
বঙ্গ-নিউজ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অফিসিয়াল স্টোরে ৫০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে ‘ট্রাম্প ২০২৮’ লেখা লাল রঙের টুপি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইকের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই টুপি বিক্রির ঘটনা ট্রাম্পের তৃতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে জল্পনা উস্কে দিয়েছে।
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা একাধিকবার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি ২০২৮ সালে আবারও প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। যদিও মার্কিন সংবিধানের ২২তম সংশোধনী অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন না।
তবে ট্রাম্প এই সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করার সম্ভাব্য ‘পথ’ খুঁজে বের করার কথাও বলেছেন। গত মার্চে এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি মন্তব্য করেন, ‘আমি মজা করছি না। কিছু উপায় আছে।’
একটি সম্ভাব্য কৌশল হিসেবে আলোচিত হচ্ছে যে, ২০২৮ সালের নির্বাচনে জেডি ভ্যান্স রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন এবং ট্রাম্প তার রানিংমেট (ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ভ্যান্স নির্বাচিত হওয়ার পর পদত্যাগ করলে ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন। তবে এই পরিকল্পনার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে সংবিধানের ১২তম সংশোধনী। এই সংশোধনী অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পদে অযোগ্য কোনো ব্যক্তি ভাইস প্রেসিডেন্ট পদেও নির্বাচিত হতে পারবেন না, যা ট্রাম্পের পরিকল্পনায় আইনি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে, সার্ভেইউএসএ পরিচালিত এক নতুন জরিপে দেখা গেছে, ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ (মাগা) আন্দোলনের সমর্থক রিপাবলিকানদের প্রায় অর্ধেকই মনে করেন, সাংবিধানিক বাধা সত্ত্বেও ট্রাম্প তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। ২,৪৯১ জন রেজিস্টার্ড ভোটারের ওপর চালানো এই জরিপে মোট ২১ শতাংশ ভোটার এমনটা মনে করলেও মাগা সমর্থকদের মধ্যে এই হার ৪৯ শতাংশ।
ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের সাবেক চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট স্টিভ ব্যাননও বিশ্বাস করেন, ট্রাম্প ২০২৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হবেন। গত ১১ এপ্রিল ‘রিয়েল টাইম উইথ বিল মাহার’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যানন বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) একটি বিশেষ দল তৈরি করেছেন, যারা সংবিধানের ২২তম সংশোধনীকে পাশ কাটানোর উপায় খুঁজছেন।’
এছাড়াও, রিপাবলিকান প্রতিনিধি অ্যান্ডি ওগলস জানুয়ারিতে কংগ্রেসে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, যেখানে ২২তম সংশোধনী পরিবর্তন করে একজন ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ তিনবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবে অবশ্য শর্ত রাখা হয়েছে যে, টানা দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট অতিরিক্ত মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। তবে এই প্রস্তাবটি এখনও প্রাথমিক আলোচনার পর্যায়েই রয়েছে।