দুই আসন থেকে লড়তে পারেন নাহিদ

Home Page » জাতীয় » দুই আসন থেকে লড়তে পারেন নাহিদ
শুক্রবার ● ৭ মার্চ ২০২৫


ফাইল ছবি

বঙ্গনিউজ : আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান মুখ নাহিদ ইসলাম ঢাকার হেভিওয়েট দুটি আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এ দুটি আসন হলো—খিলগাঁও-সবুজবাগ ও মুগদা থানাধীন এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৯ এবং রামপুরা-বাড্ডা ও ভাটারা থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১১।

এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানতে পেরেছে কালবেলা।

উল্লেখ্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে মাঠপর্যায়ে তৎপরতা শুরু করেছেন নবগঠিত রাজনৈতিক দলটি। অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে দল গঠনের আগেই নিজ নিজ আসনে অঘোষিতভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেন তারা। এরই মধ্যে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির বেশিরভাগ নেতাই নিজ নিজ আসন কেন্দ্র করে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

এনসিপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানান, নবগঠিত দলটি জোটবদ্ধ না এককভাবে নির্বাচন করবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সবই রয়েছে আলাপ-আলোচনার পর্যায়ে। তবে ভোটের প্রস্তুতিতে কেউ পিছিয়ে থাকতে চাইছেন না। এনসিপি নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে অংশ নেবে, না ৩০০ আসনে এককভাবে অংশগ্রহণ করবে—

সেটা পরের বিষয়। এখন মূলত নিজ নিজ এলাকায় মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করেছেন এনসিপির নেতারা। সব আসনেই তারা যোগ্য প্রার্থী দিয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিতে চান। দলের নেতারা নিজ নিজ সংসদীয় আসন এলাকায় শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারলে জোটবদ্ধ নির্বাচনকালে আসন নিয়ে দরকষাকষিতে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। তাই আসনভিত্তিক মজবুত অবস্থান তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে এনসিপি। এরই মধ্যে এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় এলাকায় নেতাকর্মীদের টিম গঠন, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মীবাহিনী গঠনসহ নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, রমজান মাসের মধ্যেই নিজেদের ঘর গোছানোর কাজ শেষ করতে চায় এনসিপি। পাশাপাশি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের পরিকল্পনাও সাজাচ্ছে দেশের রাজনীতিতে নবাগত দলটি। বিভিন্ন সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এরই মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। নিজ সংসদীয় আসনের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাড়াচ্ছেন যোগাযোগ। বিভিন্ন আসনে বিএনপি-জামায়াতের হেভিওয়েট প্রার্থীদেরও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। শেষ পর্যন্ত তারা কতটা সফল হবেন, সেটিই দেখার বিষয়।

এনসিপি সূত্রে জানা যায়, প্রকাশ্যে দলটিতে নির্বাচন আলাপ না থাকলেও নেতাকর্মীরা নিজ নিজ সংসদীয় আসনে দৌড়ঝাঁপ করছেন। অনেকেই নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকে পেয়েছেন সবুজ সংকেত। নেতাদের অনেকেই নিজ এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন, জনসাধারণ এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। যারা যেতে পারছেন না রাজনৈতিক ব্যস্ততার মধ্যেও যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলে। বিশেষ করে জনগণের মধ্যে ইফতার ও রোজার উপহার বিতরণ, বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার মধ্য দিয়ে নিজেদের নির্বাচনের প্রস্তুতির আগাম বার্তা পোঁছে দিচ্ছেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনী জোট কিংবা আসন সমঝোতার বিষয়টি আপাতত মাথায় না রেখে ৩০০ আসনের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থী চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সম্ভাব্য আসন এরই মধ্যে আলোচনায় এসেছে। তাদের কেউ কেউ ঢাকায় কিংবা দুটি আসন থেকে নির্বাচন করারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নির্বাচনের আগে নির্বাচনী জোট হওয়ার বিষয়টি উড়িয়ে না দিলেও এককভাবে নিজেদের শক্ত অবস্থান দেখাতে চায় দলটি। ঈদের পর জেলা এবং বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে সাংগঠনিক ও নির্বাচনী মাঠ পোক্ত করা শুরু করবে দলটি। সে সময় সম্ভাব্য প্রার্থীদেরও পরিচয় করিয়ে দিতে পারে দলটি।

বাংলাদেশ সময়: ১১:০৫:০৯ ● ৪৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ