বঙ্গ-নিউজঃ নিজেদের দেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে চাইলে আফগানিস্তানকে হারাতেই হবে। তাই জয় দিয়েই বিশ্বকাপ শুরু করতে চান বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, “আমরা সবাই ভালো খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। কাল ভালো একটা শুরুর ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আশা করি, এর ধারাবাহিকতা পুরো টুর্নামেন্টে ধরে রাখতে পারবো।”
টানা হারের মধ্যে থাকলেও প্রস্তুতি ম্যাচের দুই জয়ে আত্মবিশ্বাস অনেকখানি ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ‘সুপার টেন’ এ যাওয়া মূল লক্ষ্য হলেও আপাতত আফগানিস্তান ম্যাচের দিকে স্বাগতিকদের পূর্ণ মনযোগ।
“গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য কালকের ম্যাচে জয় জরুরি। তাই এই ম্যাচের দিকেই আমাদের সম্পূর্ণ মনযোগ। তবে প্রতিটি ম্যাচই আমরা জয়ের জন্য খেলবো। আফগানিস্তানের মতো নেপাল ও হংকংও শক্তিশালী প্রতিপক্ষ।”
এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের কাছে হারলেও এবার জয়ের জন্য বাংলাদেশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত জানিয়ে মুশফিক বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই ওদের চাপে রাখতে চাই। চাপে ওরা কেমন খেলে, সেটা এখন আমরা জানি। ওদের অনেক দুর্বলতার কথাও আমাদের জানা। আশা করি, এটা কাজে লাগাতে পারবো।”
আফগানিস্তানকে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়েই রাখছেন মুশফিক।
“টি-টোয়েন্টি হয়তো ওরা বেশি খেলেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা ওদের চেয়ে অভিজ্ঞ। ব্যক্তিগত স্কিলের দিক থেকেও আমরা এগিয়ে।”
স্বাগতিক হওয়ায় বাড়তি কোনো চাপ অনুভব করার কথা স্বীকার করেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক। বরং ভক্তদের বিপুল সমর্থনে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন তার।
২০১১ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভালো খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার তার পুনরাবৃত্তি এড়ানোর প্রত্যয় মুশফিকের কণ্ঠে।
“দলের ওপর সবার আস্থা ফেরানোই মূল লক্ষ্য। তা করার মতো সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। তবে এখন কথা বলার চেয়ে কাজ করে দেখানোর সময়। আশা করি, কাল থেকেই তা পারবো”
ভালো খেললেও সাম্প্রতিক সময়ে ফলাফল পক্ষে আসেনি বাংলাদেশের। দলের সবাই সাফল্যের জন্য ক্ষুধার্থ, এটাকেই সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন মুশফিক। রোববার ম্যাচ দিয়ে নতুন শুরুর প্রত্যাশা তার।
আঙ্গুল আর কাঁধের চোটের কারণে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারছিলেন না মুশফিক। শুক্রবার শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে এক মাসেরও বেশি সময় পরে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে স্বস্তি পাচ্ছেন তিনি।
“ব্যথা একটু আছে, কিন্তু এটা সহনীয়। দলকে ভালোভাবে দেখার জন্য এটাই সেরা জায়গা। এখান থেকে দল পরিচালনা করতে আমি পছন্দ করি। বোলার কি করছে, উইকেট কেমন আচরণ করছে, ব্যাটসম্যান কেমন খেলছে সবচেয়ে ভালো বোঝা যায় এখান থেকেই। আশা করি আফগানিস্তানের বিপক্ষেও কিপিং করতে পারবো।”
বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৫:২৯ ৪৩১ বার পঠিত