তমালঃবঙ্গ-নিউজডটকমঃ আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। প্রতিবারের মতো এবারও যথাযোগ্য মার্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালন করবে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে দলের সহযোগি ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করবে।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি স্মরণের লক্ষ্যে আগস্ট মাসের শুরু থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। যদি বাঙালি হও নিঃশব্দে কাছে এসো, আরো কাছেএখানেই শুয়ে আছেন অনন্ত আলোয় নক্ষত্রলোকেজাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ।সূর্য উদয়ের সময় বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সংগঠনের সকল স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল পৌঁনে সাতটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়াও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং নগরীর প্রতিটি শাখা থেকে শোক মিছিলসহ বঙ্গবন্ধু ভবনের সম্মুখে আগমন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।
সকাল সাড়ে সাতটায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল করা হবে। সকাল ১০ টায় টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করবে দলটি। শোক দিবস উপলক্ষে ১৬ আগস্ট শনিবার বিকেল চারটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামীলীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন- আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। এছাড়া জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীগণ আলোচনায় অংশ নেবেন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর সঙ্গে পালনের জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন, ভ্রাতৃপ্রতিম, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সংস্থাসমূহের সকল স্তরের নেতা-কর্মী- সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।সেই রাতে আকাশে ছিল ঘনকালো মেঘ। ছিল না চাঁদ থেকে নেমে আসা ফুটফুটে জ্যোৎস্না। বৃষ্টি হয়েছিল মধ্যরাতে। শেষ শ্রাবণের নিকষ অাঁধারে ডুব দিয়েছিল রাতের ঢাকা। অমানিশার অন্ধকারে রচিত হয়েছিল বাঙালির ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়। ভোরের আলো ফোটার আগে ঘোরকৃষ্ণ প্রহরে ঘাতকের দল হানা দিয়েছিল স্বাধীনতার সূতিকাগারে। নিদ্রাচ্ছন্ন নগরীর নীরবতাকে ছিন্নভিন্ন করে ঘাতকরা নির্মম বুলেটে হত্যা করেছিল তাকে- ‘লোকটির নাম বাংলাদেশ। শেখ মুজিবুর রহমান’। রক্তাক্ত ১৫ আগস্ট ছিল শুক্রবার। ঊনচল্লিশ বছর পর আজকের শোকাবহ ১৫ আগস্টের দিনটিও শুক্রবার। গতকাল সারা দিন বৃষ্টি হয়েছে। শ্রাবণধারা রাতে নিশ্চয়ই নগরীর বৃষ্টিভেজা চোখে ভেসে উঠেছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক বাড়িতে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের মর্মস্পর্শী দৃশ্যপট। নিষ্পাপ শিশুর কান্না, নিরীহ নারীর আর্তনাদ কান পেতে শুনেছে সেই মর্মন্তুদ ঘটনার নীরব সাক্ষী এই মহানগরী। সেদিন মেঘবৃষ্টির কালরাতে প্রকৃতি বুঝি আগেই জানতে পেরেছিল ওরা খুন করবে বাঙালির স্বাধীন জাতিরাষ্ট্রের স ষ্টাকে। জনকের রক্ত স্রোতে ভাসাবে বাংলাদেশ। তাই বুঝি সেই কালরাতে বৃষ্টি হয়ে ঝরেছিল প্রকৃতির অব্যক্ত কান্না।
বাংলাদেশ সময়: ০:২৯:৫৩ ৪৮৩ বার পঠিত