তমঃ বঙ্গ নিউজ ডটকমঃ বিশ্বের মানুষকে ভার্চুয়ালি এক সুঁতোয় যিনি গেঁথেছেন সেই মার্ক জুকারবার্গের পৃথিবীতে আগমনী দিবস বুধবার। অর্থাৎ ১৪ মে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা জুকারবার্গের ৩০তম জন্মদিন।১৯৮৪ সালের এই দিনে নিউইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন এই তরুণ প্রযুক্তিবিদ।
বিস্ময়করভাবে গত এক দশকেই জুকারবার্গ পাল্টে দিয়েছেন যোগাযোগের সংজ্ঞা। ২০০৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিতে জুকারবার্গ ও তার বন্ধুদের হাতে নির্মিত ফেসবুকে এখন অ্যাকাউন্ট না থাকা যে কাউকে আপনি রাখতে পারেন হিসাবের বাইরে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একই প্ল্যাটফর্মে রাখার চিন্তা থেকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি দিয়ে যে ফেসবুকের (আগের নাম ফেসম্যাশ) গল্প শুরু-এখন বিশ্বের ১২০ কোটিরও বেশি মানুষ কানেক্টেড তার হাত ধরে।
ফেসম্যাশ চালু করা হয়েছিল সহজে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছবি বা মনের ভাব অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে পারার লক্ষ্য থেকে। তারিখটা মনে রাখতে পারেন, ২৮ অক্টোবর, ২০০৩।
শুরু দিনই চার ঘণ্টায় ৪৫০ ভিজিটর ২২০০০ ছবি তুলে সেদিন ডাউন করে দেয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার। অবশ্য সার্ভার হ্যাক ও ডাউন করার দায়ে মার্ক জুকারবার্গকে বহিষ্কারও করা হয় ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
তবে থেমে থাকেনি ফেসম্যাশ। শুরু হয় নিজস্ব কোডিং তৈরির চেষ্টা। মার্ক জুকারবার্গকে সহায়তা করেন তারই বন্ধু কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থী অ্যাডওয়ার্ডো সেভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিতস এবং ক্রিস হিউজেস।
২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হার্ভার্ডের ডরমিটরিতেই ‘দি ফেসবুক’ (TheFacebook.com) নামে আরেকটি সাইট চালু হয়।
তার বছরখানেক বাদে উঠে যায় ‘দি’। থাকে শুধু ফেসবুক, আর তারপর এক সাধারণ তরুণের অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প।
কোম্পানি হিসেব থেকে ২০১২ সালে পাবলিক লিমিটেড প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ফেসবুক আর মার্ক পেয়ে যান বিলিওনিয়ার খ্যাতি।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইমার্কেটারের তথ্য অনুযায়ী, ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে আয়ের দিক থেকে বর্তমানে গুগলের পরের অবস্থানেই রয়েছে ফেসবুক। এছাড়া, মোবাইল বিজ্ঞাপন থেকেও ফেসবুকের আয় বাড়ছে প্রতিদিনই।
প্রযুক্তি দুনিয়ায় ৩০ বছর বা এর কম বয়সী তরুণ প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের মধ্যে শীর্ষে আছেন সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ৩০ বছর বয়সী জুকারবার্গ।
১৯৮৪ সালের ১৪ মে নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন এলাকাতে মনোচিকিৎসক ক্যারেন ও দন্তচিকিত্সক অ্যাডওয়ার্ড জুকারবার্গের ঘরে জন্ম নেন তিনি। জুকারবার্গের রয়েছে তিন বোন- র্যান্ডি, ডোনা এবং এরিএল।
জুকারবার্গ একজন ইহুদী হিসেবে বেড়ে উঠলেও বর্তমানে তিনি নিজেকে একজন নাস্তিক হিসেবেই পরিচয় দেন।
আর্ডসেলি হাই স্কুলে জুকারবার্গ গ্রিক এবং ল্যাটিন ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। তিনি ফিলিপস এক্সটার একাডেমিতে স্থানান্তরিত হন। সেখানে তিনি বিজ্ঞান এবং ক্লাসিক্যাল শিক্ষায় পুরস্কৃত হন। তিনি অসিক্রীড়া দলের অধিনায়ক ছিলেন।
এছাড়া, কলেজে মহাকাব্যিক কবিতার লাইন থেকে আবৃত্তি করার জন্য পরিচিতি পেয়েছিলেন মাত্র ২৬ বছর বয়সে টাইম ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে বছরের সেরা ব্যক্তিত্বরূপে নির্বাচিত হওয়া জুকারবার্গ।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৫০:১৪ ৫০৫ বার পঠিত