বঙ্গ-নিউজ: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালার আয়োজন করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।প্রথমবারের মতো ৩ দিনব্যাপী এ কর্মশালা শুরু হচ্ছে ৩০ আগস্ট। প্রথমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে রংপুর বিভাগে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এবং রংপুর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হবে।
এতে অর্থের যোগান দেওয়া হবে স্ট্রেংদেনিং ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ (এসইএমবি) প্রকল্প থেকে।
ইতোমধ্যে কর্মশালার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রংপুর বিভাগী কমিশনারকে নির্দেশনাও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির উপ-সচিব মো. সামসুল আলম স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কর্মশালার প্রথম দুই দিন নির্বাচন ব্যবস্থাপনার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে সুপারিশমালা প্রণয়নের বিষয়ে আলোচনা হবে।
এতে রংপুর বিভাগ থেকে ৪ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ১৫ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, ১ প্রিজাইডিং ও ১ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ১ জন পোলিং কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সব জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ২০ থেকে ২৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করবেন।
কর্মশালার তৃতীয় ও শেষ দিন অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর প্রার্থী ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (সিএমএস) ও ফলাফল ব্যবস্থা সিস্টেম (আরএসএম) নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এ কাজে সবাইকে অবহিত এবং আমন্ত্রণ জানাবেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা।
কর্মশালায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য চার কমিশনার এবং ইসি সচিব উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেছেন, দশম সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ও ফলাফল ব্যবস্থাপনায় আমাদের বেশ কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। বিশেষ করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এ সমস্যার সূত্রপাত।
তিনি বলেন, এছাড়া নির্বাচনের আগে ও পরে ভোটার তথ্যে গরমিল নিয়েও বেশ সমস্যা হয়। নির্বাচনের আগে মূল সার্ভারের ভোটার সংখ্যার সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ের পাঠানো ভোটার তালিকার ভোটার সংখ্যায় মিল ছিল না।
একইভাবে নির্বাচনে পরে ফলাফল সমন্বয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো ভোটার সংখ্যায় গরমিল দেখা দিয়েছিলো। সে সময় প্রায় ৯০টি আসনে এই গরমিল দেখা দেওয়ায় বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে ইসিকে।
কর্মশালায় এই বিষয়গুলো ছাড়াও ভোটের উপকরণ কিভাবে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা থাকবে।
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিভাগেও এ রকম কর্মশালার আয়োজন করবে ইসি।
উল্লেখ্য, দশম সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। ভোট হয়েছে বাকি ১৪৭ আসনে। প্রায় ৫ কোটি ভোটার ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। নির্বাচনে ব্যাপক সহিংস ঘটনায় প্রায় ৩০০ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা আহন হন, নিহত হন বেশ কয়েকজন। আর নির্বাচনের আগে ও ওই দিন সকালে ভোট কেন্দ্র স্কুলে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
-
বাংলাদেশ সময়: ৯:১৫:৪৪ ৫৩৫ বার পঠিত