ডেস্করিপোর্টঃআগামী ১৫ মে থেকে তিন পর্বে দেশব্যাপী ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজ শুরু হচ্ছে। প্রথম পর্বে ১৮২ উপজেলায় আগামী ১৫ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত, দ্বিতীয় পর্বে ২১৯ উপজেলায় ১৫ জুন থেকে ২৪ জুন এবং তৃতীয় পর্বে ১১৩ উপজেলায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হওয়ার যোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ করবেন।রোববার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্মেলন কক্ষে ভোটার হালনাগাদ সমন্বয় কমিটির বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান-আরজু এ তথ্য জানান।
ইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয়, ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা হবে। এরপর ভোটার রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে গিয়ে নতুনদের ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ দিতে হবে। এর আগে যারা ভোটার হতে পারেননি তারাও ভোটার হতে পারবেন।
১৮ বছরের কম বয়সে ভোটার হওয়া, একাধিক মিথ্যা তথ্য বা ভুল ঠিকানা দিয়ে ভোটার হওয়া দণ্ডণীয় অপরাধ বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক জানান, কেউ পূর্বে ভোটার হয়েছে কিনা তা ভোটার হওয়ার পূর্বে আঙ্গুলের চাপ মিলিয়ে যাচাই করা হবে। এতে দ্বৈত ভোটার হিসেবে ধরা পরলে অপরাধীর শাস্তি অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড বা দুই হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
কেউ জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেললে পুনরায় ভোটার হওয়ার প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে থানায় জিডি করে উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করলে তা পুনরায় দেয়া হবে। এছাড়া কারো তথ্যে ভুল থাকলে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে তা সংশোধন করা হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানায়, হালনাগাদ কার্যক্রমে ৫৭ কোটি টাকা ব্যয় প্রস্তাব করেছে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অণুবিভাগ। এবারও ভোটার তালিকা হালনাগাদা কার্যক্রমে নতুন ভোটার অন্তর্ভূক্তি, মৃত ভোটারদের নাম কর্তন ও ভোটার এলাকা স্থানান্তরের কাজ করা হবে।
এবার মোট ভোটারের শতকরা ৫ ভাগ বা কমবেশি ৪৬ লাখ নতুন ভোটার অন্তর্ভূক্তির টার্গেট ধরা হয়েছে। ৫ হাজার ৪শ’টি নিবন্ধন কেন্দ্রের মধ্যে প্রতি ইউনিয়নে বা ক্যান্টমেন্ট বোর্ডে ১টি, পৌরসভায় ২টি, সিটি কর্পোরেশনের প্রতি ওয়ার্ডে ১টি করে নিবন্ধন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রতি কেন্দ্রে গড় ৮৫০জন ভোটার নিবন্ধিত হবে। ৪৮ হাজার ৩০০ তথ্য সংগ্রহকারী তথ্য সংগ্রহ করবে।
কক্সবাজার যেহেতু রোহিঙ্গা অধ্যুষিত সেহেতু যেখানে ভোটার হতে হলে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে বাংলাদেশী নাগরিক হওয়ার যথাযথ প্রমাণিত না হলে ভোটার হতে পারবেন না। এজন্য বিশেষ কমিটি কাজ করবে বলে কমিশন সূত্র জানায়।
দেশে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৬৪১ জন
ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব, বিভাগীয় কমিশনার (সকল), নির্বাচন কমিশনের সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব, জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (সকল), আইডিইএ এর উপ-প্রকল্প পরিচালক (সকল), এনআইডি উইং এর সিস্টেম ম্যানেজার, উপ-সচিব বা পরিচালক (সকল), সচিবের একান্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তা, তথ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রথামিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বাংলাদেশ আনসারের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
বাংলাদেশ সময়: ১১:১৩:৩৩ ৩৫৩ বার পঠিত