ঈদেই চালু হচ্ছে দেশের প্রথম এবং এশিয়ার দীর্ঘতম ক্যাবল কার

Home Page » এক্সক্লুসিভ » ঈদেই চালু হচ্ছে দেশের প্রথম এবং এশিয়ার দীর্ঘতম ক্যাবল কার
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০১৪



7329.jpgবঙ্গ- নিউজঃ চট্টগ্রামে এবার ঈদেই চালু হচ্ছে দেশের প্রথম এবং এশিয়ার দীর্ঘতম ক্যাবল কার। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা বন বিটের সবুজ বনাঞ্চল এলাকায় বন বিভাগের অধীন শেখ রাসেল অ্যাভিয়ারি অ্যান্ড রিক্রিয়েশন পার্কের (পক্ষীশালা ও বিনোদন কেন্দ্র) দুই কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাবলের উপর পর্যটক বহনকারী কার সংযোজনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ঈদের পরদিন থেকেই ক্যাবল কারে চরে পর্যটকরা লেক, সবুজ প্রকৃতি আর পাখিদের অভয়ারণ্যে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাবেন।অ্যাভিয়ারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা বিপুল কৃষ্ণ দাশ জানান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা ও হোসনাবাদ ইউনিয়নের সবুজ পাহাড় বেস্টিত এলাকা ঘিরে দেশের দীর্ঘতম দুই কিলোমিটার ক্যাবল কার স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। ক্যাবল কারগুলো এখন পর্যটক বহনে প্রস্তুত। ইতিমধ্যে ক্যাবল কারের পরীক্ষামূলক পরিচালনা প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। ঈদের পর পরই ক্যাবল কারে চরে পর্যটকরা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক কৃষ্ণ পদ সাহা জানান, বাংলাদেশে প্রথম ও এশিয়ার দীর্ঘতম চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার এই অ্যাভিয়ারি পার্ক। সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পার্কটি নির্মিত হয়েছে। দেশে প্রথমবারের মত পার্কের ভিতরে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাবলকার স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া পার্ক এলাকায় কৃত্রিম লেক তৈরিসহ, পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল তৈরির আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করেছে বন বিভাগ।
নেদারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পার্কে আনা হয়েছে পাখি। ঈদের পর পুরো পার্ক এলাকা জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা বিপুল কৃষ্ণ জানান, কোদালা বন বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের প্রায় সাড়ে ৫‘শ একর বনভুমিতে দেশের প্রথম অ্যাভিয়ারি এন্ড রিক্রিয়েশন পার্ক গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। সারা বিশ্বের মধ্যে মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় রয়েছে এ ধরনের অ্যাভিয়ারি এন্ড রিক্রিয়েশন পার্ক। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা।
বিপুল কৃষ্ণ জানান, এটি এমন একটি পার্ক যেখানে শুধু পাখি ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণের জন্য একটি অভয়ারণ্যভিত্তিক বৃক্ষ আচ্ছাদিত সবুজ পাহাড়ি বন গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে হাজার হাজার বুনো পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে শত শত মানুষের সামনে। তাদের কলতানে মুখরিত হবে সবুজ বন। ক্যাবল কারে চড়ে প্রকৃতির এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪৫:২৩   ৩৮৫ বার পঠিত  




এক্সক্লুসিভ’র আরও খবর


এস এস সি পাশের হার কমছে বেড়েছে জিপিএ-৫
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্রে সানি লিওনের ছবি!
শক্তিশালী প্রসেসরে নতুন স্মার্টফোন বাজারে আনছে মটোরোলা
ভারত ৩৬টি স্যাটেলাইট স্থাপন করল একসঙ্গে !!
স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস, পরে কথিত স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে পদযাত্রা
রাশিয়ার নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সাবমেরিন!
টিকিট দুর্নীতির প্রতিবাদে রনি, সহজ ডটকমকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
ট্রাকচাপায় মেয়েসহ তারা তিনজন নিহত; রাস্তায় গর্ভস্থ শিশু ভুমিষ্ঠ
রোহিঙ্গা যুবক নুর বারেক আটক ,২০ লাখ টাকা উদ্ধার

আর্কাইভ