুরো রাস্তা বিলীন হয়ে গেছে। ১০ কিমি রাস্তা ভাঙাচোরা। গত ঈদের মতো এবারো এই সড়ক ব্যবহারকারী যাত্রীদের ভোগান্তি হবে। এ ছাড়া খুলনা মহাসড়কের রূপদিয়ায় বড় বড় গর্ত হয়ে রাস্তা কাঁচা হয়ে গেছে। এখানকার দায়িত্বশীলরা জানান, প্রয়োজনীয় তহবিল পাওয়া যাচ্ছে না, যে কারণে সড়কের সংস্কারকাজ শুরু হচ্ছে না।
গত ঈদে যে সড়ক মেরামত করা হয়েছিল সেগুলো বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে। হালকা কংক্রিট আর ব্রিকফিল্ডের ভাঙা ইট-সুরকি দিয়ে মেরামত করায় সড়কগুলো স্থায়ী হয়নি। বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ বাড়ে। সীতাকুণ্ড ধুমঘাট থেকে চট্টগ্রামের সিটি গেট পর্যন্ত ৬৫ কিমি বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দক হয়ে গেছে। এ সড়কের কাজগুলো যারা করছেন তারা ঠিকমতো সংস্কার না করায় এবারো ঈদে মানুষের মহা ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
এই মুহূর্তে এখানকার রাস্তাঘাটের ফিজিক্যাল কন্ডিশন ভালো। ভাঙাচোরা নেই। তবে পথে পথে চাঁদাবাজি হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত সড়ক মোটামুটি ভালো। তবে দু-একটা জায়গায় সমস্যা রয়েছে। কাটাখালী বাজারের ৫০-৬০ গজ ও বানেশ্বর বাজারের ১০০ গজ রাস্তা খুবই ভাঙা।
সিলেট, জাফলংসহ অন্যান্য সড়কের অবস্থা খুবই বেহাল। গোয়াইনঘাট এবং জৈন্তাপুর উপজেলার দুু’টি সড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে পিচ উঠে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। এসব সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহন ও পর্যটকরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। দীর্ঘদিন ধরে সড়ক মেরামত ও উন্নয়নের কাজ না হওয়ায় এখানকার মানুষ মানববন্ধন করেছে। জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছে। তাতেও সাড়া মেলেনি। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়কটি দীর্ঘ দিনেও সংস্কার হয়নি। বিশেষ করে সালটিকর থেকে ভোলাগঞ্জ অংশে যানবাহন চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এই সড়কটি সংস্কারের দাবিতে পরিবহন মালিকরা ধর্মঘট ও হরতাল করেছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। সিলেট-গোয়াইনঘাট সড়কটি বন্ধ হওয়ায় বিকল্প রাস্তা শারিঘাট হয়ে লোকজন সিলেট আসছে। এ ছাড়া সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কেরও বেহাল দশা। ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই সরকারের আমলে সংস্কার নেই বললেই চলে। নতুন রাস্তা নির্মাণ হয়নি। পুরনো যেগুলো ছিল সেগুলো ভেঙে গর্ত হয়ে একাকার হয়ে গেছে। সিলেট বিভাগের লোকজন ুব্ধ বর্তমান সরকারের ওপর। যোগাযোগ উন্নয়নে তারা ব্যর্থ।
রংপুর থেকে গাইবান্ধা ধাতেরহাট পর্যন্ত রাস্তা ভালো ছিল। সেটি আরো ভালো করতে গিয়ে উঁচু-নিচু হয়ে গেছে। পিচ উঠে গেছে। মিঠাপুকুর এলাকায় উঁচু-নিচু গর্তে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী নিহত হন ক’দিন আগে। তিনি বলেন, শেরপুরের পর বগুড়া মাঝিরা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বনবনা মোড় পর্যন্ত পিচ উঠে গেছে। এই রাস্তা ঠিক করা হয়নি। ঈদে ঘরমুখোদের চরম ভোগান্তি হবে। রংপুর থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত সড়কের সৈয়দপুরের পর দিনাজপুরের দশ মাইল এলাকার রাস্তা খারাপ। এ ছাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক রংপুর হয়ে কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট পর্যন্ত সড়কে গাড়ি চলছে লাফিয়ে লাফিয়ে।
ঢাকা থেকে ভোর ৫টায় যে গাড়ি ফেনীর উদ্দেশে ছেড়েছে সেটি স্বাভাবিকভাবে ৯টায় পৌঁছার কথা। কিন্তু ওই গাড়ি পৌঁছেছে বেলা ১টায়। ব্যাপক যানজটের কারণে এমনটি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ফেনীর রাস্তাঘাটের অবস্থা তুলনামূলক অন্যান্য জেলা থেকে ভালো। মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঈদের সময় সার্কিট হাউজে থাকেন। তাই এখানকার প্রকৌশলীরা টুকটাক কাজ থাকলেই সেটি মেরামত করে ফেলছেন। তবে যেসব রাস্তার কাজ হচ্ছে সেগুলো নি¤œমানের। তিনি বলেন, এরপরও ফেনীর বাইপাস অংশ জগন্নাথদীঘিরপাড় থেকে মহুরীগঞ্জ এই এলাকার সড়কে গর্ত রয়েছে।
বরিশাল মহানগরীর ব্যস্ততম সড়ক পোর্ট রোড। সেখানে রাস্তাঘাট ভাঙাচোরা থাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটার পাশাপাশি পথচারীদের দুর্ভোগ হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে যাচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে এই সড়কের সংস্কার হয় না। কিছু অংশ সংস্কার করা হলেও এখনো ৫০০ গজ রাস্তার কাজ অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।
গতকাল ফেনী থেকে ঢাকায় আসা ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলেন, কুমিল্লা থেকে ফেনী পর্যন্ত সড়কের অবস্থা এমন হয়েছে যে, ভেঙেচুরে সড়কগুলো চিকন হয়ে গেছে। গর্তের কারণে যেকোনো সময় পড়ে যেতে পারে এমন আতঙ্ক নিয়ে চালকেরা গাড়ি চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে স্টার লাইন সার্ভিসে উঠে বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছেন। সাড়ে ৩ ঘণ্টা রাস্তা পার হতে এখন লাগছে ৭ ঘণ্টা।
সড়কের বেহাল দশার কারণ জানতে চাইলে গতকাল সড়ক ও জনপথ ঠিকাদার সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদুল হক নয়া দিগন্তকে বলেন, এবারের আসন্ন ঈদে ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষের যানবাহনে ভোগান্তি বাড়বে। ঢাকা সার্কেলের প্রত্যেকটি রাস্তায় বড় বড় গর্ত রয়েছে। এসব রাস্তা টুকটাক মেরামত হয়। রাস্তা মেরামত করতে যে পরিমাণ টাকা দরকার সেই পরিমাণ টাকা দেয়া হচ্ছে না। যার কারণে গাড়ি চলাচলে অচল হয়ে পড়ছে। যেমন ঢাকা ডিভিশনে ছয়টি বিভাগ রয়েছে। এরমধ্যে মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ অন্যান্য জায়গায় পানি জমে রাস্তা ধসে যাচ্ছে। মানিকগঞ্জের বেশ কিছু রাস্তা ধসে গেছে। এসব জেলার প্রকৌশলীদের যে পরিমাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল তা গত ঈদেই শেষ হয়ে গেছে। আগের বকেয়া ১০০ কোটি টাকাই নির্বাহী প্রকৌশলীরা পরিশোধ করছেন না। নতুন কাজ করে কবে টাকা পাবো তার তো কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছি না। তা ছাড়া ইমার্জেন্সি সময়ে কোন পদ্ধতিতে কাজ করব। এসব ব্যাপারে মন্ত্রীর সাথে আমরা দেখা করতে ধরনা দিচ্ছি। কিন্তু তিনি আমাদের সময় দিচ্ছেন না। মন্ত্রী লোকজনের মাধ্যমে বলছেন টাকার ব্যাপারে প্রধান প্রকৌশলীর সাথে বসার জন্য। কিন্তু প্রধান প্রকৌশলীর সাথে বসলে এর সমাধান হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমাদের বকেয়া টাকা উঠাতে হলে আন্দোলন করতে হবে, এ ছাড়া সম্ভব নয়।
এ দিকে গতকাল মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গাবতলী ব্রিজসংলগ্ন ইউ-লুপ সড়ক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, আসন্ন দুর্গাপূজা ও ঈদ উপলক্ষে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ও ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও মহাসড়কের সংস্কার কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। এবারো ঘরমুখো যাত্রীরা স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বঙ্গ-নিউজ ডট কম/আব্দুর রব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:২১:১২ ৪৬০ বার পঠিত