আদালত খালেদার দুই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর

Home Page » জাতীয় » আদালত খালেদার দুই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর
বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪



1132012begum-khalida-zia-400x300.jpgবঙ্গ-নিউজ: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছে আদালত।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ বাসুদেব রায় এই দিন ধার্য করেন।
উচ্চ আদালতে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকায় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করে সময়ের আবেদন করেন।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে খালেদা জিয়া ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের অস্থায়ী আদালতে পৌঁছান।
এ সময় আদালতের বাইরে বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অবস্থান নেন। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ফাঁকা গুলিবর্ষণ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
গত ২৭ জুলাই আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে ৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। একইসঙ্গে খালেদাকে আদালতে হাজির হতে মৌখিক নির্দেশ দেন আদালত।
দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।
চার্জ গঠন করা হয় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর আট আসামির বিরুদ্ধেও।
ওই দিন খালেদার উপস্থিতিতে মামলা দুটির চার্জ শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকা তৃতীয় ও বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
পরে এ মামলায় অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগের বৈধতা এবং অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। উভয় আবেদনই হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যায়। পরে আপিল বিভাগে এ বিষয়ে চারটি আবেদন করে খালেদা জিয়া।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।
জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ খান।
২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের জামিন পান। পরের বছরের ১৭ জানুয়ারি খালেদা জিয়া ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জামিননামা দাখিল করেন।
মামলায় অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান জামিনে আছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৫:০৪   ৩৪৩ বার পঠিত  




জাতীয়’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ