বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে তিস্তা অভিমুখে বিএনপির লংমার্চ লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় দোয়ানিতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পে পৌঁছেছে। বুধবার দুপুর বারোটার কিছুক্ষণ আগে লংমার্চ তিস্তা ব্যারাজের হেলি প্যাডের সমাবেশস্থলে পৌঁছায়।লংমার্চ সমাবেশস্থলে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবেশের কার্যক্রম।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলু।
ইতোমধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে সমাবেশস্থল।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে রংপুরে যাত্রাবিরতি শেষে বুধবার সকালে স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরি মাঠের পথসভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের পর তিস্তা অভিমুখে যাত্রা শুরু করে লংমার্চ।
রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এটি আমাদের অধিকার আদায়ের যাত্রা, ন্যায্য হিস্যা বুঝে পাওয়ার অভিযাত্রা। আমরা পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছি না।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল একাই বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর যাত্রা করে লংমার্চের গাড়ি বহর।
লংমার্চে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া আরও উপস্থিত আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, লে. জেনারেল (অব.)মাহবুবুর রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আল নোমান, মেজর(অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. ওসমান ফারুক, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট আহম্মদ আজম খান, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান খান রিপন, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দল সভাপতি নূরে আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, জাতীয়তাবাদী ওলামা দল সভাপতি হাফেজ মওলানা আব্দুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক মওলানা শাহ মো. নেছারুল হক প্রমুখ।
মঙ্গলবার সকালে উত্তরার আজমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রা শুরু করে লংমার্চ। লংমার্চের শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রায় শতাধিক গাড়ির বহর লংমার্চে অংশ নিয়ে রাজধানী ছাড়ে। যাত্রাপথে কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইল,সিরাজগঞ্জ কড্ডার মোড়, বগুড়া, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এবং পলাশবাড়িতে সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। রাতে রংপুর পৌঁছে রাত্রিযাপন করেনে লংমার্চে অংশ নেয়া নেতাকর্মীরা।
এদিকে সমাবেশ উপলক্ষ্যে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুরো এলাকা ঢাকা রয়েছে নিরাপত্তার চাদরে।
সমাবেশস্থলের শান্তিশৃ্ঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ, আনসার ও গোয়েন্দা সদস্যদের পাশাপাশি রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ব্যারাজ এলাকায় পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের টহল অব্যাহত রয়েছে।
সমাবেশস্থল লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার সীমান্তে হওয়ায় দুই জেলার প্রশাসনই আইন শৃংখলা রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সমাবেশস্থলে দুইশ’ পুলিশ সদস্য ও অর্ধশত গোয়েন্দা সদস্য মোতায়েন করেছে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ।
সমাবেশস্থলে বিএনপির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবকের কাজে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় সহস্রাধিক সাদা গেঞ্জি পরিহিত নেতাকর্মী।
লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার টিএম মোজাহেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, লংমার্চ সামনে রেখে পুরো এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৪:৫২ ৩৮২ বার পঠিত