বঙ্গনিউজ : ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির ফলে গাজার চলমান সংঘাতের অবসান হতে যাচ্ছে। ১৫ মাসের ভয়াবহ সংঘাতে প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং লক্ষাধিক মানুষ আহত হয়েছে। এই চুক্তি আগামীকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে। খবর সিএনএনের।
চুক্তির অনুমোদন ও প্রক্রিয়া
১৭ জানুয়ারি ইসরায়েল সরকারের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি অনুমোদন করে। এরপর পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার বৈঠকে চুক্তিটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়। অর্থাৎ যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়া নিশ্চিত করা হয়েছে।
চুক্তির শর্ত
প্রথম ধাপে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ধীরে ধীরে প্রত্যাহার হবে। হামাসের হাতে আটক ৩৩ জন ইসরায়েলি বন্দি মুক্তি পাবে। বিনিময়ে, ইসরায়েলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিরা মুক্তি পাবেন।
দ্বিতীয় ধাপে প্রথম ধাপের ১৬ দিনের মধ্যে আলোচনায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজার পূর্ণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি নির্ধারণ করা হবে।
তৃতীয় ধাপে গাজার পুনর্গঠন কাজ শুরু হবে, যা মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। নিহতদের মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার বিষয়টিও আলোচিত হবে।
গাজার বর্তমান পরিস্থিতি
যুদ্ধবিরতির শর্ত সই হওয়ার পরেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত ২ দিনে অন্তত ১১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ২৮ শিশু ও ৩১ নারী। এখন পর্যন্ত, ১৫ মাসে গাজার সংঘাতে ৪৭ হাজার মানুষ নিহত এবং ১ লাখ ১০ হাজার ৬৪২ জন আহত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়তা করছে। গাজার পুনর্গঠন প্রক্রিয়া মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের সহযোগিতায় পরিচালিত হবে।