বঙ্গনিউজ : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১৮তম ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালস গড়ল বিপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুর্বার রাজশাহীকে তারা চ্যালেঞ্জ জানালো ২৫৪ রানের বিশাল লক্ষ্য, যা বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। লিটন দাস এবং তানজিদ হাসানের রেকর্ড গড়া জুটি ছিল এই ইনিংসের মূল ভিত্তি।
প্রথমে টস জিতে দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তবে তাদের বোলারদের ওপর যেন ঝড় বইয়ে দেন ঢাকা ক্যাপিটালসের ওপেনাররা। তানজিদ হাসান মাত্র ৬৪ বলে ১০৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং ৮টি ছক্কা। অন্যদিকে, লিটন দাস যেন নিজের সেরা ফর্মে ছিলেন। তিনি ৫৫ বলে অপরাজিত ১২৫ রান করেন, যেখানে ছিল ১০টি চার এবং ৯টি বিশাল ছক্কা। এই জুটি মিলে প্রথম উইকেটের জন্য ১৯.৩ ওভারে ২৪১ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়েন।
লিটন দাস, যিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজের জায়গা হারিয়েছিলেন, এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে সমালোচকদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন। তার বিধ্বংসী ব্যাটিং ঢাকার স্কোরকে ২৫৪ রানের রেকর্ড গড়তে সাহায্য করে।
দুর্বার রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে শফিউল ইসলাম ছিলেন একমাত্র উইকেট শিকারি। তবে তিনি ৪ ওভারে ৬২ রান দিয়ে উইকেটটি পান। সোহাগ গাজী এবং সুনজামুল ইসলামও ছিলেন বেশ খরুচে।
লিটন-তামিম ঝড়ে বিপিএলে রেকর্ডবুক তছনছ ঢাকার
দল থেকে বাদ পড়ার দিনে লিটনের সেঞ্চুরি
ঢাকা ক্যাপিটালস বনাম দুর্বার রাজশাহী ম্যাচে রেকর্ডগুলোর তালিকা
১. দ্রুততম সেঞ্চুরিতে লিটনের রেকর্ড:
৪৪ বলে ১০০ রান, বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি।
ক্রিস গেইলের (২০১২) ৪৪ বলের সেঞ্চুরির সঙ্গে যৌথভাবে এই রেকর্ড।
বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।
২. তানজিদ তামিমের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি:
বিপিএলে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে দুটি সেঞ্চুরি করার কীর্তি।
তামিম ইকবালের সঙ্গে যৌথভাবে এই রেকর্ড।
৩. সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ:
লিটন দাস ও তানজিদ তামিমের ২৪১ রানের জুটি।
বিপিএলের ইতিহাসে পূর্বের ২০১ রানের রেকর্ড ভেঙেছে (ম্যাককালাম ও গেইল, ২০১৭)।
৪. সর্বোচ্চ দলীয় রান:
ঢাকা ক্যাপিটালসের ২৫৪ রান, যা বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
পূর্বের রেকর্ড ছিল রংপুর রাইডার্সের ২৩৯ রান (২০১৯)।
৫. প্রথম উইকেটে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ (ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট):
লিটন ও তানজিদের ২৪১ রানের জুটি, আইপিএলের কোহলি-ডি ভিলিয়ার্সের ২২৯ রানের রেকর্ড ভেঙেছে।