
বঙ্গ-নিউজ: জাপানে ২০২৩ সালে প্রায় ৪২ হাজার মানুষের মৃত্যুর পর তাদের মরদেহের কোনো দাবিদার পাওয়া যায়নি। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান একাকিত্ব এবং একক জীবনযাপনের প্রবণতাকে এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে। রোববার প্রকাশিত এক সরকারি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে বলে টোকিও ভিত্তিক কিয়োদো নিউজের বরাত দিয়ে জানিয়েছে টিআরটি গ্লোবাল।
স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জরিপ অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৪১ হাজার ৯৬৯টি মরদেহ অদাবিকৃত ছিল, যা মোট মৃত্যুর প্রায় ২.৭ শতাংশ। স্থানীয় প্রশাসন এসব মরদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, অধিকাংশ পৌরসভারই অদাবিকৃত মরদেহ সংরক্ষণ ও সৎকারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই।
জাপানের ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠী এবং একাকী বসবাসকারী প্রবীণদের সংখ্যা বৃদ্ধি এই সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলছে। জাতীয় জনসংখ্যা ও সামাজিক নিরাপত্তা গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ দেশটির ৫২.৬ মিলিয়ন পরিবারের মধ্যে ২৩.৩ মিলিয়ন বা ৪৪.৩ শতাংশই হবে একক ব্যক্তির পরিবার।
জরিপে অংশ নেওয়া মাত্র ১১.৩ শতাংশ স্থানীয় সরকারের কাছে অদাবিকৃত মরদেহ ব্যবস্থাপনার নির্দেশিকা রয়েছে।
জাপানের আইন অনুযায়ী, দাবিদার না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকারকেই দাহ বা দাফনের দায়িত্ব নিতে হয়। কিন্তু অনেক সময় দাহের পর আত্মীয়-স্বজনের দাবি নিয়ে নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়। বিশেষজ্ঞরা সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার এবং স্থানীয় সরকারগুলোর জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন।