বঙ্গ-নিউজ: কলকাতায় নিহত বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আনোয়ারুল আজিম আনারের দেহাবশেষের ডিএনএ পরীক্ষায় তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) উদ্ধার করা মাংস ও হাড়ের ডিএনএ পরীক্ষা করে এই তথ্য পেয়েছে।
গত ১৩ মে কলকাতার নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে আনোয়ারুল আজিমকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে চামড়া ছাড়ানো হয়েছিল। মাংসের টুকরোগুলো কমোডে ফ্লাশ করে দেওয়া হয়েছিল এবং হাড়গুলো খালের ধারে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঝিনাইদহ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের তিনবারের এই সংসদ সদস্য ১২ মে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছান এবং পরের দিন নিখোঁজ হন। এরপর বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে। ২২ মে কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।
গত ২৮ মে, সিআইডি এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা উত্তর ২৪ পরগনার একটি অ্যাপার্টমেন্টের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে কয়েক কেজি মাংস উদ্ধার করে, যা ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়। ৯ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি খালের পাড় থেকে হাড় উদ্ধার করা হয়।
খালের পাড় এবং ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া মাংস এবং হাড়ের ডিএনএ প্রতিবেদন নিশ্চিত করেছে যে এগুলো সাবেক সংসদ সদস্যের বলে হিন্দুস্তান টাইমস একজন সিনিয়র সিআইডি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে।
তদন্তে সহায়তা করার জন্য, সিআইডি গত নভেম্বরে কলকাতায় আসা আনোয়ারুলের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে। একটি কেন্দ্রীয় ফরেনসিক বিজ্ঞান পরীক্ষাগারে নমুনাগুলি বিশ্লেষণ করা হয়।
এই মামলায় এ পর্যন্ত ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ কমপক্ষে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং সিআইডি দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন এখনও পলাতক।
শাহীন আনোয়ারুলের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সহযোগী ছিলেন এবং ধারণা করা হচ্ছে তিনি বর্তমানে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। বাংলাদেশ পুলিশ ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়েছে।