নির্লজ্জ অবিচারের শেষ কোথায়?

Home Page » এক্সক্লুসিভ » নির্লজ্জ অবিচারের শেষ কোথায়?
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০১৪



4.jpgবঙ্গ-নিউজঃ পাঁচ বছরে তৃতীয়বার। বিশ্বের সবচেয়ে বিশাল বহরের চতুর্থতম ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আবারো পুরো ক্ষমতা নিয়ে আঘাত হেনেছে হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়। ক্ষমতা দেখানোর এই ‘যুদ্ধে’ গত কয়েকদিনে অন্তত দুইশ’র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
পরিসংখ্যান বলছে, যাদের মধ্যে ৮০ শতাংশই বেসামরিক নাগরিক, ২০ শতাংশ শিশু। শুধু তাই নয়, অন্তত দেড় হাজার লোক আহত হয়েছেন, বাড়ি ঘর মাটিতে মিশে গেছে এক হাজার ২৫৫টি।

কিন্তু কেন এই যুদ্ধ? কেন এই প্রাণহানি, রক্তপাত? যতদূর শোনা যায়, তার কারণ অপহরণের পর এক ‘ইসরায়েলিকে’ হত্যা এবং এর পাল্টা হিসাবে দুই ‘ফিলিস্তিনিকে’ খুন- এই রক্তপাতকে উসকে দিয়েছে। যদিও হামাস ওই দুই জনকে হত্যার দায় অস্বীকার করে আসছে শুরু থেকেই।

তবে কথা হলো অবৈধভাবে দখল করে রাখার পরও পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলের এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। উল্টো যাদের উপর এই যজ্ঞ চালানো হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেই যেন অবস্থান নিয়েছে তারা। বলছে, হামাস রকেট নিক্ষেপ বন্ধ করলেই এই যুদ্ধের আপাত অবসান হতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তো এরই মধ্যে ঘোষণাই দিয়ে ফেলেছেন, “পৃথিবীর কোনো দেশই তার নিজের ভূখণ্ডে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপকে সহ্য করবে না।”

গণমাধ্যমে আসা বেশিরভাগ প্রতিবেদনেও যেন একই প্রতিধ্বনী শোনা যায়।

হতে পারে এ কারণেই হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা অপর অংশটিকে আরব এবং মুসলিম দেশগুলোর কেউ কেউ গেল দশকের পর দশক ধরে অর্থ ও অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

তাহলে কি ওই অপহরণই এই আগ্রাসনের মূল কারণ? আপাত দৃষ্টিতে যা মনে হচ্ছে তা হলো- মার্কিন সমর্থনপুষ্ট ইসরায়েলের মাধ্যমে আরব বসন্তের মূল ফসলটি ঘরে তোলার প্রচ্ছন্ন প্রত্যাশা।

তবে ফাতাহ ও হামাসের ‘জাতীয় সমঝোতা’ না হলে এই দ্বন্দ্বের ইতি অচিরেই সমাপ্ত হবে এমন আশা করা যায় না। যদিও গোপন নয় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের নীতিই এই দুই অংশের বিভাজন জিইয়ে রেখেছে।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দৃশ্যতই যে সংকেত দিচ্ছেন তা হলো- মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে হামাসের যে চুক্তিই হোক না কেন তা তাদের কাছে কোনো অর্থ বহন করে না।

যুদ্ধপরিস্থিতির অবসানে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির মধ্যস্থতায় সায় না দেয়ায় এখন হামাসকে দায়ী করা হলেও বেশিরভাগ গাজাবাসীর বিশ্বাস অবৈধভাবে অবস্থান করা ইসরায়েলিদের সরিয়ে না নিলে অবস্থার উন্নতি আশা করা হবে বোকামি।

ইসরায়েল এই যুদ্ধকে টানতে চাচ্ছে- এমন মন্তব্যও এসেছে কারো কারো কথায়। ফিলিস্তিনের স্বতন্ত্র সাংসদ ‍মুস্তফা বারঘৌটিও যেমন বললেন এই কথাটিই।

অবশ্য ইসরায়েলের রিজার্ভ মেজর জেনারেল ওরেন শাচোর যেমনটি মনে করেন: “আমরা যদি তাদের পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দিই, তারা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেই যাবে।”

তাহলে এই দশকের পর দশক ধরে নির্লজ্জ অবিচারের সমাপ্তি কোথায়?

বাংলাদেশ সময়: ১৪:১০:২৫   ৩৭৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

এক্সক্লুসিভ’র আরও খবর


এস এস সি পাশের হার কমছে বেড়েছে জিপিএ-৫
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্রে সানি লিওনের ছবি!
শক্তিশালী প্রসেসরে নতুন স্মার্টফোন বাজারে আনছে মটোরোলা
ভারত ৩৬টি স্যাটেলাইট স্থাপন করল একসঙ্গে !!
স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস, পরে কথিত স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে পদযাত্রা
রাশিয়ার নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সাবমেরিন!
টিকিট দুর্নীতির প্রতিবাদে রনি, সহজ ডটকমকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
ট্রাকচাপায় মেয়েসহ তারা তিনজন নিহত; রাস্তায় গর্ভস্থ শিশু ভুমিষ্ঠ
রোহিঙ্গা যুবক নুর বারেক আটক ,২০ লাখ টাকা উদ্ধার

আর্কাইভ