
বঙ্গ-নিউজ: দেশের ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক সংস্কারের অংশ হিসেবে ইসলামী ব্যাংকগুলোকে দুটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে একীভূত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বুধবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
গভর্নর বলেন, বর্তমানে অনেক ইসলামী ব্যাংক কাঠামোগত ও পরিচালনগত সমস্যায় জর্জরিত। কিছু ব্যাংকের অবস্থা বেশ শোচনীয়। পুনর্গঠনের মাধ্যমে এগুলোকে দুটি বৃহৎ ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তর করা হবে। আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে আইনি ও তদারকি কাঠামো জোরদার করা হবে।
অর্থ পাচার রোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি। পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে গভর্নর বলেন, ‘যারা অর্থ পাচার করেছে তাদের জন্য আমরা জীবন কঠিন করে তুলব।’
আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় বেশ কয়েকটি ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ‘ইতিমধ্যে ১১টি ব্যাংকের বোর্ড পরিবর্তন করা হয়েছে, এরপর আরও দুটি ব্যাংকের বোর্ড পরিবর্তন এবং একটি ব্যাংক স্বেচ্ছায় পরিবর্তন এনেছে।’ বোর্ড সদস্যদের যোগ্যতা নির্ধারণে ব্যাংক কোম্পানি আইনে সংশোধনীর কথাও জানান তিনি।
ব্যাংকিং খাতের চ্যালেঞ্জের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছুটা দায় স্বীকার করে গভর্নর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংককে শক্তিশালী করা হচ্ছে। স্বায়ত্তশাসন ও তদারকি বাড়ানো হচ্ছে।’ ব্যাংক বোর্ড ও ব্যবস্থাপনার নিরীক্ষণ বাড়ানোর কথাও বলেন তিনি।
গভর্নর মনসুর জানান, বেশিরভাগ সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংক পুঁজি ঘাটতিতে ভুগছে। ব্যাংকিং খাতের সংস্কারে রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন রক্ষার ওপর জোর দেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল হান্নান চৌধুরী।