বঙ্গনিউজ : বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ স্বীকার করেছেন যে, ৩২১ রান করার পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হারের কথা তিনি কল্পনাও করেননি। সেন্ট কিটসে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে এই পরাজয়ে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ।
অভিষিক্ত আমির জাঙ্গুর অপরাজিত ১০৪ এবং কেসি কার্টির ৯৫ রানের ইনিংসে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চতুর্থবারের মতো ৩০০-এর বেশি রান তাড়া করে জয় পেয়েছে। জাঙ্গু এবং কার্টি পঞ্চম উইকেটে ১৩২ রানের জুটি গড়েন এবং সপ্তম উইকেটে গুডাকেশ মোতিকে (৪৪*) সঙ্গে নিয়ে ৯১ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে ম্যাচ নিশ্চিত করেন।
ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেন, ‘৩২১ রান করার পরও হারটা সত্যিই হতাশাজনক। আমি বিশ্বাসই করিনি যে, আমরা এই ম্যাচ হারব। ২০ ওভারের মধ্যেই আমরা চারটি উইকেট তুলে নিয়েছিলাম, কিন্তু তারপর তারা ১৫০ রানের জুটি গড়ে ফেলে এবং আমরা আর উইকেট নিতে পারিনি। আমাদের বোলিং সেই মানের ছিল না, যেটা হওয়া উচিত ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওদের প্রতি ওভারে ৬.৫০ রান প্রয়োজন ছিল। আমরা কিছু ছোটখাটো ভুল করেছি। সেগুলো শুধরে নিতে পারলে হয়তো ফল ভিন্ন হতে পারত।’
৩২১ রান করেও হেরে যাওয়ায় হতাশ মিরাজ
জাঙ্গুর সেঞ্চুরিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
মিরাজ বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে বলেন, ‘এই ধরনের উইকেটে বোলারদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। ব্যাটসম্যানরা যখন অনেক শট খেলে, তখন রান তোলার সুযোগ বাড়ে। আমাদের পেসার এবং স্পিনারদের আরও ভালো বোলিং করার প্রয়োজন ছিল।’
এই সিরিজ হার বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাসে বড় আঘাত হেনেছে বলে স্বীকার করেন মিরাজ। তবে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে নিজেদের উন্নতির সুযোগ রয়েছে বলেও আশাবাদী তিনি।
‘বিশ্বকাপের পর ছয়টি ম্যাচ খেলেছি, যার মধ্যে পাঁচটিতে হেরেছি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে জিতলে আত্মবিশ্বাস বাড়ত। তবে আমাদের হাতে সময় আছে উন্নতির জন্য’, বলেন মিরাজ।
তবে ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন মিরাজ। তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে আমরা ২৯৫ রান করেছিলাম এবং আজ ৩২১ রান করেছি। জাকের আলী দারুণ ফিনিশ করেছে, রিয়াদ ভাই এবং তানজিদ তামিম ভালো ব্যাটিং করেছে। সব মিলিয়ে ব্যাটাররা ভালো করেছে।’
মিরাজ আরও বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উইকেটগুলোও ভালো হবে। তাই বোলারদের জন্য এটি চ্যালেঞ্জিং হবে। ৩০০ রান করার পরও আমরা হেরে গেছি, এই অভিজ্ঞতা নিয়ে আমাদের সামনে এগোতে হবে এবং কীভাবে এই ধরনের স্কোর ডিফেন্ড করতে হয়, তা নিয়ে কাজ করতে হবে।’